আমাদের আধুনিক গান গুলো যারা অনেক বেশি সমৃদ্ধ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম কণ্ঠ শিল্পী প্রয়াত মাহমুদুন্নবী। বাংলাদেশী সঙ্গীতে শিল্পী মাহমুদুন্নবির নাম টি শোনেন নি এমন লোক পাওয়া সত্যি বিরল। অসংখ্য আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে আজও তিনি বেঁচে আছেন আমাদের মনের মণিকোঠায়। "সুরের ভুবনে আমি আজও পথচারী, ক্ষমা করে দিও যদি না তোমায় মনের মত গান শুনাতে পারি"। ৭০ এর দশকে গাজী মাজহারুল আনোয়ার এর লেখা আর সত্য সাহার সুরে কালজয়ী এ গানের শিল্পী বাংলাদেশী লিজেন্ড মাহমুদুন্নবী। একটা শিল্পীর কণ্ঠে কত দরদ আর কতটা আবেগ থাকলে এমন একটি গান গাওয়া সম্ভব তা সহজেই অনুমেয়। পরিষ্কার উচ্চারণ, আবেগ আর মেলোডি এই তিনের মিশেলে একজন শিল্পী যে জাত শিল্পীতে রূপান্তরিত হয়ে যান সেটি সুবল দাসের সুরে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখায় “ গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে বল কি হবে?”- গানটি শুনলে স্পষ্ট অনুধাবন করা সম্ভব যে মাহমুদুন্নবী কতটা লিজেন্ড ছিলেন। আমাদের দেশে মূলত ৭০ এর দশকে বাংলা ব্যান্ডের যে গন জোয়ার শুরু হয়েছিল তার অনেক আগ থেকেই আধুনিক গান তার নিজ স্বকীয়তায় আপন মহিমায় ভাস্বর ছিল। আধুনিক আর চলচ্চিত্রের সেই সব কালজয়ী গানগুলো আজও আমাদের নস্টালজিক করে তোলে। গান ভালোবাসেন না এমন মানব মানবী হয়তো খুঁজে পাওয়া যেতেও পারে। তবে আমাদের বাংলাদেশী সঙ্গীতে শিল্পী মাহমুদুন্নবির নাম টি শোনেন নি এমন লোক পাওয়া সত্যি বিরল। অসংখ্য আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে আজও তিনি বেঁচে আছেন আমাদের মনের মণিকোঠায়। কালজয়ী এই সঙ্গীত শিল্পী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৯৯০ সালের ২০ ডিসেম্বর। আজ তার ২৫তম প্রয়াণ দিবস। বাংলাদেশী লিজেণ্ড সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭