somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশী লিজেন্ড গানের রাজা সঙ্গীত শিল্পী মাহমুদুন্নবীর ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমাদের আধুনিক গান গুলো যারা অনেক বেশি সমৃদ্ধ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম কণ্ঠ শিল্পী প্রয়াত মাহমুদুন্নবী। বাংলাদেশী সঙ্গীতে শিল্পী মাহমুদুন্নবির নাম টি শোনেন নি এমন লোক পাওয়া সত্যি বিরল। অসংখ্য আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে আজও তিনি বেঁচে আছেন আমাদের মনের মণিকোঠায়। সুরের ভুবনে আমি আজও পথচারী, ক্ষমা করে দিও যদি না তোমায় মনের মত গান শুনাতে পারি”। ৭০ এর দশকে গাজী মাজহারুল আনোয়ার এর লেখা আর সত্য সাহার সুরে কালজয়ী এ গানের শিল্পী বাংলাদেশী লিজেন্ড মাহমুদুন্নবী। একটা শিল্পীর কণ্ঠে কত দরদ আর কতটা আবেগ থাকলে এমন একটি গান গাওয়া সম্ভব তা সহজেই অনুমেয়। পরিষ্কার উচ্চারণ, আবেগ আর মেলোডি এই তিনের মিশেলে একজন শিল্পী যে জাত শিল্পীতে রূপান্তরিত হয়ে যান সেটি সুবল দাসের সুরে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখায় “ গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে বল কি হবে?”- গানটি শুনলে স্পষ্ট অনুধাবন করা সম্ভব যে মাহমুদুন্নবী কতটা লিজেন্ড ছিলেন। আমাদের দেশে মূলত ৭০ এর দশকে বাংলা ব্যান্ডের যে গন জোয়ার শুরু হয়েছিল তার অনেক আগ থেকেই আধুনিক গান তার নিজ স্বকীয়তায় আপন মহিমায় ভাস্বর ছিল। আধুনিক আর চলচ্চিত্রের সেই সব কালজয়ী গানগুলো আজও আমাদের নস্টালজিক করে তোলে। গান ভালোবাসেন না এমন মানব মানবী হয়তো খুঁজে পাওয়া যেতেও পারে। তবে আমাদের বাংলাদেশী সঙ্গীতে শিল্পী মাহমুদুন্নবির নাম টি শোনেন নি এমন লোক পাওয়া সত্যি বিরল। অসংখ্য আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে আজও তিনি বেঁচে আছেন আমাদের মনের মণিকোঠায়। কালজয়ী এই সঙ্গীত শিল্পী বিজয়ের মাসে জন্মগ্রহণ করেন মৃত্যুবরণও করেন ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসের আজকের দিনে। আজ তার ২৪তম প্রয়াণ দিবস। বাংলাদেশী লিজেণ্ড সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।


সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবী ১৯৩৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারতেরর বর্ধমান জেলার কেতু নামক এক অজ পাড়া গায়ে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি কেবল গান ই লালন করতেন তার হৃদয়ে।মেলোডিয়াস গানের কণ্ঠ শিল্পী মাহামুদুন্নবী। মাহমুদুন্নবী ছিলেন গানের রাজা। সেই রাজার ছিলো তিন কন্যা নুমা (ফাহমিদা নবী), নোভা (সামিনা চৌধুরি) ও অন্তরা (তানজিদা নবী)। আর ছিলো এক পুত্র পঞ্চম (রেদয়ান চৌধুরী)। তাদের প্রাসাদ ছিলো ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে। মাহমুদুন্নবীর দুই কণ্যাই (ফাহমিদা নবী ও তার ছোট বোন সামিনা চৌধুরি) এখন খ্যতিমান শিল্পী। তার উল্লেখযোগ্য গান গুলোর মধ্যে তুমি যে আমার কবিতা, আমারও বাঁশি রাগিণী, তুমি কখন এসে দাড়িয়ে আছো আমার অজান্তে, ও গো মোর মধুমিতা, গীতিময় সেই দিন চিরদিন, সালাম পৃথিবী তোমাকে সালাম দুনিয়া কে করেছো টাকার গোলাম, খোলা জানালার পাশে একা বসে আছি, আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে কেন সৈকতে পড়ে আছিসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান।


বাংলার এই মেলোডি কিং ছিলেন সহজ-সরল, মিষ্টভাষী এবং চরম অভিমানী এক মানুষ। কিংবদন্তি এই শিল্পিকে এক সময় গানের জগত থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সত্য সাহার সুরে গাজী মাজহারুল আনোয়ার এর লেখায় তার কণ্ঠে গীত" আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে কেন সৈকতে পড়ে আছি" গানটির জন্য একুশে পদক ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে সেই পুরস্কার দেওয়া হয়নি। আর এই অভিমানে তিনি বাকি জীবন গান থেকে নির্বাসনে ছিলেন মাহহমুদুন্নবী। কেন তাকে ২১ শে পদক দেওয়া হবে এই ঘোষণা দিয়ে এবং লিস্ট করেও দেওয়া হলনা তা এখনো রহস্যাবৃত।


মাহমুদুন্নবী আমাদের সঙ্গীত আকাশের এক জ্বলন্ত উজ্জ্বল নক্ষত্র। নক্ষত্র যেমন আলোকিত করে বিশ্ব ভ্রমান্ড, আলোকিত করে চার পাশ, তেমনি মাহমুদুন্নবি ও তার সুরের আকাশকে আলোকিত করেছিলেন। কালজয়ী সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবী ১৯৯০ সালের ২০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। কালজীয় সঙ্গীত শিল্পী সুরের যাদুকর মাহমুদুন্নবীর ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী মাহমুদুন্নবীর মৃত্যুদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×