ঐন্দ্রিলা,
ঘুমিয়ে পড়েছ?
হবে হয়ত।
ভারী নিঃশ্বাসের শব্দ মৃদু শুনেছি,
আচ্ছন্ন তোমার সুবাসে মেতেছি,
তোমার উন্নত কাঁধ শাড়ির এলো আঁচল-
অবিন্যাস্ত ঘন কালো কুন্তল,
ছুঁয়ে দেখতে বড় সাধ হয়, ছোঁব ?
ঘুমিয়ে পড়েছ নাকি?
ঐন্দ্রিলা ঘুমিয়ে পড়েছ?
ঘুমাবার তরে বুঝি ওই নয়ন?
তার বিষণ্ণতায় অপূর্ব দৃষ্টিপাত কেন আড়াল-
দেখো, পূর্ণিমার মিষ্টি আলো
জানালার ফাঁক গলে তোমার দেহে এলো,
চিবুক থেকে বক্ষ তোমার ছুঁয়ে
আলোকমালা নাচিছে ধন্য হয়ে।
হ্যাঁ আমার ঈর্ষা হচ্ছে প্রিয়তমা,
ছুঁয়ে দেখার আকাংখা কতো প্রচন্ড বলিনি বুঝি?
বলবো, জাগো একবার, তাকাও!
ঐন্দ্রিলা,
ঘুমিয়ে পড়েছ?
আলতার প্রলেপ রাঙা পা'দুটো
হয়ত স্বর্ণের কাঠি এক,
খুঁজছে কি চুলের স্পর্শ তোমার?
অনেকটা কি রেগে যাবে
যদি না ডাকি ঘুম থেকে,
যদি অনুমতিহীন ছুঁয়ে দেই তোমাকে?
যদি অধরের স্পর্শ নিতে উদগ্রীব হই?
যদি বর্ষা ঝরে প্রচন্ড
টেনে ধরি তোমার হাত,
আদ্র তোমায় দেখবো বলে,
যাবে?
বুকে মাথা রেখে স্পন্দন শূনতে শূনতে,
বৃষ্টির ঝমঝম ভুলে গিয়ে যদি তোমাতে মাতি,
হবে কি খানিকটা অভিমান?
হবে কি রাতের বৃষ্টির সুধা খানিক অম্লান?
প্রশ্ন ফুরিয়ে যায়,
তুমি জাগবে না?
ঐন্দ্রিলা,
ঘুমিয়ে পড়েছ?
আমার দুচোখে ঘুমের আভাস নেই,
দেখছি শুধু তোমাকে,
দেখো রাত আমার প্রভাত হবার বাঁকে।
ভোরের আলোয় হেঁটেছ কভু নদীতটে?
হাতটা দেবে প্রিয়তমা?
বিষণ্ণ ভোরের আভায় অবগাহন দুরাশা সনে তোমার।
ঐন্দ্রিলা!
কেন ঘুমিয়ে পড়েছ,
কেন ঘুমিয়ে রয়েছ!
আমি বাঁচবো কি করে জাগ্রত
ঘুম ছলে কেন হলে বিগত?
চেনা অনুভব তুমি
অচেনা দূরে কেন তবে যাপন?
যেদিন ঘুম পাড়িয়ে এলেম,
শেষবারের মতো অপ্রিয় শয়নে
আর ঘুমাইনি ঐন্দ্রিলা!
আর আসেনি স্বপ্নমেলা!
তবু তুমি জাগবে না প্রিয়?
ঐন্দ্রিলা,
ঘুমিয়ে পড়েছ?
আর কতো ঘুমাবে,
মৃত্তিকা অতলে মৃত্তিকা পরে-
শুয়ে কতোকাল কাঁদাবে মৃত্তিকা মোরে?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




