বিষয়টা নিয়ে অনেক আগেই লেখার ইচ্ছে থাকলেও ব্যস্ততার কারণে ব্লগে অনিয়মিত হয়ে পড়ায় সেই আগ্রহবোধ হারিয়ে ফেলি ৷ সম্প্রতি এ বিষয়ক একটা পোস্টেকথা দেয়ায় মূলত এই পোস্ট লিখতে বসা ৷ মূল বিষয়ে যাওয়ার আগে একটি আপাত প্রাসঙ্গিক বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করতে চাই ৷ ব্লগার শিমুল আহমেদ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের এই প্রজন্মের ভার্সন ছাগু তাড়ানোতে ব্লগে সুশীলদের মৌনতা বা অনীহা নিয়ে এই পোস্ট দেন ৷ওই পোস্টে কমেন্ট করতে গেলাম কিন্তু আমার একটা অত্যন্ত বাজে স্বভাব হলো কোনো পোস্টে কমেন্ট করার আগে ওই পোস্টের কমেন্টসগুলো সম্ভব হলে আগে দেখে নেই ৷ চোখে পড়ল ঘুরিফিরি নামক ব্লগারের ৮৭নং কমেন্ট,কিন্তু ওই অসুস্থ মানষিকতা দেখে ওই পোস্টে কমেন্ট করার ইচ্ছেটাই পুরোপুরি হারিয়ে ফেলি ৷ আসুন দেখি সেই কমেন্টটা(তার প্রপিক ও কমেন্টটা ভালো করে দেখুন)
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে এই অসাধারণ একটা পোস্টে কেন এই ধরনের নোংরামি,এটা কি অন্য কোথাও করা যেত না ? নিজামীদের ঘৃনা করার জন্য কি ৭১এ তাদের কর্মকান্ডই যথেষ্ট নয় নাকি এভাবে সুন্দর সৃষ্টির মাঝে অসুস্থতা দিয়ে ব্লগারদের মাঝে তাদের জন্য নতুন করে ঘৃণার জন্ম দিতে হবে ?এটা কার কাজ হতে পারে সেটা নতুন ব্লগাররা না বুঝলেও একটু পুরনো ব্লগাররা ঠিকই বুঝার কথা কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো ওই পোস্টে এরপর আরো অনেকেই অন্যকে ছাগু প্রমান করার চ্যাষ্টা করলেও কেউই কিন্তু সেই কমেন্ট নিয়ে কিছুই বললেন না ! আশাকরি ব্লগার শিমুল আহমেদ তার প্রশ্নের কিছুটা হলেও উত্তর পেয়েছেন(ভুলবুঝে আবার ভাববেন না আমি নিজেকে সুশীল বলছি,আমি নিতান্তই নগন্য একজন ব্লগার তবে আমার ধারণা এসব অসুস্থতা দেখার পর অনেক সুশীল ব্লগাররা হয়ত তাদের আগ্রহ হারান)৷
এবার আসা যাক মূল বিষয়ে,ছাগু শব্দটা মূলত স্বাধীনতা বিরোধীদের জন্য সংরিক্ষিত থাকলেও এর অপব্যবহারে শব্দটা হারিয়েছে তার গুরুত্ব আর অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে ব্লগের একটা বিরাট অংশই কোনো না কোনো ভাবে ছাগু খেতাব প্রাপ্ত ৷ আমার পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে তিনটা কারণে ছাগু শব্দের অপব্যবহার করা হয় এক.ধর্মীয় কারণে দুই.একটা নির্দিষ্ট বলয়ের বাইরের জনপ্রিয় ব্লগারদের কোনঠাসা করতে ও তিন.শুধুমাত্র ভিন্নমতের কারণে
প্রথমে দেখা যাক ধর্মীয় কারণে কিভাবে ছাগু শব্দের অপব্যবহার করা হয়
এটা হয়ে থাকে প্রবলভাবেই ৷ ব্যাপারটা কতটা ভয়াবহ তা ব্যাক্ষা করার জন্য আমি তিন ধরনের ব্লগারকে সামনে আনছি;সম্পূর্ণ অপরিচিত ব্লগার,নতুন ব্লগার,পুরাতন ও জনপ্রিয় ব্লগার
ব্লগার তারেক মাসউদ,সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন ব্লগার ৷ তিনি ধর্মীয় পোস্টই দিয়ে থাকেন সাধারণত,কিছু পোস্টে একটু উগ্র মনোভাবের কারণে এর পর থেকে তাকে ছাগু ট্যাগ দিয়ে দেয়া হলো অথচ তার ব্লগ ঘুরে আসলে দেখা যায় এই পোস্টগুলো মিস্টার মওদুদী কেন কাফির হবে না?তাকে মরোনত্তোর মুরতাদ,কাফির ঘোষনা করা উচিত অথবা নিকৃষ্ট জীব গো'আযমের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম শাস্তি হওয়া উচিত অথবা জঙ্গি, রাজাকার জামাতিদের নবী মদুদী সি.আই. এর এজেন্ট কিন্তু এরপরও তিনি ছাগু ! ফলশ্রুতিতে একজন প্রচন্ড জামাত বিদ্বেষী লোক ছাগু ট্যাগ নিয়ে ব্লগ ছাড়া ।
চে গুয়েভারা ২ ,একজন নতুন ব্লগার ৷ তিনি ধর্মীয় কোনো পোস্ট দেন না কিন্তু ইভ টিজিং নিয়ে তার এই পোস্টে কিছুটা রক্ষনশীলতার ছাপ থাকায় তাকে কেউ কেউ মাদ্রাসার ছাত্র বানিয়ে দিলেন আর শান্তনু সুমন নামের এক ব্লগার ছাগু ডেকে অশ্লীল ভাবে গালিগালাজ শুরু করেন যার কারণে অবশ্য তাকে পরবর্তিতে ব্যান করা হয় ৷ কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এই চে গুয়েভারা২ মোটামুটি প্রতিদিনই রাজাকারদের মুখে যা আসে তাই গালি দিয়ে বেড়ান৷
অমি রহমান পিয়াল ব্লগে ছাগু তাড়াতে এমন কিছু নেই যা করেননি ৷ কিন্তু উঠান বাঁকা নামের এক ব্লগার,ব্লগার উদ্দীপন (যিনি ব্লগের নাস্তিকদের বিরুদ্ধে সরব) আর অআরপি এক এটা নিয়ে একটা পোস্ট দেন(যা এখন ড্রাফটেড) যেখানে আসিফ মহিউদ্দীন অআরপিকে ছাগবান্ধব আখ্যা দিয়ে দেন যা অনেকেই এসে সমর্থন করে যান ৷ অথবা দেখা যেতে পারে ব্লগার রনি রাজশাহীকে উনি ধর্মীয় ব্যাপারে অনেক পোস্টই দেন,তিনি উনার একটা পোস্টে(যা ড্রাফটেড) উনার ব্লগে কে কে ব্লকড সেটা বলার পর অনেকেই তাকে ছাগু আখ্যা দেন যদিও উনার সেই রকম কোনো কার্যক্রমই চোখে পরেনি(ব্লগারের আপত্তির কারণে এখানে কিছুটা এডিটেড) ৷ অথবা দেখা যেতে পারে ব্লগার ইউনুস খানকে যিনি পাড় জাতীয়তাবাদী ধারার ব্লগার ৷ তিনি ধর্মীয় পোস্ট না দিলেও নাস্তিকদের পোস্টে মাঝে মাঝেই তাকে সরব দেখা যায়,ফলশ্রুতিতে সামুর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই কার্যক্রমে এ্যাকটিভ ব্লগারদের অন্যতম হয়েও তিনি ছাগ বান্ধব বা ক্ষেত্র বিশেষে ছাগু খেতাব প্রাপ্ত ৷
দ্বিতীয়ত নির্দিষ্ট বলয়ের বাইরের জনপ্রিয় ব্লগারদের ক্ষেত্রে কিভাবে ছাগু শব্দের অপব্যবহার
এক্ষত্রে টার্গেট হন বেছে বেছে কিছু জনপ্রিয় ব্লগাররা
প্রথমেই আসা যাক বিডি আইডলের কথা,তিনিও ব্লগের গুটিকয়েক পাড় জাতীয়তাবাদী ধারার ব্লগারদের একজন একই সাথে সামুর অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্লগারদের একজন ৷ কেউ কেউ অস্বীকার করতে চাইবেন যে বিডি আইডলকে ছাগ বান্ধব বলা হয় না যদিও একটু চোখ খোলা রাখলেই দেখা যাবে এখন তাকে হরহামেশাই ছাগাইডল ডাকা হয়ে থাকে ৷ এর কারণ হিসেবে আমার কাছে মনে হলো উনি ব্লগের একটা বলয়ের সাথে উনার সুসম্পর্ক ধরে রাখতে পারেন নি,ফলশ্রুতিতে সম্ভবত কিছুদিন ব্লগ থেকেও তিনি দুরে ছিলেন ৷
এরপর আসা যাক লালসালুর ব্যাপারে,লালসালুও সামুর অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্লগারদের একজন এবং তিনি যতদুর জানা যায় বিএনপিএর সাংস্কৃতিক উইং এর সাথে জড়িত ৷ ব্লগে অনেকেই তাকে এখন লালছাগু বলে থাকেন,সম্ভবত এটা শুরু হয় গ্রাউন্ড ফ্লোরের এই পোস্টের মাধ্যমে ৷ এখানে মজার ব্যাপার হলো,লালসালুকে যারা সেভ করতে এগিয়ে আসেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ব্লগার নাস্তিক ব্লগার টানজিমা৷ তিনি গ্রাউন্ড ফ্লোরকে অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষায় সমালোচনা করে "শুনেন লালসালু কিভাবে লালছাগু হলো" এই শিরোনামে একটা কবিতার পোস্ট দেন(যা এখন ড্রাফটেড),তিনি যেভাবে গ্রাউন্ড ফ্লোরকে এ্যাটাক করেন ওই পোস্টে সেক্ষেত্রে আমি আপনি হলে আমাদের নিজামীর বাপ বানিয়ে দেয়া হত আর আমাদের বিরুদ্ধে শত শত পোস্ট আসত ৷ কিন্তু ছাগু খেতাব প্রাপ্ত লালসালুকে সেভ করতে আসা টানজিমাকে কেউ কখনো ছাগু বলেনি,তাও আবার ছাগুবিরোধী গ্রাউন্ড ফ্লোরের সমালোচনা করার পরও ব্যাপারটা কি বেমানন নয় ?
এরপর আসি পাহাড়ের কান্নার কথায়,ইনিও অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ব্লগার এবং সব ধরনের রাজনৈতিক ব্যাপারই এড়িয়ে চলেন ৷ কিন্তু তাতেও বেচারা রক্ষা পাননি,শিমুল আহমেদের এই পোস্টে প্রথমে ব্লগার নাহোল,ওয়ান ম্যান তাকে ছাগ বান্ধব বা ছাগু ট্যাগ দিয়ে দেন যা পরবর্তিতে ব্লগার সবাক এসে যা সমর্থন করেন ৷ পাহাড়ের কান্নার অপরাধ হলো তার পোস্টে নাকি ছাগুরা যায় সব তাই তিনি ছাগবান্ধব,তো তাহলে পাকা যদি ছাগুই হয় সেই একই যুক্তিতে বলা যায় উনার পোস্টে ব্লগের প্রায় অধিকাংশ মানুষ যায় বলে সেই ব্লগাররাও সবাই ছাগবান্ধব ৷ আরো মজার ব্যাপার হলো শিমুল আহমেদের ওই একই পোস্টে পাকার পক্ষে দাড়ান ব্লগার গরম কফি ও টানজিমা,তাহলে উনাদের যুক্তি অনুসারেই পাকার তথা ছাগুর পক্ষে সরাসরি এভাবে কথা বলার জন্য ব্লগার গরম কফি ও টানজিমাও কি ছাগ বান্ধব উপাধি পাওয়া উচিত নয় ? কিন্তু পাকা ছাগু বা ছাগবান্ধব হলেও পাকাকে সেভ করতে এগিয়ে আসা গরম কফি ও টানজিমা ছাগবান্ধব ট্যাগ পান না !
ব্লগের আরেকজন বেশ জনপ্রিয় ব্লগার হলেন হুপফূলফরইভারইনিও সম্প্রতি ছাগু ট্যাগ প্রাপ্ত হয়েছেন ব্লগার জোবায়ের এর দ্বারা ৷ অথচ উনিও কিন্তু সব ধরনের রাজনৈতিক পোস্টই এভয়েড করেন কিন্তু তাতেও উনার শেষ রক্ষা হয়নি,শেষ পর্যন্ত ছাগু ট্যাগ তাকে পেতেই হলো !
তৃতীয়ত শুধুমাত্র ভিন্নমতের কারণেই ছাগু শব্দের অপব্যবহার
আমার দৃষ্টিতে এটা হয়ে থাকে সম্ভবত সব থেকে বেশি ৷
প্রথমেই আসা যাক ব্লগার জিয়া চৌধুরীর ব্যাপারে,ব্লগার দিনমজুরের সেনাবাহিনী নিয়ে স্টিকি পোস্টের বিরোধিতা করে এই পোস্ট দেয়ার জন্য ব্লগার টেলি সামাদ তাকে ছাগু ট্যাগ দিয়ে দিলেন ৷ পরবর্তিতে জিয়া চৌধরী যখন মুনতাসির মানুনের সাথে উনার কিছু ছবি দিলেন তখন তখন তাকে বলা হলো ঠিক আছে আপনাকে আপাতত ওয়াচে রাখলাম ৷ কিন্তু সেই একই অপরাধে দুষ্ট সাদা ছায়া যখন স্টিকি পোস্টের বিরোধিতা করে এই পোস্ট দিলেন তখন কিন্তু টেলি সামাদ ওই পোস্টে গিয়ে সাদা ছায়াকে ছাগু ট্যাগ দিয়ে আসেননি ৷ একই অপরাধে একজন হলেন ছাগু কিন্তু অন্যজন কিছুই না !
এরপর আসা যাক ব্লগার কবির চৌধুরীর ক্ষেত্রে,বেচারা ২৮শে অক্টোবরের ব্যাপারে এই পোস্টে(পোস্ট উনি সম্ভবত দুক্ষে ড্রাফট করে দিয়েছেন) মানবিকতা দেখানোয় হয়ে গেলেন ছাগু ৷ ব্লগার স্বপ্নকথক তাকে বানিয়ে দিলেন সুশীল ছাগু এই পোস্টে(পোস্ট এখন এডিটেড,তবে আমার বক্তব্যের সত্যতা পাবেন ওই পোস্টে ব্লগার শিপু ভাই এর কড়া ৪৩নং কমেন্টে) ৷ কিন্তু সেই একই দোষে দুষ্ট নাস্তিক ব্লগার প্রলাপযখন মানবিকতা দেখিয়ে এই পোস্ট বা এই পোস্ট দেন তখন কিন্তু কেউ তাকে ছাগু বা ছাগ বান্ধব ট্যাগ দেয় নি ৷তাহলে কি শুধু নাস্তিকদেরই মানবতা জেগে উঠতে পারবে কিন্তু অন্য সাধারণ কারো জেগে উঠলেই সে হয়ে যাবে ছাগু,এটা কি ধরনের বিচার? ফলশ্রুতিতে কবির চৌধিরী এখন ব্লগে সম্ভবত অনেকটাই অনিয়মিত অথচ বেচারা পরে থাকতেন গান নিয়েই বেশিরভাগ সময় ৷
ব্লগার রাষ্ট্রপ্রধান,তিনি যথেষ্ট গোবেচারা টাইপের হওয়ার পরও ব্লগার টেলি সামাদ তাকে ছাগু ট্যাগ ধরিয়ে দেন যা এখন আরো কেউ কেউও করছেন ৷ এই ব্লগার রাষ্ট্রপ্রধানকে কখনই রাজাকারদের সাপোর্ট দিয়ে কিছু বলতে দেখিনি তারপর তিনি ছাগু ট্যাগ খ্যাত,আরো মজার ব্যাপর হলো তাকে যেন ছাগু ট্যাগ না দেয়া হয় এজন্য তিনি আমি ছাগুও না , ভাকু না , টেরোরিষ্টও না , আমি বাংলাদেশী শিরিনামে মজার এই পোস্টটি দিয়েছিলেন ! অথচ এই ব্লগার রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে অনেক সিনিয়র ব্লগারেরই দেখি সুসম্পর্ক কিন্তু ছাগু ট্যাগ প্রাপ্ত রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে তাদের সম্পর্ক থাকলেও তাদেরকে ছাগবান্ধব বলা হয় না ৷
ব্লগার নষ্ঠছেলে,তিনিও সাম্প্রতিক কালে ছাগু ট্যাগ প্রাপ্ত ব্লগার জোবায়ের এর দ্বারা অথচ তিনিও কিন্তু প্রবলভাবেই রাজাকার বিরোধী যার প্রমান হিসেবে কিছুদিন আগে আমার একটা পোস্টে উনার একটা কমেন্ট তুলে ধরলাম,এটা বলার পরও কিন্তু তিনি ছাগু
ব্লগার দোয়েত আন্নাহাল,একদমই নতুন একজন ব্লগার ৷ তিনি ইভ টিজিং নিয়ে একটা পোস্টে(পোস্ট ড্রাফটেড) একটা আপত্তিকর ছবি দিয়ে দেন,এর জন্য ব্লগার রাতমজুর উনাকে দিয়ে দিলেন ছাগু ট্যাগ ৷ শুধু তাই নয় ব্লগার রাতমজুর অত্যন্ত বাজে ভাবে টেনে নিয়ে আসেন তার মা বোনকে যা অন্য ব্লগাররা আপত্তি করেন,এটা কোনভাবেই একজন এত সিনিয়র ব্লগারের কাছ থেকে কাম্য ছিল না ৷ ব্লগার রাতমজুর হয়ত এর একটা ব্যাক্ষা দাড় করাতে পারবেন কিন্তু ভেবে দেখেন ছেলেটা একদমই নতুন,বার বার বলছিল ভাই আপনি আমাকে মাফ করে দেন আর আসেন আমরা ভাই ভাই হয়ে যাই আমিও ছবি মুছে দেব আপনার কথামত ৷ কিন্তু দুক্ষজনক হলেও সত্য সেটা করা হয়নি বরঞ্চ তাকে নিয়ে দেয়া হয় এই পোস্ট৷ফলশ্রুতিতে একজন সম্পূর্ণ নবীন ব্লগার এখন সম্ভবত ব্লগ ছাড়া ৷
ব্লগার মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন যিনিও ছাগু ট্যাগ প্রাপ্ত,কিন্তু উনার সাম্প্রতিক পোস্টে গেলে দেখবেন যারা তাকে ছাগু ট্যাগ দিয়ে এতদিন গালাগালি করলো সেই ব্রিগেডিয়ার আলফা ,প্রলাপ ,সন্যাসী,স্টাডি-ইটিই,শিমুল আহমেদ(শেষের দুজনকে অবশ্য গাজিগালাজ করতে দেখিনি,বেশির ভাগই মূলত নাস্তিক ব্লগার) গিয়ে উনাকে বাহবা দিয়ে আসেন ৷ যারা ছাগু তাড়াতে গিয়ে মুখে গালির ফেনা তুলেন অথবা প্রচন্ড ছাগু বিরোধী মনোভাব নিয়ে ছাগুদের বিরদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন কিংবা জামাতকে সমালোচনা নামে ধর্মের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ ঝাড়েন তারাই কিনা নিজেদের দেয়া ছাগু ট্যাগের লোকের পোস্টে গিয়ে ছাগুকে বাহবা দেন এটা কতটা মানানসই,কোথায় থাকে তখন প্রচন্ড জামাত বিদ্বেষ বা নীতি নৈতিকতার সেই মধুর বাণী ? অথচ এই কাজটাই আমরা সাধারণ ব্লগাররা করলে মেঘলার পোস্টে যাওয়ার জন্য আমরা ছাগু বা ছাগ বান্ধব হয়ে যেতাম নির্ঘাত কিন্তু তাদেরকে এই জন্য কেউ ছাগ বান্ধব বলতে পারবে না !
ব্লগার গ্রাউন্ড ফ্লোর ,ছাগু তাড়াতে সর্বদাই এ্যাকটিভ ৷ ছাগুদের গালাগালি না করে ওদের পোস্টে কমেন্টের একটা টেম্পলেট উনারা তৈরী করেছেন,যেটা গালাগালি থেকে হাজার গুনে ভালো ও অনেক বেশি কার্যকরী আমার ধারণা অনুযায়ী ৷ কিন্তু সম্প্রতি গ্রাউন্ড ফ্লোরকেও কোথায় যেন দেখলাম কে ছাগবান্ধব ট্যাগ দিয়ে দিলেন !
আরো অনেক অনেক ব্লগারের কথা তুলে ধরার ইচ্ছে ছিল কিন্তু লেখাটা অলরেডি যথেষ্ঠ বড় হয়ে যাওয়ায় আর আপাতত হাতে আর সময় না থাকায় এখানেই শেষ করলাম ৷ এভাবে ব্লগে প্রচুর অসঙ্গতি পাওয়া যাবে যেখানে যে যেভাবে পারে নিজের সুবিধামত ছাগু ট্যাগ দিয়ে বেড়ায় ৷ আবার আপনি যদি একটা নির্দিষ্ঠ বলয়ের সাথে আপোষ করে বা নিজেকে ব্লগে নাস্তিক পরিচয় দিয়ে ছাগুদের সাথে গলাগলি করেন সেক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ছাগু ট্যাগ দেবে না বা দেবার কথা চিন্তাও করবে না ৷ এভাবেই ব্লগে চলছে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কিন্তু এতে লাভ হচ্ছে কাদের,প্রকৃত ছাগুদের কারণ যত্রতত্র অপব্যবহার আবার নিজেদের দেয়া ছাগু ট্যাগের লোকের সাথে মাখামাখির ব্যাপারটা ছাগু শব্দটাকে করেছে একদমই গুরুত্বহীন ৷ কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে কিছু ভালো বা একদমই আনকোড়া ব্লগারের,ভালো ব্লগাররা অযথা ছাগু ট্যাগের কারণে হারাচ্ছেন অন্য ব্লগারদের কাছে(যাদের ব্লগের এই ভীতিকর অবস্থা সম্পর্কে কোনো ধারনাই নেই) তাদের গ্রহণযোগ্যতা আর নতুন ব্লগাররা ভয়েই ব্লগ থেকে দুরে সরে যাচ্ছেন !
বি.দ্র.: এই পোস্টে ভালই গালাগালির হতে পারে বলে ধারণা করছি,তাই কমেন্ট মডারেসন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তা করলে কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনা ব্যাহত হবার সম্ভাবনা থাকে ৷ তাই কারো গালি দেয়ার ইচ্ছে হলে অনুরোধ থাকবে প্লিজ গালি না দিয়ে মাইনাস দিয়ে যান ৷ আর যদি তারপরও গালি দেন তাহলে বলব আমাকে যেই গালিটা আপনি দিলেন তা কিন্তু আসলে আপনি নিজেকেই দিলেন ৷
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৩