দু:খিত সমমনা ব্লগারগন। আজ অনেক ছাগুবিরোধী সহযোদ্ধাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করতে বাধ্য হলাম। ২৮ অক্টোবর একটি, দুটি নয় অনেকগুলো ট্রাজেডির ফলাফল।
ট্রাজেডি-১: আজও আমাদের দেশে জামাত-শিবির নামক স্বাধীনতাবিরোধি যুদ্ধাপরাধী শক্তিটি শক্রিয়। তাদের প্রকাশ্য কর্মকান্ড আমাদের চেয়ে চেয়ে দেখতে হয়।
ট্রাজেডি ২: আজও আমাদের সমাজে তরুনরা ব্রেনওয়াশড হয়ে জামাত-শিবির সমর্থকে পরিণত হয়, আর চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আমরা কিছুই করতে পারি না।
ট্রাজেডি ৩: দেশের প্রতিশ্রুতিশীল এক বিশাল তরুনদল আজও চিহ্ণিত রাজাকারদের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। আমরা ব্যর্থ তাদের সুপথে ফিরিয়ে আনতে।
২৮ অক্টোবর যে লোকগুলো নিহত হয়েছিল, হয়তো তাদের মৃত্যুর পিছনে তারা অথবা আওয়ামীলীগের কর্মীরাই দায়ী। কিন্তু এই সমাজের সদস্য হিসেবে আমাদেরও কি দায়ভার নেই। মানুষ সমাজেরই প্রডাক্ট। তাই মানুষের অপরাধের দায়ভারও কিছুটা হলেও পুরো সমাজের ওপরই বর্তায়। নিজামি-মুজাহিদদের ভোট দিয়ে মণ্ত্রী হওয়ার সুযোগ দিয়ে তাদের চ্যালা-চামুন্ডাদের পিটিয়ে মেরে আত্মতৃপ্তিতে ভোগার কোন কারণ নাই। সমস্যার সমাধান মাথা থেকেই করতে হবে। নাহলে হাজার হাজার পুচকে-দরিদ্র-ব্রেনওয়াশড কর্মীকে পিটিয়ে মেরেও কোন লাভ হবে না।
তাই বলতে চাই ২৮ অক্টোবর আমাদের উল্লসিত হওয়ার দিন নয়, বরং এই ট্রাজেডি যেন আর না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য সচেতন হওয়ার দিন। আসুন ২৮ অক্টোবরে আমরা অন্তত একজন জামাত সমর্থককে ব্যাক্তিগতভাবে বোঝানোর চেষ্টা করি যে তাদের অবস্থানটা ভুল এবং মানবতাবিরোধী।