somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিব খেরা-তুমিও জিতবে ৫ (স্রোত) B-)

০২ রা মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভালো একটা বই
হতাশাবাদী কাকে বলে ?
-যারা নিজেদের হতাশার কথা বলতে না পারলে অসুখী হন।
-যারা নিজের প্রকৃত অবস্থা ভালো হলেও খারাপ বলে ভাবতে অভ্যস্থ।
-যারা জীবনের অনেকটা সময়ই অভিযোগ করে কাটিয়ে দেন।
-যারা আলো নিভিয়ে দিয়ে পরীক্ষা করেন, অন্ধকার কতটা গভীর।
-যারা জীবনের আয়নায় সর্বদাই চিড়ের অনুসন্ধান করেন।
-যারা বিছানাতে বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যৃ হয়েছে শোনার পর, বিছানায় ঘুমোনো বন্ধ করে দিয়েছেন।
-যারা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ের ভয়ে স্বাস্থ্যের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না ।
-যারা সব সময়েই খারাপ অবস্থার আশঙ্কা করেন এবং সমস্ত ঘটনাকেই গুরুতর খারাপ করে তোলেন।
-যারা রসগোল্লার ছিদ্রগুলিই দেখেন অন্য কিছু দেখেন না।
-যারা মনে করেন সূর্য কেবল ছায়ার সৃষ্টি করে।
-যারা শুধুমাত্র দুঃখের হিসেব করেন, সুখের কথা ভুলে যান।
-যারা জানেন যে কঠিন শ্রম কারুর কোনও ক্ষতি করে না, কিন্তু বিশ্বাস করেন, “কোনও ঝুঁকি নেওয়া ঠিক নয়।”

আশাবাদী কি ? কয়েকটি কথায় আশাবাদীর পরিচয় দেওয়া যেতে পারে।
মানসিক দিক থেকে এতদূর হবেন যে মনের শান্তি কোনওভাবেই বিঘ্নিত হবে না। প্রত্যেকের স্বাস্থ্য, সুখ ও সমৃদ্ধির কথা বলবেন। কথাবার্তায় বন্ধুদের মনে এই বিশ্বাস জন্মাবেন যে তাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু শক্তি আছে। প্রত্যেক বিষয়ের উজ্জ্বল দিকটাই দেখার চেষ্ট করবেন। কেবল শ্রেষ্ঠদের বিষয়ে চিন্তা করবেন, শ্রেষ্ঠ সংস্থার জন্য কাজ করবেন এবং সবচেয়ে ভালো ফল প্রত্যাশা করবেন। নিজের সাফল্যে যেমন উৎসাহ পান, অপরের সাফল্যেও তেমনি উৎসাহ দেখাবেন। অতীতের বিচ্যুতি ভুলৈ গিয়ে ভবিষ্যতে সাফল্যে চেষ্টা করবেন। প্রত্যেকের জন্য থাকবে স্মিতহাসি। নিজেকে উন্নত করার জন্য এত সময় ব্যয় করবেন, যেন অপরের সমালোচনা করার জন্য সময় অবশিষ্ট না থাকে। এত বড় হবেন যেন উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কাবু করতে পারে, এত মহান হবেন যেন ক্রোধ না বশীভূত করতে পারে।

দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ কাজ এখনই শেষ করার অভ্যাস আয়ত্ত করুন
জীবনে কোনও না কোনও সময়ে আমরা দীর্ঘসূত্রতার শিকার হয়েছি। এর ফলে পস্তাত হয়েছে। দীর্ঘসূত্রতা নেতিবাচক মনোভাবের জন্ম দেয়। প্রকৃতপক্ষে পরিশ্রম করে কাজটি শেষ করতে যত না ক্লান্তি আসে, দীর্ঘসূত্রতার অভ্যাস তার থেকে বেশি ক্লান্ত করে । একটি সুনিষ্পন্ন কাজ মনকে দেয় সম্পূর্ণতার তৃপ্তি এবং কর্মোদ্যম; আর অসমাপ্ত কাজ একটি ছিদ্রযুক্ত জলাধারের মতো-সমস্ত কর্মশক্তিকে নিঃশেষিত করে দেয়। একটি ইতিবাচক মানসিকতা গঠন করতেও বজায় রাখতে বর্তমানের মধ্যে বাঁচার এবং হাতের কাজগুলি এখনই করার অভ্যাস করতে হবে।
চাঁদের আলোয় মধুর আলস্যে সে দিয়েছে নিদ্রা,
সুর্যের উত্তাপ সে উপভোগ করেছে সমস্ত দেহ দিয়ে,
কিছু কাজ করতে হবে-এই ভেবে ভেবে সে বেঁচেছে সারাজীবন,
মৃত্যু যখন এসে দরজায় দাঁড়াল, তখনই কিছুই করা হয়ে ওঠেনি।
----- জেম্স এ্যালবেরী


ছোট ছেলেটি বাল্যকালে ভাবে যে বড় হে আমি এই ভাবে কাজ করব এবং সুখী হব। যথন বড় হল, তখন ভাবল, কলেজের পাঠ শেষ করে এই এই কাজ করাব এবং সুখী হব। কলেজের পাঠ শেষ করে ভাবল এই বার একটা চাকুরি পাই, তারপর বেশ কিছু কাজ করাব। চাকরি যখন পেল তখন ভাবল এইবার বিয়ে করি, তারপর অন্য ভালো কাজে হাত দেব। কিন্তু বিয়ের পরও যখন কিছু করতে পারল না, তখন ভাবল বাচ্চাদের লেখাপড়া শেকা শেষ হোক, তারপর দেখা যাবে। শেষ পর্যন্ত অবসর নেওয়ার পর দেখল জীবন কখন তার চোখের সামনে দিয়ে বয়ে চলে গেছে। কাজ সে কিছুই করতে পারেনি।

খুব বড় বড় কথা বলে অনেকে দীর্ঘসূত্রতাকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। কাজ শেষ না হওয়ার অজুহাত হিসাবে বলেন,“আমি বিশ্লেষণ করে দেখেছি।” ছয়মাস পরেও দেখা যায় সেই বিশ্লেষণ চলছে, তখনও শেষ হয়নি। এটা এক ধরনের রোগ, যাকে বলা যায় “বিশ্লেষণের পক্ষাঘাত।” এরা কখনই কাজে সফল হবেন না।

আর একদল আছেন যারা বলেন, ‘আমি তৈরি হচ্ছি’ । ছমমাস পরেও সেই একই উত্তর ‘তৈরি হচ্ছি।’ এদের রোগকে বলা যায় ‘অজুহাতম্বর’। সব সময়েই কাজ না করার অজুহাত দেখিয়ে কাজ এড়িয়ে যান।

জীবনটা অভিনয়ের আগে ‘ড্রেস রিহার্সেল’ নয়। যে জীবন দর্শনেই বিশ্বাস থাকুক না কেন, জীবনের খেলায় আমাদের হাতে মাত্র একটি গুলি আছে। এই খেলার বাজি অনেক বেশি-বাজি হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

কোথায় এবং কখন, এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় এখানেই এবং এখনই। বর্তমান সময়কে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা প্রয়োজন। এর অর্থ অবশ্য এই নয় যে ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই। সে প্রয়োজন অবশ্যই আছে। যদি বর্তমানকে যথাযথভাবে কাজে লাগান যায়, তবে, স্বাভাবিকভাবে, তাই হবে ভবিষ্যতের জন্য বীজ বপন করা।

তৃতীয় পদ্ধতি ঃ কৃতজ্ঞ হওয়ার মানসিকতা তৈরি হওয়া দরকার-
জীবনে যা প্রসাদ লাব করেছেন তারই হিসেব করুন, কেবল দুঃখ কষ্টের নয়। সময়মত গোলাপের সুবাস গ্রহণ করুন । কেউ কেউ দুর্ঘটনায় বা অসুখে অন্ধ হয়ে গেলে দশ লক্ষ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও সুস্থ মানুষ কি দশ লক্ষ ডলার পাওয়ার লোভে অন্ধ হতে চাইবেন? অনেকেই চাইবেন না। আমাদের যা নেই তা নিয়ে আমাদের অভিযোগ এত সোচ্চার যে আমাদের যা আছে তার দিকে নজর দিতে পারি না। বস্তুবপক্ষে, আমরা যা পেয়েছি তার জন্যই আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।

কিভাবে আপন আপন মানসিকতা অনুযায়ী বক্তব্যকে গ্রহণ করা হয় তার একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে । একজন ডাক্তারকে অতিথি বক্তা হিসাবে একদল সুবাসক্ত মানুষের সভায় বক্ততা দিতে আহ্বান করা হয়েছিল । সুরাসক্তি মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে কতখানি ক্সতিকরা তা প্রমাণ করারজন্য তিনি একটি জোরালো পরীক্ষা করে কতখানি ক্ষতিকর তা প্রমাণ করার জন্য তিনি একটি জোরালো পরীীক্সা করে বক্তব্যটি সকলকে বোঝাতে চেয়েছিলেন। দুটি পাত্রের একটিতে জল, অপরটিতে নির্ভেজাল মদ নিয়ে, প্রথমে জলের পাত্রে একটি কেঁচো ছেড়ে দিলেন। কেঁচোটি বেশ নড়ে চড়ে বেড়াতে লাগল। তারপর সেটি তুলে নিয়ে নির্ভেজাল মদের পাত্রে রাখলেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কেঁচোটি টুকরো টুকরো হয়ে পাত্রের মদের সঙ্গে মিশে গেল। তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন মদ পরীক্ষার দ্বরা কী প্রমাণ হোল । পেছন থেকে সুরাসুক্তদের একজন বললেন, “মদ খেলে পাকস্থলীতে কেঁচো হবে না।” অবশ্যই এটি ডাক্তারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল না। কিন্তু শ্রোতাদের মধ্যে কেউ কেউ তাদের নিজের নিজের মানসিক প্রবণতা অনুযায়ী অর্থ করে নিয়েছেন। এইভাবে অনেকে পূর্বনির্ধারিত চিন্তুর প্রবাবে প্রকৃত বক্তব্যকে গ্রহণ করতে পারেন না।

জীবনে অনেক প্রাপ্তি লুকানো সম্পদের মতো- তাদের প্রকৃত মূল্য আমরা জানি না । এইগুলিকেই বড় করে দেখা উচিত, দুঃখ কষ্টকে নয়।

চতুর্থ পদ্ধতি ঃ ক্রমাগত শিক্ষাগ্রহণের মনোভাব তৈরি হোক -
শিক্ষা সম্পর্কে একটি ভুল ধারণার নিরসন দরকার। অনেকে মনে করেন আমরা স্কুল-কলেজে শিক্ষালাভ করে শিক্ষিত হই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সেমিনারে যোগ দিতে গিয়ে আমি শ্রোতাদের প্রায়ই জিজ্ঞাসা করি, “আপনারা কি স্কুল-কলেজে প্রকৃত শিক্ষা লাভ করেছেন?” এ বিষয়ে সবাই একমত যে কেউ কেউ প্রকৃত শিক্ষা লাভ করলেও, বেশিরভাগই সে শিক্ষা পায়নি। স্কুলখ-কলেজে তথ্যপূর্ণ অনেক শিক্ষা পাই; কিন্তু শিক্ষার অনেকটাই বাকি থাকে। শিক্ষায় তথ্য, ঘটনাবলী ইত্যাদি জানার খুবই প্রয়োজন; কিন্তু তাতেই শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না । আমাদের শিক্ষার সত্য অর্থ জানা দরকার।

বুদ্ধিগত শিক্ষা আমাদের মস্তিষ্ককে উর্বর করে, এবং মূল্যবোধের শিক্ষা আমাদের হৃদয়বৃত্তিকে সমৃদ্ধ করে। বস্তুবপক্ষে যে শিক্ষা আমাদের হৃদয়কে সুশিক্ষিত করে না, সে শিক্ষা বিফল। আমাদের পরিবার, সমাজ ও কর্মস্থলের উপযোগী চরিত্র গঠনের জন্য নীতিবোধ ও নীতিশিক্ষার প্রয়োজন। যে শিক্ষা চরিত্রে সততা, সহমর্মিতা, সাহস, একগ্রতা ও দায়িত্ববোধের মতো মৌলিক গুণাবলী গঠন করে সেই শিক্ষারই একান্ত প্রয়োজন। আমরা কেবল ডিগ্রির মানদন্ডে মাপা শিক্ষা চাই না- আমরা চাই মূল্যবোধের শিক্ষা। জোরের সঙ্গে বলা যায় , যে ব্যক্তি নীতিবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত, তার খুব উচ্চ ডিগ্রিধারী অথচ ণিিতবোধ বর্জিত ব্যক্তির থেকে জীবনে উন্নতি করার সম্ভাবনা অনেক বেশি। চরিত্র গঠন এবং নীতি ও মূল্যবোধের শিক্ষা যে সময় বাচ্চারা বড় হয়ে উঠে সেই সময়েই দেওয়া ভালো, কারণ তখন বাচ্চাদের মনে কোনও পূর্বনিদিষ্ট ধারণা থাকে না ।

মূল্যবোধহীন শিক্ষা
প্রকৃত শিক্ষায় বুদ্ধিবৃত্তি ও হৃহয়বৃত্তি দুইই সমৃদ্ধ হয়। একজন অশিক্ষিতি চোর মালগাড়ি থেকে চুরি করে, কিন্তু একজন শিক্ষিত চোর পুরো রেলপথটাই চুরি করে নিতে পারে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট স্টিবেন মুলার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অবীব দক্ষ বর্বর তৈরি করছে, কারন আমরা তরুনদের কোনও মূল্যবোধের শিক্ষা দিচ্ছি না, যদিও তারা ক্রমাগত সেই মূল্যবোদের অনুসন্ধান করে চলেছে।”

‘গ্রেড’ পাওয়ার জন্য নয়, আমাদের প্রতিযোগিতা হওয়া উচিত জ্ঞান ও বৈদগ্ধ লাভের জন্য। জ্ঞানী তথ্য আহরণ করে আর বিদগ্ধ ব্যক্তি যে তথ্যগুলিকে সরলীকরণ করে তার তেকে প্রজ্ঞা লাব করে। বিশেষ কিছু হৃদয়ঙ্গম না করেও একজন ভালো ‘গ্রেড’ বা ভালো ‘ডিগ্রি’ পেতে পারেন। কিভাবে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হয় সে বিষয়ে অবহিত হওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন । অনেক বিষয় স্মরন রাখার ক্ষমতাকেই শিক্ষা বলে না । নীতিবোধ ছাড়া শিক্ষা সমাজের কাছে ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে।

শিক্ষা সবসময় শুভ বিচার-বুদ্ধিকে জাগ্রত করে না ঃ একজন ব্যক্তি রাস্তার ধারে সন্তার খাবার হট্ডগ্ বিক্রি করত। সে ছিল অশিক্ষিত, তাই খবরের কাগজ পড়ত না; কানে কম শুনত, তাই রেডিও শুনত না; চোখের দৃস্টি কমজোর, তাই চেলিভিশন দেখত না । কিন্তু উঃসাহের সঙ্গে হট্ডগ্ বিক্রি করে বিক্রি ও লাভ অনেক বাড়িয়ে ফেলেছিল। ব্যবসা বেড়ে যাওয়ায় তার কলেজ থেকে পাশকরা গ্র্যাজুয়েট চেলে তার সঙ্গে যোগ দিল।

তারপরই সেই আশ্চর্য ঘটনা ঘটল, “বাবা, তুমি কি জান দেমে এখন অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, যার ফলে আমাদের ব্যবসাও মার কাবে? বাবা বলল, “আমি তো জানি না, ব্যাপারটা কি বলতো।” ছেলে বলল, “আন্তর্জাতিক অবস্থা গুরুতর; অভ্যন্তরিীণ অবস্থা আরও খারাপ। আগামী দিনের খারাপ সময়ের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। লেঅকটি ভাবল, ‘চেলে কলেজে পড়েছে, খবরের কাগজ পড়ে, রেডিও শোনে; সুতরাং তার এই কমস্ত বিষয় জানার কথা । তার উপদেশ অগ্রাহ্য করা ঠিক হবে না। ’ এই বেবে সে পরে দিন থেকে রুটি-মাংসের অর্ডার কমিয়ে দিল। দোকানের বোর্ড খুলে নিল। ব্যবসায়ে তার আগ্রহ গেল কমে। সঙ্গে সঙ্গে খদ্দেরদের মধ্যেও তার হট্ডগের চাহিদা কমে গেল। বাবা তখন ছেলেকে বলল, “তুমি ঠিকই বলেছিলে, আমরা একন অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে পড়েছি। তুমি যতাসময়ে আমাকে সাবধান করে দিয়েছিলে বলো আমি খুশি।”

এই গল্পের নৈতিক উপদেশটি কী?
১. অনেক সময় আমরা মেধা এবং সুবিবেচনার মধ্যে ভেদাভেদ নির্ধারন করতে পারি না।
২.কেউ কেউ খুব মেধাবী, কিন্তু বিচার-বিবেচনা করার ক্ষমতার অভাব দেখা যায়।
৩. যত্নের সঙ্গে উপদেশ নির্বাচন করা উচিত, নিজের বিচার বুদ্ধি সবক্ষেত্রেই ব্যবহার করা উচিত।
৪. প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও মানুষ সফল হতে পারে যদি তার মধ্যে নিুলিখিত গুনাবলী থাকে - চরিত্র,দায়বদ্ধতা,দৃঢ়বিশ্বাস,সৌজন্যবোধ,সাহস
৫.দূর্ভাগ্যের কথা ঃ অনেকে জ্ঞানের দিক তেকে চলন্ত বিশ্বকোষ, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে চুড়ান্ত ব্যর্থ।
মেধা হচ্ছে দ্রুত শেখার ক্ষমতা, শিক্ষাকে দ্রুত কাজে লাগানোর দক্ষতাকে বলে সক্ষমতা। যে বিষয়ে শিক্ষা নেওয়া হয়েচে তাকে কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করার আকাঙক্ষা ও ক্ষমতা যদি থাকে, তবে তাকেই বলে যোগ্যতা। আকাঙক্ষা হচ্ছে এমন একটি মানসিক অবস্তা যার সাহায্যে দক্ষ মানুষ যোগ্য মানুষ হয়ে ওঠে। উইনষ্টন চার্চিল বলেছিলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্তব্য হচ্ছে ছাত্রদের জ্ঞানার্জনের সহায়তা করা, ব্যবসা-বানিজ্য শিক্ষা দেওয়া নয়; চরিত্র গঠনের উৎসাহ দেওয়া কলাকৌশলগত শিক্ষায় নয়।”

(চলবে)
টাইপকারক স্রোত

শিব খেরা-তুমিও জিতবে ১
Click This Link
শিব খেরা-তুমিও জিতবে ২
Click This Link
শিব খেরা-তুমিও জিতবে ৩
Click This Link
শিব খেরা-তুমিও জিতবে ৪
Click This Link

৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×