somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কইন চাইন দেহি আমি কেডা-2

২২ শে মে, ২০০৬ ভোর ৫:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার পোষাক নিয়া অনেকে কথা বলে। কিন্তু আমি আমার যা ইচছা তাই পরি...যা পরলে রামছাগল কম মনে হয়...একটু গরু গরু লাগে...সেইটা পইরাই আমি রাস্তার কলার চুকলা খাইতে বারাই....খাওয়ার বিষয়ে আমার নজর বেশ নীচের দিকে... খাদ্য অখাদ্য যাই হোক, আমার পায়ের নীচে পড়লে ডাইল। তারপর কুড়ুৎ কুড়ুৎ করে আমি উদরস্থ করে ফেলি। আর নাইলে ভর্তা বানাই। রীতিমত শিং দিয়া গুঁতাইয়া আলুভর্তা। এইবার খাও..যত পারো।

মানুষে বলে ছাগলে কিনা খায়। ওরা জানে না রামছাগলে কিনা খায়। লঞ্চ তো খাইই, দিনার ও খাই। মাঝে মাঝে চাইনিজ দোকানে হানা দেই। ওরা তাড়া দেয় লাঠি নিয়া। কিন্তু আমার সাথে কি পারে? আমি একদম অলিম্পিক স্পিডে ফাস্ট ঢুকাইয়া দেই ফুড, মুখের মধ্যে। তারপর চাবা। মারলে একটা চিক্কুর দেই। ভ্যাঁ...............। আমি রামছাগল বইলা আমার কি বিদেশি খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হইতে পারে না। ডিফারেনসটা বুঝতে অইবো না।

সবাই এখন রেস্টুরেন্টের মধ্যে বইসা খায়। আমার সুবিধা হয় না। তবে মাঝে মাঝে মানুষের বাচ্চাদেরকে রাস্তায় আইসক্রিম খাইতে দেখি। আমারে দেখলে ওরা ভয়ে দিয়া দেয়। কিন্তু আমার খাইতে বেশি ভালা লাগে না। ঠান্ডা। এইটা খাইলে মাথাটা বেশি ঠান্ডা মাইরা যায়। তখন মাইনষে ডান্ডা মারে। ব্যথা পাই। তবে মাথা বেশি গরম হইয়া গেলে লিটার লিটার খায়া ফালাই। লিটার কইতে আপনারা আবার ডাস্টবিনের কথা মনে আইয়েন না।

মাঝে মাঝে আমার ইংলিশে কথা কইতে ইচ্ছা হয়। বিশেষ কইরা প্যান্ট শার্ট পরা মেয়েদের দেখলে একটা রিয়েল ফ্রেন্ডশিপ করতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু আমারে সিম্পল দেখে তারা আর টাইম ওয়েস্ট করে না। আমার টাইম তো কবেই বেটাইম অইয়া গেছে। তবে মাইরের মত হিউমারও আমার ভালো লাগে। তবে সবচে ভালো লাগতো এমন যদি বন্ধু পাইতাম যে রামছাগল জানার পরও আমার বন্ধু অইতো। মাঝে মাঝে আমার ভ্যা ভ্যা সঙ্গীত মনোযোগ দিয়া শুনতো আর আমারে ছাগল কইয়া গালি না দিতো। তাইলে আমি আমার ছাগলামী-ভরা মনটা তারে দিতে পারতাম।

এইসব নিয়াই আমি খুব অসাধারণ একটা রামছাগল।
(বি:দ্র: একটা কথাও আমি বানাইয়া বানাইয়া কই নাই। বিশ্বাস না হয় আমার প্রোফাইল পইড়া দেখেন। কেউ তো পড়েন না রামছাগলের আত্মকাহিনী..তাই আবার লিখলাম। এখন কইন চাইন দেহি আমি কেডা?)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন পারাবার: শঠতা ও প্রতারণার উর্বর ভূমি

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪০


অনার্সের শেষ আর মাস্টার্সের শুরু। ভালুকা ডিগ্রি কলেজের উত্তর পার্শ্বে বাচ্চাদের যে স্কুলটা আছে (রোজ বাড কিন্ডারগার্টেন), সেখানে মাত্র যোগদান করেছি। ইংরেজি-ধর্ম ক্লাশ করাই। কয়েকদিনে বেশ পরিচিতি এসে গেল আমার।

স্কুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×