দেহে ক্যান এত জল?
উথালি পাথালি স্রোতে ডুবি ডুবি-
ক্যান জন্মে জল রক্তের রঙ নিয়া?
কোনওদিন নাও পাইলোনা টান,মাঝি।
গাঙ তোমার বৈঠার ঘায়ে কান্দে কেবল,
কান্দে যেমন বিয়ার কইন্যা।
তোমার রক্তে উজান বাইয়া
কোন রূপসী ঝুমুর ঝুমুর মলের সাথে নাচে,
ভাসে ;দেবীর ভাসান নয় গো মাঝি-
রূপের পশরা সাজে।
কত নদী যৌবন হারাইয়া মরুভূমি হয়;
পরাণটা কাঁপে মাঝি,পরাণটা কাঁপে।
মাঝে মাঝে গাঙ, মাঝি,
স্বপন দ্যাখায়,স্বপন শোনায় কানে কানে-
যেমনধারা বিরহী বাতাস চুমু দিয়া যায়
কুমারী কাশের নরম বুকে।
বুকে বাজে খুশির মন্দিরা,মাঝি।
জানলা কি?জানলা না।
এই দেহে এত জল ,
বানে ভাসাইতে পারে সাতখান নগরী।
পরাণগাঙ্গে যে ডোবে সে তো আর ভাইসা ওঠেনা।
রাইতের আকাশে তারা চেনোনা তুমি-
নাও দোলে,আছাড়ি-পিছাড়ি করে
ঢেউয়ের আঘাতে;সব হারাইয়া ডোবে।
পরাণ বাঁচতে শিখে
গাঙ্গের জলে ডুবসাঁতার দিয়া।
ভালোবাইসা চোখের মধ্যে,প্রাণের মধ্যে
খাঁচায় পুইষা গাঙ,মাঝি-
পরাণটা বাঁচতে শিখে।
তুমি ভাবছো এত্ত সহজ জলে ডুইবা ভাসা?
এই দেহে এত জল
তোমারে ভাসাইয়া নিবো,মাঝি,
ঠিকানা ছিনাইয়া নিবো,দিশা পাইবা না।
অ।রূ
জুন,২০১০