ডিম্ববতী মাকড়সার মত অশ্লীল আলস্য নিয়ে ওঁত পেতে বসে আছে রাস্তাগুলো-
যে পথে হেঁটে যায় কোনো যুবা
দিক চেনে দ্বীপের মতন-
সব আছে ,সবই আছে গন্ডির ভেতরে।
অগুন্তি গাড়ি গিলে বুড়ো অজগরের মত রাস্তা
চরম আলস্যে গড়িয়ে গড়িয়ে কাটায় বিকেল;
সূরুয নেচে ওঠে গাড়ির বনেতে,
চকচকে নয়া পয়সার ঝিলিক লাগে যুবকের চোখে।
কোনো মানে হয়?
ব্যস্ত জনসমুদ্রে ত্রস্ত নাবিক
ডিঙ্গিকেই ভাবতে শেখে উড়োজাহাজ;
তবু চিবুক বেয়ে গড়িয়ে পড়া ঘামে লেগে থাকে
বারুদের গন্ধ।অথবা বিভ্রান্তি-
উপদ্রুত বালিহাঁস উড়ালযাত্রায় যাবার আগে শেষবার
চুমু খায় পাঁজড়ের হাড়ে;তারপর-তারপর খুঁজে নেবে
অন্যকোন বস্তি,আর কোনো নীল নীল ঝিল।
যুবক তখন খোঁজে হারানো কবিতার না খোঁজা অন্ত্যমিল-
কোনো মানে হয়?
যখন মন সারস হয়,অপরাজিতার ঘ্রাণ হয়,
তখনো জল পড়ে।পাতারা হয়তো নড়ে অথবা থাকে নিশ্চুপ,
পেট্রোল তখন পুড়ে যেতে যেতে বিকট বিবমিষা জাগায়
যুবকের ভুখা পেট আর ভুখা মনে-
আছে কোনো মানে?
চাবুক চালিয়ে দেখা পৃথিবীর জান্তব কোঁকানি,
কাতর তার অযান্ত্রিক মোচড় যার
মানে নেই-এমন যন্ত্রনা কম্পন তোলে জমিনে;
তেমন পৃথিবীতে যুবা ভেসে বেড়ায় নিস্পৃহ নিষ্ক্রিয় গ্যাস হয়ে।
হরমোনে আর এনজাইমের খেলায় পরাজিত পক্ষ,
আসলে জানেনা কিছুই।বরং-
অপেক্ষা করে কোনো নির্দিষ্ট শরতের,
যখন গাছ ভরে আসবে ফুলের সময়,সময় ভরে থাকবে
মিঠে আলোয় আর আলো ভাসিয়ে নেবে গাঢ় অমানিশা।
ততদিন ঘানি টেনে ঘোড়া ঘোড়া খেল্-
আর কি আশায় বারংবার হাত ঢুকিয়ে দেখে ম্যাজিক মোজাতে
যদি বের হয় কোনো নতুন চমক।
সান্ধ্য বিলাসে বসে যুবক ভাবে- হিং টিং ছট।
ম্যাজিক আর করা হলোনা।
কোনো মানে হয়?
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৪৪