পূর্বের পোস্টের পর:
১৯৭৩ সাল। এবছরে সৌদির ইতিহাসে এলো বিশেষ পরিবর্তন। দেশের জন্য বানানো হলো নতুন পতাকা। পতাকাটি ডিজাইনার -আব্দুল আজীজ আব্দুর রাহমান আল-সাঊদ। হারামাইনের দেশের পতাকার মূল রং সবুজ দেওয়া হলো। তার মাঝে সাদা কালিতে সুস্পষ্ট করে কিছু লেখা। লেখার নিচে নিম্নগামী একটি তরবারী। পতাকায় অাঁকা তরবারী পতাকাকে আরো আকর্ষনীয় করছে। পতাকা দেখলে মনে হয় লিখিত মন্ত্রের কাছে নিচের তরবারী আত্নসমর্পন করেছে। কিন্তু মন্ত্রটি কী? এটি ইসলামের মূল ভিত্তি। এখানে লেখা আছে আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নাই; হজরত মুহাম্মাদ স. আল্লাহর রাসূল। পত্কার রং আর কালি নিয়ে বেশ কিছু ব্যাখ্যা আছে। কারো মতে পতাকার রং হজরত ফাতেমা রা. প্রিয় রং ছিলো। পতাকায় খচিত শুভ্র কালিমা নবী স. এর নবুয়তের সারকথা। লেখার সাদা কালি - লেখার সুস্পষ্টতা বর্ণনা দিচ্ছে। পতাকার কালিমা শুধু মালাভো কিংবা পেরাগুয়ের মতো শুধু একটি লিখিত বাণী না। এ কালিমা মুসলিমদের বিশ্বাস আর মূল্যবোধের প্রতীক। কালিমা খচিত এপতাকা কোন দিবসে অর্ধনমিত হয় না। এটি আল্লাহর নাম খচিত। আল্লাহর নাম সর্বদা উপরেই থাকে; কখনো অর্ধনমিত হয় না।
নবীর দেশের পতাকা এমন হবে এটিই স্বভাবিক। এপতাকা দিন দিন সারা দুনিয়ায় খ্যাতি পেয়েছে। আজ শতভাগ মুসলিমের সেদেশে এ পতাকা বিশ্ব মুসলিমের কেন্দ্র নির্দেশ করছে। এ পতাকা হারামাইনের পতাকা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এপতাকা ইসলাম ধর্মের আদর্শকে কুলজাহানে ছড়িয়ে দিচ্ছে।