ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি কেমন? আড্ডার মতো। ধরুন আপনি সন্ধ্যায় আড্ডা দেন নিয়মিত বন্ধুদের সাথে। হঠাৎ কোন বন্ধু আড্ডায় না এলে আপনারা একটা শূন্যতা অনুভব করেন রাইট? ব্লগে ১৫/২০ জন ব্লগার নিয়মিত মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে পোস্টে ব্লগিয় মিতস্ক্রিয়া বজায় রাখেন। হঠাৎ ২/৩ জন কে ব্যান করে দিলে দেখবেন ব্লগ ঠান্ডা হয়ে গেছে। ঈদে মনে করুন পরিবারের সবাই বাড়ি গেছেন। সবাই একত্রিত হলে মনে হয় যেন বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দ। কিন্তু ছুটি শেষ হয়ে এলে প্রিয়জন গুলো যখন একজন একজন বিদায় নেন, কষ্ট হয়তো অনেক নাকি? সামুওতো পরিবার একটা? না? অবশ্য পরিবার মনে করবেন শুধু মানুষ। পিচাশ পরিবারের কি বুঝবেন?
আমি এতক্ষণ বলছিলাম মানুষের কথা। কিন্তু মানুষ রূপে অনেক আছেন যারা পিচাশ। যারা মানুষের মাল্টি নিক এক্সপোজ করে অসম্মান করে, ব্লগের মত ওপেন প্ল্যাটফর্মে মানুষের দুর্বল স্থানে আঘাত করে, ব্যক্তি আক্রমণ করে জর্জরিত করে, এবং মতের অমিলের কারণে একজন ডেডিকেটেড ব্লগারকে ব্যান করিয়ে/গালি দিয়ে পৈশাচিক আনন্দ লাভ করেন।
কেউ নীতিমালা ভঙ্গ করলে তাকে নীতিমালায় নিতেই হয়। এতে ব্লগ কর্তৃপক্ষ নিরুপায়। বলছি একজন নিবেদিত প্রাণ ব্লগারকে নীতিমালায় নিলে, যারা পৈশাচিক আনন্দ লাভ করেন তাদের কথা।অথচ এই আনন্দই একজন মানুষকে পিশাচ করে তুলে। সেদিন ব্লগার মোহাম্মদ গোফরানকে নীতিমালায় আনায় একজন ব্লগার গোফরান এর একটি পোস্টের শিরোনামকে বিকৃত করে পোস্ট দিলেন।মন্তব্যে শায়মা আপা, অপু তানভীর, মিরোরডডল, শেরজা তপন, আহমেদ জী এস এর মত সম্মানিত ব্লগাররা উল্লাস করলেন।অথচ এই ব্লগারদের গোফরান যথেষ্ট সম্মান করেন।
সকলের সুবুদ্ধির উদয় হোক। জানি এই পোস্ট পড়ার পর কয়েকজন আমি কার মাল্টি উহা এক্সপোজ করে পৈশাচিক আনন্দ পাবেন। অথচ আমাদের উচিত যে যেই নিকে লিখে স্বাচ্ছন্দ অনুভব করে তাকে সেই নিকে লিখতে দেয়া। অলটারনেটিভ বা ছদ্মনামে লেখা তো দোষেতর কিছু নয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৯