somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আই টিউনস্

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"যে গান ভালবাসে সে মানুষ খুন করতে পারে না। অনেক পুরানো প্রবাদ। গান কে না শুনে বলুন তো? দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে আরম্ভ করে রাস্তার ভিক্ষুক পর্যন্ত শুনে। আর আপনি আমি তো কথাই নেই। মটোরোলা আর নোকিয়া মোবাইলের কল্যানে সারাক্ষণই তো কানে ইয়ারফোন লাগানো থাকে। সারাদিন পর বাসায় ফিরে নিজের পিসিতে হালকা মেজাজের গান শুনতে শুনতে যে কখন ক্লান্তি দূর হয়ে যায় তা টেরই পাওয়া যায় না। কিন্তু সমস্যাটা শুরু হয় যখন হঠা্ করে মিডিয়া প্লেয়ারটা বলে উঠে Sorry, this file type could not supported". মেজাজটা কোন লেভেল গিয়ে তিরিক্ষি হয় খেয়াল করেছেন। অথচ এই সমস্যা আমাদের প্রায়ই হয়। এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে আমি খুঁজে পেয়েছিলাম আই টিউনস ।

আই টিউনস হচ্ছে এ্যাপল কোম্পানির একটা মিডিয়া প্লেয়ার। আর এ্যাপল মানেই চমক, অসাধারণ গ্রাফিক্স ও দুর্দান্ত সব ইফেক্ট এর কারুকাজ। যারা এ্যাপলের প্রোডাক্ট ব্যবহার করেছেন তারা সবাই আমার সাথে একমত হবেন। খুবই হালকা এই মিডিয়া প্লেয়ারটির রয়েছে চমত্কার বেশ কয়েকটা ইন্টারফেজ, থ্রিডি ইফেক্ট, সহজ শর্টকাট কী, দ্রুত নেভিগেশন ক্ষমতা, ওয়ান টাচ্ প্লে, পস্ এবং স্টপ সুবিধা। দৃষ্টিনন্দন ও রুচিশীল কালার ম্যানেজমেন্ট একে করে তুলেছে সেরা প্লেয়ারের একটি। এর মিনি প্লেয়ার মুড দেখলে আপনার মনে হবে আহারে কি কিউট! আবার এক্সটেনডট মুড এর ইফেক্টিভ পার্সোনালিটির পরিচয় দেয়। চমত্কার প্লে লিস্ট ম্যানেজমেন্ট একে সংগীত প্রেমীদের কাছে করে তুলেছে সহজবোধ্য। আপনি সহজেই এক প্লে লিস্ট থেকে অন্য প্লে লিস্টে চলে যেতে পারবেন। আই টিউনস এর বুদ্ধিদ্বীপ্ত ফাইল ম্যানেজমেন্ট আপনার মিডিয়া প্লেয়ার ব্যবহারের ধারণাই পাল্টে দিবে। নিজের ইচ্ছে মত ফাইল রেটিং থেকে আরম্ভ করে, লাস্ট আপডেট, লাস্ট মডিফাইড, আর্টিস্ট, এ্যালবাম, বিট রেট, গ্রুপ, প্লে কাউন্টসহ অসংখ্য ভাবে আপনি আপনার ফাইলগুলোকে সাজিয়ে রাখতে পারবেন। তাছাড়া এর মেনু সিস্টেমটা যথেস্ট স্মার্ট। এর কন্ট্রোল মেনুটা সবচেয়ে মারাত্মক। আপনি প্রতিটা আলাদা আলাদা প্লে লিস্টের জন্য আলাদা কন্ট্রোল সিলেক্ট করতে পারবেন। ফালতু কোন অপসন এর মেনুতে পাবেন না। দ্রুত মুখস্থ হয়ে যায় কোথায় কি আছে। তো বুঝতেই পারছেন কাস্টোমাইজেশন কি হারে করতে পারবেন।

অডিও ও ভিডিও দুই ধরণের ফাইলই আপনি স্বচ্ছন্দে চালাতে পারবেন। এতে পাবেন প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরণের ফরমেট সাপোর্ট সুবিধা। আপনি যে ফরমেটের গান বেশি শুনেন তার জন্য আলাদা করে কাস্টোমাইজ করে নিতে পারবেন। mp3, mp4, mov, avi, amv, dat, mpeg, mpg ইত্যাদি বিভিন্ন প্রচলিত ফরমেট ছাড়াও অপ্রচলিত বেশ কয়েকটি ওয়েব ফরমেটের সাপোর্ট পাবেন। এছাড়া এতে আছে অটো কনভার্টার। আগে থেকে সিলেক্ট করে রাখলে কোন ফাইল ইমপোর্টের সাথে সাথে সে আপনার পছন্দের ফরমেটে কনভার্ট করে নিবে। কিন্তু মেইন ফাইলের কোন পরিবর্তন হবে না। বেশ কয়েকটি কনর্ভাটার আছে। পছন্দ মত একটি বেছে নিতে পারেন। অডিও সিডি কপি এবং সিডি রাইট দুটা কাজই এই প্লেয়ার দিয়ে করা যায়। এছাড়া একটা মজার ব্যাপার আছে এই প্লেয়ারে। এর সাহায্যে সিডি ডায়াগনোসিস করতে পারবেন। বিশ্বাস করেন, বিভিন্ন মেডিকেল ডায়াগনোসিস সেন্টারের মত এটি ভূয়া রিপোর্ট দেয় না।

এবার আসুন সাউন্ড কোয়্যালিটি নিয়ে কিছু বলি। টেকনিক্যাল কথা বলব না। সহজ কথা শোনেন। এমন অনেক বাংলা গান আছে যে গুলোর বেশ কিছু উচ্চারণ আমি অন্য প্লেয়ারে শুনে বুঝিনি। আই টিউনস এই ক্ষেত্রে আমার সহায়। ভাল স্পিকার না থাকলে ভাল সাউন্ড পাবেন না। এটা সত্যি কিন্তু ভাল প্লেয়ার না হলেও আপনি ভাল সাউন্ড পাবেন না। আই টিউনসের একটা স্পেসালিটি হচ্ছে এর ইক্যুইলাইজার। ইক্যুইলাইজার নিয়ে আপনার সমস্ত অভিযোগ তো সে ভূল প্রমান করবেই সাথে সাথে সে আপনাকে তার ভক্তও বানিয়ে ফেলবে। এই ইক্যুইলাইজার এর ভোকাল বুস্টার এবং এ্যকুইস্টিক অপসন দুটা এত ভাল এত ভাল যে আমি শিরোনামহীনের বেশির ভাগ গানই ভোকাল বুস্টার দিয়ে শুনি।

আমি বেশ অনেক সুবিধার কথা বললাম আপনাকে। তবে বাকি রয়ে গেছে আরও বেশ কয়েকটি। সেগুলো বলব না। ব্যবহার করতে করতে আপনি নিজেই জানবেন। নিজে নিজে জানার মাঝেও তো আনন্দ আছে। তো নিচের লিংক থেকে ডাওনলোড করে নিন চমত্কার এই প্লেয়ারটি। আমি নিশ্চিত, প্লেয়ারটি ইন্সটল এর পর এটি আপনার হার্ড ডিস্কে জায়গা করে নেয়ার পাশাপাশি আপনার মনেও স্থান করে নিবে।

এক নজরে আই টিউনস

নাম: আই টিউনস
ভার্সন: ৭.৩.২
সাইজ: ৪৭.৩ মেগাবাইট
টাইপ: ফ্রি ওয়্যার
রিলিজ:
প্লাটফরম: উইন্ডোজ এক্সপি, ২০০০, এন.টি
ভেন্ডর: এ্যাপল কম্পিউটার ইনকরপোরেশন
লিংক:
http://www.apple.com/itunes/download/
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×