গত দুইদিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। শিরোনাম ছিলো, "আমরা নিজেরাই গ্রহণ করলাম মানবতার অভিশাপ"।
সেখানে বলেছিলাম অদূর ভবিষ্যতে রোহিঙ্গারা ক্রাইমে জড়িত হবে। মাত্র দুইদিন হলো। আজকের খবর, "রোহিঙ্গাদের হামলায় আহত চার" এবং "রোহিঙ্গার দায়ের কোপে বাংলাদেশি নিহত"
তো হলো কী; রোহিঙ্গাদের সাথে সাথে স্থানীয় বাংলাদেশিরা জড়িত হচ্ছে অপরাধে। এই অপরাধ রোহিঙ্গারা না থাকলে ঘটতো না। রোহিঙ্গারা হামলা করছে আমাদের ওপরেই। আমরা বাংলাদেশীরা নিরুপায়। কারণ আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি মানবতার খাতিরে।
তো কই গেলো "মুসলিম ভাই" আবেগ?
যারা আজ আমাদের নাগরিকের ওপর হামলা করছে, তারা কি একবার ও ভেবেছে "মুসলিম ভাই"-য়ের ওপর হামলা করেছে?
না তারা ভাববে না।
তারা খ্যাঁপা বাঘের মতো।
তারা যে কোন কিছু করতে পারে। তাদের কাছে খুন-রাহাজানি কিছুই না।
তাই সময় এসেছে এই মানুষগুলোরে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার। এ নিয়ন্ত্রণ হতে হবে খুব দ্রুত। উপায় বের করতে হবে। এরা যেন ক্রাইম করার সুযোগ না পায় সে দিকে নজর দিতে হবে। স্থানীয় কেউ যদি রোহিঙ্গাদের নিয়ে ক্রাইমে জড়িত হয় তাকেও কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
সরকারের উচিত এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণকে প্রায়োরিটি দেওয়া। নয়তো এটা ক্যান্সারে রূপ নেবে। এই সমস্যা সমাধানে সেনাবাহিনী ব্যবহার করা যেতে পারে।
আমরা জানি না মিয়ানমার আদৌ এসব রোহিঙ্গাদের ফেরৎ নিবে কি না। তবুও সরকারের উচিত এই ইস্যুটা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাজা থাকতে থাকতেই বার্মার উপর আন্তর্জাতিক চাপ যাতে আসে সেভা্বে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়া।
না হলে পস্তাতে হবে। এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জড়িত হবে জঙ্গীবাদে, মাদক পাচারে। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা নারী চলে যাবে প্রস্টিটিউশনে। তাই আমাদের হাতে সময় কম। আগাছা লম্বা হওয়ার আগেই আগাছানাশক পদক্ষেপ নিতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


