আমরা যারা বন্ধু মহল আছি তাদেও ভাবনা সে পাগল হয়ে যায়নি। সমাজের কাছে সে নিজেকে পাগলের মত উপস্থাপন করেছে। সমাজ তাকে পাগল বলছে । এই দিদা ধন্ধে দীর্ঘ পাঁচ বছর তাকে সময় কাটতে হয়েছে । অবশেষে তাকে আমরা বন্ধুরা মিলে পাবনা ভর্তি করে আসি গত ১৫/১১/১৪ ই তারিখে রোজ ছিল শনিবার সময় আনুমানিক ১-২ টার দিকে হবে। তার বাবা এবং ছোট ভাই আমাদের সাথে ছিল।পথে পথে জাহাঙগীরের অনেক কোতুহল আমরা কোথায় যাচ্ছি কেন যাচ্ছি। বললাম তোকে নিয়ে রাজশাহীর সুন্দর জায়গা গুলো দেখবো , তা বুঝলাম কিন্তুু কোথায় তাকে বিভিন্ন ভাবে বুঝালাম এভাবে বোধয় শুরু হয় আমাদের যাত্রা ,রাত পেরিয়ে ভোর ৩.৩০ মিনিটে আমরা পোছলাম চাটমোহর তারপর সেখান থেকে বাস যুগে শহর হয়ে পাবনা । আমাদের ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করে দেয় আমাদের বন্ধু কামরুল ,কামরুল সহ আমরা ছয় জন মিলে যাই , আরো দুজন যাবার কথা কিন্তু ু ট্রেনের টিকেট পাইনি বলে নিতে পারিনি।যাত্রা পথে সুখের মুহুতর্ বলতে একটি ভাল করতে যাচ্ছি এই সুখ টুকু ছিল । আমর া বিশেষ করে যারা স্কুলে ছিলাম তাদের মধ্য এখনো যে সুন্দর সম্পর্ক আছে তার প্রমান হলো আমাদের এই সফর। কেউ হতাশ করেনি চেষ্টা করেছে সবার অবস্থান থেকে। এটাই বোধয় বন্ধু বা সম্পর্কের সার্থকতা।আমাদের আরো অনেক ইচ্ছা আছে জাহাঙগীর কে নিয়ে তবে বর্তমানে যেন সে ভাল হয় এই চেষ্টা করেছি আমরা । পাবনার ভাল খবরের অপেক্ষায় এখন আছি । অনেক প্রশ্ন জাগে আমার স্কুলের সেরা ছাত্র কে কেন এখানে ভর্তি করাতে হলো কে তার জীবন থেকে সুন্দর সময় গুলো নিয়ে গেছে, কে তার স্থান করে দিয়েছে পাবনার মানসিক হসপিটাল,কে অপরাধি, কেন সে আমাদের মত একটি সুন্দর অবস্থানে নেই। হয়তো একদিন পাব সে সব উত্তর। আমি থাকি বা তোমরা থাক একদিন যদি সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে হয়তো সব উত্তর পাব। আমি নিতে না পারলে তোমরা নিবে। এসব প্রশ্নের উত্তর বোধয় থেকে যেতে নেই।