হজ্জ ও মহানবী স: নিয়ে কটুক্তি করার পর বিশেষ আলোচনায় এসেছিলেন সে সময়ের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিক। মহানবী হযরত মুহাম্মদকে কটুক্তি করার সেসময় সারা দেশে তার নামে মামলা হয়েছিল ২২ টি, আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় তার নামে জারি হয়েছিল গ্রেফতারি পরোয়ানা। সে সময় তিনি আত্ব সমর্পণ করেছিলেন, জেলখানার ছোট দরজা দিয়ে ঢুকতে না রাজি ছিলেন তিনি। তার সন্মানেই খোলা হয়েছিল, মূল-ফটক যা এর আগে বা পরে এখোনো ঘটেনি। তারপর সবই চুপ ছিল, তাকে নিয়ে আলোচনাও বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু আদালত তাকে আজ ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন, সেই সাথে এই ছয় মাসে মামলার সব কার্যকর্ম বন্ধ থাকবে।
লতিফ যে সে সময় শুধু ইসলাম বা হজ্জ নিয়েই কটাক্ষ করেছিলেন তা নয়, কটাক্ষ করেছিলেন আওয়ামী-লীগের রাজপুত্র জয়কে নিয়েও কটাক্ষ করেছিলেন। আমার কেন জানি মনে হয় এতো দিন তিনি জয়কে কটাক্ষ করারই সাজা খাটলেন। সেই ঘটনার পর পরই তার সকল দুর্নিতীর খাতা জনগনের সামনে এসেছিল। গত বছরের ১লা অক্টোবর তার ৪৬ দুর্ণিতী নিয়ে প্রথম আলোর নিউজ হয়েছিল, কই তার বেলায় কোন দুর্নীতি দমন অফিসারকে কথা বলতে দেখলাম না।
লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে আমার লেখা সেই সময়ের কিছু পোস্ট। যেখানে পাবেন আরো অনেক তথ্য, আপনাদের পড়ে দেখার অনুরোধ রইল।
জয়কে না চেনাই দায় হয়েছে আ: লতিফের
জয় লতিফ সিদ্দিকের। আবারও প্রমান হইল আইন সরকার দলের জন্য নয়
আজ মনে হচ্ছে লতিফ সাহেব নিশ্চয় সরকারের সাথে কোন সমঝোতা করেছেন, তা না হলে যার নামে ৪৬টি দুর্নীতির প্রমান আছে, যে ব্যাক্তি ইসলাম ও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদকে কটাক্ষ করে তার এভাবে জামিন হতে পারে না। যেখানে খালেদা গত ৭/৮ বছর ধরে আদালতে ঘুরছেন, সেখানে লতিফকে নিয়ে কোন কথাই নেই।
কেউ এটাকে ব্যাক্তিগতভাবে নিবেন না, আসলে আমরা ও আমাদের সরকারই জঙ্গী বানানোর কারিগর। প্রথম যখন ব্লগে ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করা শুরু হয়েছিল তখনই যদি আমরা সেই ব্লগারদের রিপোর্ট করে বন্ধ করে দিতাম তবে কোন আনসার উল্লার জন্ম হতো না। কাল যদি লতিফ সাহেবের জন্য কেউ কিছু করে তবে আগামী কাল লতিফ সাহেব কে শহীদের সন্মান জানানো হবে। "শহীদ" এখন কতো সহজ, কতো মানুষের কবরে নামের সামনে শহীদ লেখাটি জ্বলজল করে অথচ দেশের আসল শহীদের কবর বছরে একবারই যত্নের ছোয়া পায় তাও বিশেষ কারণে!
তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি,
জয় লতিফ সিদ্দিকের। আবারও প্রমান হইল আইন সরকার দলের জন্য নয়