বোষ্টন বাংলা নিউজ
“জামাত মুক্ত গ্রাম”
লেখক-হাসান মাহমুদ
প্রকাশক-আঃ হাকিম চাকলাদার
মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০১৪
বিস্তারিত এখানে গিয়ে ভিডিওটি দেখুন-
Click This Link
বাপ্সনিউজ : “জামাত মুক্ত গ্রাম” কথাটা শুনলেই মনে হতে পারে কোন রূপকথার গল্প । গ্রামের প্রবেশমুখে সাইন বোর্ডটা আমারিকা-ক্যানাডাতেও নয়, চাঁদ-মঙ্গল গ্রহেও নয়, ওটা বাংলাদেশের গহন গহীনে কয়েকটা গ্রামের প্রবেশপথের গর্বিত উচ্চারণ !
শহর কেন্দ্রিক গন জাগরণ মঞ্চের সেই কাংক্ষিত জামাতমুক্ত বাংলাদেশ আন্দোলনের সেই রূপকথারই বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্জলের বাগেরহাট জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের কিছু মানুষ। মাত্র দেড় বছরের একাগ্র চেষ্টায় সম্পূর্ণ শান্তিপুর্ন পদ্ধতিতে ঐ অঞ্চলের ৩টি গ্রাম সম্পুর্ণ ও আরো ৫টি গ্রাম প্রায় সম্পুর্ণ জামাত-মুক্ত হয়েছে। প্রশ্ন হয়েছে কিভাবে এটা সম্ভব হয়েছে? জামাত মুক্তির এই প্রচেষ্টাটা ছিল সম্পুর্ন উন্মুক্ত ও অহিংস। কোন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নয়, কোন টাকার খেলা নয় কিংবা কোন পুলিশী একশন বা অস্ত্রের গুণ্ডামী নয়। এই অসাধ্য সাধন হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর আমাদের পবিত্র ইসলাম ধর্মের যৌক্তিক ব্যাখার বদলে। গ্রামের ইমাম সাহেবরা ধর্মের নামে যে অধর্ম করছে কিংবা ধর্ম বিরোধী মওদুদীবাদ এবং সুন্নী প্রধান মুসলিম দেশে এজিদের বংশধারো ওয়াহবীবাদের উন্মেষ ঘটাচ্ছে তা তুলে ধরেন। তার চেয়েরও বড় কথা এই মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির পিছনে কানাডা প্রবাসী আধুনিক ইসলামী চিন্তাবিদ হাসান মাহমুদের “শরিয়া কি বলে আর আমরা কি করি” গ্রন্থ এবং তার পরিচালিত “হিল্লা” এবং “নারী”- এই দুইটি ভিডিও ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় জামাতমুক্তির এই আন্দোলনের এই নেতৃত্বে আছে কোন রাকনৈতিক দলের নেতা নয়, আছে তৃণমূলে সাধারন আম জনতা। জামাতী অর্থ আর বাহুবলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আম জনতার এই আন্দোলন একটা মাইলফলক। “জামাত-মুক্ত বাংলাদেশ”- কোটি কোটি মানুষের এই স্বপ্ন এখন রূপকথা নয়, ওটা বাস্তবতা।
লেখক ওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেসের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য, দ্বীন রিসার্চ সেন্টার হল্যাণ্ড-এর রিসার্চ এসোসিয়েট, মুসলিমস ফেসিং টুমরো‘র জেনারেল সেক্রেটারী, ফ্রি মুসলিমস কোয়ালিশন-এর ক্যানাডা প্রতিনিধি, আমেরিকান ইসলামিক লিডারশীপ কোয়ালিশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং খুলনা‘র “সম্মিলিত নারীশক্তি”র উপদেষ্টা। শারিয়ার ওপরে বই “শারিয়া কি বলে, আমরা কি করি” ও আন্তর্জাতিক প্রশংসিত ডকু-মুভি “হিল্লা“, “নারী” ও “শারিয়া প্রহেলিকা” – লণ্ডন ও টরন্টো‘র স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষাক্লাসে দেখানো হয়।