somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আরজু পনি
আমি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি,আমি স্বপ্ন দেখাতে ভালবাসি। আমি আশায় জাগতে ভালবাসি, আমি আশা জাগাতে ভালবাসি। আমি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ভালবাসি।। -আরজু পনি

পদ্যপাতা: সমসাময়িক

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নার্সিসিজম

‘আমি’ ‘আমি’ করেই তবে
কাটবে কি আর সারাজীবন?
দু’দিন পরে দেখবি ফিরে
সন্নিকটে এইতো মরণ ।

আমার, আমার, আমিই সেরা
মিথ্যে অহং মরচে পড়া ।
কেবল ফাঁকি মিছে সবই
নামেই কেবল হবি কবি
থাকবেনা তোর কোনই ছবি
দিন শেষে তো সেই চেহারা
ব্যবহারে খুব বেয়ারা
নাম কামাবি ভেবেই যদি
এসব নিয়ে কী আর হবি?
নার্সিসিজম রোগের পরে
একাকীত্বে যাবিই মরে ।
মিছেই রবে এসব যে তোর
বলি, আধাঁর কেটে তোর জীবনে
জলদি আসুক নতুন ভোর ।।


ক্লোরোফিল হয়ে সবুজ করে রেখো

জেনে রেখো তোমার অজান্তেই আমার প্রতি তোমার একপলকের দৃষ্টি নিক্ষেপ বাদ পড়ে যাওয়াই আমার ভাবনার, দুশ্চিন্তার, হতাশায় কুকড়ে যাওয়ার...প্রবল গতিতে ছুটে চলা আমি হয়ে যাই মলিন, অথর্ব... তোমার অদৃশ্য পাহাড়সম অবহেলাগুলো মুহূর্তেই হয়ে উঠে দৃশ্যমান ।


সাহসিকা

চেয়েছিলাম আর কিছুটা সময়
তোমার সময়টুকু নিয়ে তুমি হেঁটেছো তোমার পথে
ভেবেছিলে কি, আমার পথ ফুরিয়ে গেছে ?
আমি হেঁটেছি, অনেকটা পথ , আজ বহুদিন পরে
যতটা হাঁটলে পরে হাঁটার আকাঙ্ক্ষা আজকের মতো বিদায় নেয় ।
রাতটা অন্ধকার হতে পারতো,
ভেবেছো তোমার আলো ছাড়া আমি অন্ধকারে প্রহর গুনবো ?
সময়টা বড্ড নিষ্ঠুর !
কারো জন্যে অপেক্ষা করে না,
তাই আমারও আর অপেক্ষার কষ্ট বইতে হয় নি ।
জোনাকিরা এসে আলো জ্বালিয়ে গেছে আমার পথে
দেখতে মোটেই কষ্ট হয় নি...
এখন আমি তোমার আলো ছাড়াই হাঁটতে শিখে গেছি ।।


আগের মতোই অাছো

তোমাকে কারো সম্মুখে দাঁড় করাইনি
আঁধারে সবার আড়ালেই আছো তুমি ।
মিছে ভয়ে সিঁটে থাকার অভ্যেসটা বাদ দাও এবার
দেখ, তোমার সামনে এই আমি
যাকে প্রতি মুহুর্তে করছো অবিশ্বাস ,
অথচ আজ অবধি করিনি তেমন কোন কাজ ।
সন্দেহ, তোমায় বিষিয়ে তুলেছে আমার প্রতি তোমার অনুরাগ
সম্পর্কের মাঝে মিছেই ধুলো পড়েছে, হয়েছে মলিন ।
ছুঁয়ে দেখো, এখনও চকচকে আছে
সবকিছুই, আগের মতো ।


সীমাবদ্ধতা

আমার সীমাবদ্ধতা আমি স্বীকার করে নিচ্ছি...
আমি আজও সন্দেহের চোখে তাকাই
দেখি, তোমার কপালে নজর টিপটি ঠিকমতো লাগানো আছে কি না ।
বার বারে ঘুরে ফিরে দেখি তুমি ভুল করেও নজর টিপ এড়িয়ে কাউকে ভালোবেসে ফেল কি না ।
আমার সীমাবব্ধতা থেকে আমি আজও বেরুতে পারিনি ।
অনেক দিন তুমিতে আমি নেই বা আমিতে তুমি ।
তবুও আমার ভালোবাসারা সময়ে সময়ে আমাকে অস্থির করে ফেলে ।
খুঁজে ফিরি নজর টিপটি...
যেন তোমাতে কারো নজর না পড়ে !


সে

পেছনের একজন...
নীরবতার আড়ালে থাকা একজন
প্রতিনিয়ত নীরব থেকেই আমায় বলছে,
এগিয়ে যাও বন্ধু...
পাশেই আমাকে পাবে ।
আমি রক্তাক্ত রাজপথ পাড়ি দেবার ভয়ে থমকে দাড়াই !
ভয়ার্ত দৃষ্টিতে পাশে তাকিয়ে দেখি
আস্বস্তের কোমল হাতটা এগিয়ে দিয়েছে
ভরসায় শক্ত করে বলছে,
বন্ধু, পাশেই আছি... এগিয়ে যাও ।
কর্দমাক্ত, পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিতে ইতস্তত আমি
ভাবনায় পড়ে যাই, পিছলে যাব তো !
পাশেই দেখি ভরসার হাসি মুখ, নীরবে দাঁড়িয়ে
আমি এগিয়ে যাই,
জানি আড়ালে থেকেও
নীরব থেকেও ভরসার হাতটি বাড়িয়ে আছে ।
পাশেই আছে 'সে' ।।


অক্সিজেন হয়েই আছো

কোন এক শেষ বিকেলে সে আমার হাতটা ধরে বলেছিল ... "আমার সাথে থাকবা না?"

হ্যাঁ, আমি কথা দেই নি। কিন্তু কথাটা না দিয়েও রেখেছিলাম।
সেইই বরং কথা রাখতে পারে নি। সাথেই আছি...আমি ছেড়ে যেতে পারি নি। সেই হারিয়ে গেছে..হারিয়ে গিয়ে নিজেই হেরে বসে আছে !

আমি কিন্তু জিতেই গেছি ! আমি জিতেই আছি ! আজও আমার ভালোবাসার সবটা জুড়ে সে আছে ।

একটা সময় আবিষ্কার করেছিলাম আমার শ্বাস কষ্টের রোগ হয়ে যাচ্ছে। ইনহেলারের প্রয়োজনটা বড্ড বেড়ে গেছে !

হ্যাঁ, ইনহেলার সেই-ই ছিল । কিন্তু সে বুঝতে পারে নি, আমি আমার শ্বাসকষ্টের রোগটা থেকে নিজেকে সারিয়ে তুলতে পারবো ।

সারিয়ে আমি নিজেকে তুলেছি ঠিকই কিন্তু ...এখনও আমার অক্সিজেনের ঘাটতি পরে যায়...

অক্সিজেনের ঘাটতি পরে যায় যখন ভাবনায় তুমি এসে ভীড় করো ।

তুমি আমার জীবনে যে অক্সিজেন হয়েই আছো !



উৎসর্গ : জীবনে আশীর্বাদ হয়ে থাকা প্রিয় বন্ধুদের ।


-যখন যা মনে এসেছে লিখেছি । এসব কবিতা হয়েছে কি না জানি না । কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবো তাও জানি না । সহব্লগারদের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো তাই ব্লগে প্রকাশ করা ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১১
৩৬টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×