মুসলমানদের মাধ্যে হাদিস পন্থিরা কি শিরককারি ? একজন ব্লগার নীচের হাদিস গুলো দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে ইসলাম ধর্মে শিরকি আছে । আমি এই বক্তব্যকে খন্ডন করে বলতে চাই , মুসলমানদের মধ্যে যারা হাদিস পন্থি তারাই শিরককারি । এবার নীচের হাদিস গুলো পড়ুন ।
যেভাবে কালো হলো : ‘হাজরে আসওয়াদ’ জান্নাতের মর্যাদাপূর্ণ একটি পাথর। বিশুদ্ধ সূত্রে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হাজরে আসওয়াদ জান্নাতের পাথর। প্রথমে এটি দুধের চেয়েও অধিক সাদা ছিল। পরে মানুষের গুনাহ তাকে কালো করে দিয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস : ৮৭৮)
মানুষের পাপ ধারণ : হাজরে আসওয়াদ মানুষের পাপ ধারণ করে। হাদিসে এসেছে, মানুষের গুনাহ যদি হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহিমের পাথরকে স্পর্শ না করত তাহলে যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি তা স্পর্শ করলে (আল্লাহর পক্ষ হতে) তাকে সুস্থতা দান করা হতো। (সুনানে কুবরা, বাইহাকি ৫/৭৫)
চুমু দেওয়ার ফজিলত : শরিয়তে মর্যাদাপূর্ণ এই পাথরে সরাসরি বা ইশারার মাধ্যমে চুমু দেওয়ার বিধান আছে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, এই দুটি রোকন (হাজরে আসওয়াদ ও রোকনে ইয়ামানি) স্পর্শ করা গুনাহগুলোকে মুছে দেয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৫৯)
কিয়ামতে সাক্ষ্যদান : কিয়ামতের দিন হাজরে আসওয়াদের সাক্ষ্যদানের ক্ষমতাও থাকবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন এই পাথরকে উপস্থিত করা হবে। তার দুটি চোখ থাকবে, তা দিয়ে সে দেখবে; জবান থাকবে, তা দিয়ে সে কথা বলবে এবং সে এমন লোকের অনুকূলে সাক্ষ্য দেবে যে তাকে আদবের সঙ্গে চুমু দিয়েছে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৯৪৪)
হাজরে আসওয়াদ সম্পর্কে মহানবী (সা.) যা বলেছেন
আপনারা কি এই হাদিস গুলো থেকে কোন রকমের শিরকি খুজে পেয়েছেন ? যদি না পেয়ে থাকেন তাহোলে বিশ্লেষন করছি । আল্লাহর কোন গুন, বৈশিষ্ঠ, ক্ষমতার সাথে কাউকেও শিরক করা যাবে না । ইসলাম অনুযায়ি একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন গূণা নিবারন কারি নেই বা আল্লাহ ছাড়া কেহ গূণা মাপ করতে পারে না । এখন আপনারা দেখুন উপরের হাদিস গুলোতে হাজরে আসওয়াদ পাথরটিকে গূণা পাপ কারি বা গূণা মাপ পাওয়ার মাধ্যম হিসাবে বলা হয়েছে , যেটা সাদা থেকে কালো হয়েছে গূণা চুষে নিয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি । তারমানি আল্লাহর মাপ করার ক্ষমতার সাথে এই পাথরকে শরিক করা হয়েছে ।
এখন যারা হাদিস পন্থি বা হাদিসের পক্ষে বড় বড় কথা বলেন , তারা এই হাদিস গুলো মানতে বাধ্য , বিশ্বাষ করতে বাধ্য । তার মানি তারা ঐ পাথরকে গূণা মাপকারি বলে বিশ্বাষ করে আল্লাহর সাথে ঐ পাথরকে শিরক করে ।
সুতরাং হাদিস পন্থিরা শিরককারি ।
এবার আসি আমাদের বা মুসলমানদের অবস্থান কি উপরের হাদিস গুলোর ব্যপারে ।
এই হাদিস গুলো আমরা প্রত্যাখান করি কোরানের আয়াত দিয়ে । কোরানের ১০ এর বেশি আয়াত আছে শিরক বিরুধি। ঐ আয়াত গুলোর যে কোন একটি যথেষ্ঠ উপরে হাদিস গুলোকে প্রত্যাখান করার জন্য ।
এখন আমরা এখন দেখতে চাই শিরককারি হাদিস পন্থিদের মতামত এই বিষয়ে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৬