সেনাবাহিণীর উপস্থিতিতে ধানমন্ডি ৩২ ধবংসের চিত্র সবাই দেখেছে , এরপর ক্রমাগত টুংগিপাড়ার বংগবন্ধুর কবর গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি চলছে এবং এই হুমকি অগ্রাহ্য করার মত নয় । সেনাবাহিণীর প্রটেকশনে এই কর্ম করার সমস্ত আলামত দেখা গেছে এর আগে , এনসিপির প্রত্যেক জেলাতে যাত্রাকে পদ যাত্রা বলা হয়েছে কিন্তু গোপালগন্জের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে লংমার্চ টু গোপালগন্জ, সেই সাথে সমস্ত জেলা থেকে গোপলাগন্জে লংমার্চ করার আহবান করা হয় , তাদের চুড়ান্ত লক্ষ বংগবন্ধুর মাজার গুড়িয়ে দেওয়া । এই ধরনের উস্কানি এবং হুমকির মুখে গোপালগন্জবাসি গর্জে উঠে এমন কি গত ৩ বার গোপালগন্জের বিএনপি এম পি পার্থী কে এম বাবরের নেত্বত্বে বিএনপি আওয়ামী লীগের সাথে প্রতিরোধে যোগ দেয় ।
গোপালগন্জবাসি যে প্রতিরোধ গড়ে তুলে সেটাকে মোকাবেলার জন্য রাবার বুলেট এবং টিয়ার গ্যাস যথেষ্ঠ ছিল কিন্তু সেই পথে না গিয়ে সাধারণ জনতার উপরে সরাসরি গুলি করে সেনাবাহিণী, যে সেনাবাহিণী গত বছর আন্দোলনকারিদের উপরে গুলি চালাতে অপারগতা প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম সেনাবাহিণী আন্দোলনরত জনতার গুলি করে ।
যে যে কন্ডিশনে নিরাপত্তা বাহিণী গুলি করতে পারে , তার কোনটাই গোপালগন্জবাসি করেনি , এন সি পি ( উস্কানিদাতাদের) সভা পন্ড করেছে গোপালগন্জ বাসি সেই সাথে মন্চ চেয়ার ভাংচুর, তারা কাউকে হত্যা করে নি এবং সরকারি কোন সম্পদ ধবংস করে নি । এই ধরনের মব মোকাবেলার জন্য রাবার বুলেট এবং টিয়ার গ্যাসই যথেষ্ঠ কিন্ত সেগুলো ব্যবহার না করে সরাসরি গুলি সেনাবাহিনী কর্তৃক , যেখানে সেনা বাহিনী এক বছর আগে কোন গুলি ছোড়ে নি এবং এর আগে বাংলাদেশের কোন আন্দোলনে সেনা বাহিণীকে গুলি করতে দেখা যায় নি , এর আগের সমস্ত আন্দোলন পুলিশ বিডিআর আনসার পক্ষ থেকে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে কিন্তু সেনা বাহিনী কখনো গুলি করে নি ।
এন সি পি বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্য বলে এসেছে তারা বংগবন্ধুর মাজার ধবংস করবে গোপালগন্জে এসে কিন্তু সেই কাজে গোপালগন্জবাসি কেন বাধা দিবে , এমন মনোভব এন সি পি এবং এদের দালালরা দেখাচ্ছে । তারা ৩২ নাম্বারের মত মাজার ধবংস করবে সেনা বাহিনীর সহায়তায় ।
সেনা বাহিনী দিয়ে গুলি কারর দায় অবশ্যই ওয়াকারের যিনি গত বছর কোন গুলি করেন নি , গোপলাগন্জ বাসি কোন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করে নি এবং সরকারি সম্পদ ধবংস করে নি -- সুতরাং আইনত কোন অধিকার নেই নিরাপত্তা বাহিনীর বা সেনা বাহিনীর গুলি করার। যে আন্দোলন মোকাবেলার জন্য রাবার বুলেট এবং টিয়ার গ্যাস এবং জল কামান যথেষ্ঠ ছিল কিন্তু সেই অপসনের ধারে কাছে না গিয়ে গুলি করছে অতচ যে পরিস্থিতিতে গুলি করার অধিকার আছে , সেগুলোর কিছুই করে নি আন্দোলনকারিরা । মন্চ ভাংচুরের মোকাবেলা রাবার বুলেট এবং টিয়ার গ্যাসেই করা যেত ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


