somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘোস্ট ফায়ার উপন্যাস অনুবাদের ১০ম পর্ব

২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এর আগে ঘোস্ট ফায়ার উপন্যাসের ৯টি পর্ব দিয়েছি। আজ দিচ্ছি ১০ম পর্বঃ
.
কোনো কথা না বলে, থিও ওখান থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিল এবং সিঁড়িতে পা ঠুকে ঠুকে নিচে নেমে যেতে লাগল।
"তুমি ওকে অতটা খারাপভাবে নিও না।" কন্সট্যান্স বলল। "এই কয়দিনে যেই পরিমাণ কষ্ট আমাদেরকে সহ্য করতে হয়েছে, সে মানসিকভাবে খুব দুর্বল হয়ে আছে।"
"আরে, না। আমি কিছু মনে করিনি।" জেরার্ড হাসল। "দেখতে পাচ্ছি, সে তোমার প্রতি খুবই বিশ্বস্ত।"
কন্সট্যান্স হাসল। "ভাই হিসেবে ওর দায়িত্বটা ও খুব সিরিয়াসলি নিয়েছে। সে সবসময় ভাবে যে, আমাকে রক্ষা করাটা ওর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।"
"তোমাকে দেখে কিন্তু মনে হয় না যে তোমাকে কারুর কাছ থেকে রক্ষা করার দরকার আছে।" জেরার্ড বলল, দুষ্টুমি করার ভঙ্গিতে চোখ টিপল একবার। "কিন্তু এতে করে থিওর ভালোই হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখবে সে এবং দুনিয়ায় নিজের পথ নিজেই তৈরি করে নেবে। এই কাজে ব্যস্ত থাকলে ওর অতীতের দুঃখজনক স্মৃতিটা ও ভুলে থাকতে পারবে। আমায় ক্ষমা কর, তুমি হয়তো আমাকে অনুভূতিহীন বলে ভাবছ। কিন্তু, আমাদের দুনিয়ায় ব্যাপারটা এভাবেই কাজ করে।"
"না। আমি তোমাকে মোটেও অনুভূতিহীন বলে ভাবছি না। আমার মনে হয়, তুমি মানুষ হিসেবে খুবই উদারমনা।"
"তুমি এখানে আসায় আমি খুব খুশি," সে কোমল কণ্ঠে বলল। "আমার বাবা খুবই কঠোর মনোভাবসম্পন্ন লোক, এবং যখন থেকে তিনি এই জায়গা ছেড়ে চলে গেছেন আমি অন্য সব কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত হয়ে গেছি। এখন এই বাড়িটা মেয়েলি স্পর্শ পেলে ভালোই হবে। আমার জন্য জীবনটা এখন থেকে আরও উপভোগ্য হয়ে উঠবে।"
কন্সট্যান্স তুলোয় ঠাসা ম্যাট্রেসটা আঙ্গুল দিয়ে টিপতে লাগল। হঠাৎ করেই, দুনিয়ার আর সব সমস্যার ভুলে গেল ও। এই তুলোয় ঠাসা ম্যাট্রেসে শরীর ডুবিয়ে দেয়ার চিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে গেল ওর মন। "আমিও সেরকমটাই আশা করছি। আমার এই কথায় তুমি হয়তো আমাকে স্বার্থপর ভাববে, কিন্তু আমার মনে হয় জীবনে কিছুটা সুখ এখন আমার প্রাপ্য।"
****
থিও যখন প্রথমবারের মতো কেরানীদের কোয়ার্টারে ওর থাকার ঘরটা দেখল, ওর মনটা একদম দমে গেল। ওর ইচ্ছে করছিল এক ছুটে ওই ঘর থেকে পালিয়ে যায়। জেরার্ডের ঐশ্বর্যশালী অট্টালিকার তুলনায় এটা কিছুই না। দুটো অতিক্ষুদ্র আকৃতির খুপরি ঘর, একটাতে আছে বিছানা, অন্যটিতে আছে একটা ডেস্ক। দুটো কক্ষই ধূলাবালি দিয়ে একদম ঢেকে আছে। দৈত্যাকৃতির কতগুলো পিঁপড়া ঘরময় ছোটাছুটি করে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে উইপোকার কারণে আসবাবপত্রের গায়ে আঁকাবাঁকা দাগ এবং গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ সময় জুড়ে, সে কল্পনায় মশগুল হয়ে গেল এই ভেবে যে, সে কলকাতা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে এবং এরপর ভাড়াটে সৈনিক হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে নিজের জীবিকা অর্জন করছে। এমন একটা জায়গায় সে থাকবে, যেখানে এমনকি জেরার্ড-ও তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
কিন্তু এরপরেই কন্সট্যান্সের প্রতি ওর দায়বদ্ধতার কথাটা মনে পড়ে গেল ওর। ওকে অবশ্যই ওর বোনের জন্য এই কাজটা করতে হবে। এবং নিজের ভবিষ্যৎকে পরিপূর্ণভাবে নির্বাহ করার জন্য একটা কার্যকরী পথ খুঁজে নিতে হবে।
থিও কাজে যোগ দিয়ে দেখল, ওর বেতন হচ্ছে বছরে পাঁচ পাউন্ড, সেই সাথে তিন পাউন্ড ভাতা, যা দিয়ে সে দুজন ভৃত্যকে নিয়োগ দিতে পারবে। তার বদলে ওকে যা করতে হবে তা হল, অংকের যোগফল গণনা করতে হবে এবং সেটা আবার খতিয়ান বইতে লিপিবদ্ধ করতে হবে। সেই সাথে ওকে জাহাজের কার্গো এবং মজুদ পণ্য পরিদর্শন করতে হবে, যাতে উপযুক্ত পেপারওয়ার্কটি যথাযথ ফাইলের ভেতরে পৌঁছে যায়। এবং সেই সাথে এই চাকরির আরেকটা শর্ত আছে। ওকে দিনে দুইবার বাধ্যতামূলকভাবে গির্জার প্রার্থনায় হাজির থাকতে হবে।
প্রথম মাসে, ওর ওপরে কাজের চাপ এত বেশি ছিল যে, থিও চোখেমুখে আঁধার দেখতে লাগল। থিওর অবশিষ্ট ভাতার বেশির ভাগই লণ্ঠনের তেল কেনার পেছনে খরচ হয়ে গেল। কারণ গভীর রাত ধরে তাকে খতিয়ান বইতে হিজিবিজি লেখা লিখে যেতে হত। সে ওই সংখ্যাগুলোকে বারবার গালাগাল দিয়ে যেত, কারণ একগুঁয়ের মতো ওগুলো মিলতে চাইত না। আর দিনের বেলা, ঘুম-ঘুম চোখে, সে গাট্টি গাট্টি কাপড়ের কোয়ালিটি নিরূপণ করার চেষ্টা করত। এক ঝাঁক কাপড় ব্যবসায়ীর সাথে অনবরত বাগাড়ম্বরপূর্ণ কথা বলতে বলতে ওর মাথা ধরে যেত। সে ভুল ফাইলের মধ্যে ভুল কাগজ রাখত, এরপরে যখন ওই কাগজটা আবারও দরকার পড়ত, তখন আর সেটা কিছুতেই খুঁজে পেত না। সে সারাদিন ধরে গির্জায় প্রার্থনা করার সময়টার জন্য অপেক্ষা করত। কারণ, সেখানে গেলে সে দশ মিনিটের জন্য শান্তিতে চোখটা বুজে থাকতে পারত। সেখানে কেউ ওর গায়ে জোরালো ঘা বসিয়ে দেবে না, বা, কানের কাছাকাছি কারুর রাগান্বিত কণ্ঠের চিৎকার-ধ্বনিও শুনতে হবে না।
কিন্তু এই খেলায় জয়লাভ করার জন্য থিও মনে মনে দৃঢ়-সংকল্পবদ্ধ ছিল। সে যখন জাস্ট একটা শিশু, তখন থেকেই মাদ্রাজের গুদামঘর এবং বাজার ছিল তার খেলার স্থান। বাবার পিছে পিছে ওসব জায়গা ঘুরে বেড়াত সে। সে যখন থেকে কথা বলা শিখেছে, তখন থেকেই সে দর কষাকষির কাজে দক্ষ। ভারতীয়দের কথোপকথনের অনন্তকাল ধরে চলা আনুষ্ঠানিক সৌজন্য বিনিময় ওর জিহ্বায় আটকাত না। বেশির ভাগ ইংরেজ না বুঝলেও থিও বুঝতে পেরেছিল যে বারবার ব্যবহৃত হওয়া একই বাক্যগুলো মোটেও ফালতু রীতিনীতির অংশ না। এগুলো সুন্দর করে বলার মাধ্যমেই মানুষের আস্থা অর্জন করে নিতে হয়। একজন মানুষের কোনো একটা প্রশ্নের উত্তরের আক্ষরিক অর্থের চেয়ে সেই উত্তরটা কোন সুরে দেয়া হল সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এবং খুব শীঘ্রই, ফোর্ট উইলিয়ামে যেসব ব্যবসায়ীরা তাদের কাপড় বিক্রি করতে আসত, তারা ব্যবসা করার জন্য বিশেষ করে থিওর খোঁজই করতে লাগল। ওরা ওকে সবচেয়ে ভালো মূল্যটা প্রদান করত, কারণ থিওর সাথে ব্যবসা করাটা ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করত ওরা। এবং বাবার কাছ থেকে যেই দক্ষতাগুলো সে আয়ত্ব করেছিল, সেগুলোর কারণে সবচেয়ে ভালো পণ্যগুলো অর্জন করে নিতে ওর তেমন কোনো সমস্যা হত না। কাপড়ের মান চেক করার জন্য সে পুরো এক গাট্টি সাদা সুতি কাপড়ের পাক খুলতে ভয় পেত না। সে দেখেই ছাড়ত যে ওই কাপড়ের মাঝখানের অংশটাও এর বাইরের অংশটার মতোই ভালো। অথবা, তাদের পণ্যদ্রব্য নিয়ে আসা চা-ব্যবসায়ীদের সাথে মিলে সে ওই চা ফুটিয়ে পান করত, কারণ এতে করে বুঝা যেত ওই চায়ে কাঠের মিহি গুঁড়া বা খড় মেশানো নেই। তীক্ষ্ম বুদ্ধিসম্পন্ন অপারেটর হিসেবে ওর সুনাম ধীরে ধীরে বাড়তে লাগল। অসাধু ব্যবসায়ীরা ওকে এড়িয়ে চলত, তারা এমন এমন লোককে পছন্দ করত, যাদেরকে ব্যবহার করে কোম্পানির সাথে প্রতারণা করা যায়। কিন্তু সৎ ব্যবসায়ীরা ওকে পছন্দ করত, কারণ সর্বোচ্চ কোয়ালিটির জন্য সে যুক্তিযুক্ত মূল্য পরিশোধ করত।
অবশেষে, এক পর্যায়ে খতিয়ান বইটার রহস্য সে আয়ত্ব করেই ফেলল। সংখ্যার ব্যাপারে ওর মাথা ভালো করে কাজ করা শুরু করল। যদি ওকে ছয় রুপিতে এক গজ কাপড় কেনার প্রস্তাব দেয়া হত, সে সাথে সাথে বুঝে ফেলত যে কাপড়ের পুরো গাট্টিটার মূল্য কত পড়বে, এবং সে এখান থেকে কতটা লাভ করতে পারবে যদি লন্ডনে এই কাপড়ের দর অপরিবর্তিত থাকে, অথবা এই কাপড়ের দর যদি আধপেনি পড়ে যায়। তবে, অংকগুলো যখন কাগজে লিখে যোগ করতে হত, তখন সংখ্যাগুলো ওর চোখের সামনে কেবল ছোটাছুটি করতে থাকত। কিন্তু কিছুদিন পরে, সে এই সমস্যাটার একটা সমাধান বের করে ফেলল। সে তার ভৃত্যদের একজনকে সংখ্যাগুলোর ইংরেজি নাম শিখিয়ে দিল, এবং এরপর থেকে সে বিছানায় শুয়ে শুয়েই হিসাব-নিকাশের কাজটা করত। ওর ভৃত্য উচ্চস্বরে সংখ্যাগুলো পড়ত, আর সে ওগুলোকে খাতায় টুকে নিত।
যদিও থিও আর কন্সট্যান্স একে অপরের খুব কাছাকাছি থাকত, কিন্তু তারপরেও বোনের সাথে থিওর খুব একটা সাক্ষাৎ হত না। কলকাতা জায়গাটা খুব একটা বড় না হলেও, ওদের দুজনের কক্ষপথ এতটাই আলাদা ছিল যে একটা কক্ষপথ আরেকটা কক্ষপথকে খুব কমই ছেদ করত। কন্সট্যান্স ওর চিঠিতে মাঝে মাঝেই ওর জীবনের কথা সবিস্তারে বর্ণনা করত। ওদের পরস্পরের সাথে সাক্ষাৎ ছিল বিরল ঘটনা। এবং তখনও অনন্তকাল ধরে চলত মানুষের বৈঠক, আড্ডাবাজি, কার্ড পার্টি, ঘোড়ায় চড়া এবং বাজনার তালে তালে ড্যান্স করা। কন্সট্যান্সকে এখন আর হাঁটতে হয় না। সে এখন একটা পালকিতে চড়ে ভ্রমণ করে। পালকিটা বহন করে বলিষ্ঠ দেহের অধিকারী আটজন হিন্দু। কন্সট্যান্সের পাশে পাশেই একজন চাকরানী থাকে। সে সর্বক্ষণ ওই পালকির পাশে দৌড়ায়। তার একমাত্র কাজ কন্সট্যান্সের পেটিকোটে যাতে কোনো ভাঁজ না পড়ে। অথবা সে চার চাকার একটা ঘোড়ার গাড়ির চালকের আসনে বসে বসে সেটাকে ড্রাইভ করে। এই ঘোড়ার গাড়িটা ইংল্যান্ড থেকে জাহাজে করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। কন্সট্যান্স এই গাড়ির চালকের আসনে বসে ঘোড়ার ওপরে তীব্র বেগে চাবুক দিয়ে আঘাত করে, অন্যদিকে জেরার্ড ওর পাশের সিটে আলস্য ভরে হেলান দিয়ে বসে থাকে।
"কাজিন জেরার্ড আমার সাথে এত ভালো ব্যবহার করে যে কী বলব," একদিন সে থিওকে বলল। তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছে। এবং ওরা একটা বিশালাকৃতির জলাধারের চারপাশে থাকা বাগান ধরে হাঁটছিল। এই জলাধারটিকে ইংরেজরা ডাকে "দ্য ট্যাংক" নামে। "সে বলতে গেলে আমাকে ওই বাড়ির কর্ত্রী বানিয়ে দিয়েছে।" কন্সট্যান্স জানাল সে ওই বাড়িতে থাকা জাহাজ এবং যুদ্ধের সব ছবি সরিয়ে ফেলেছে এবং এর বদলে সেখানে উজ্জ্বল রঙয়ের সুন্দর সুন্দর সব ভারতীয় পেইন্টিং লাগিয়েছে।
"আশা করছি সে খুব বেশি পরিমাণে আগে বাড়ার চেষ্টা করেনি," থিও বলল। থিও এখন অন্যান্য কেরানীদের সাথে থাকে। সর্বক্ষণ ওর সাথেই থাকে দুই ডজন কিশোর। যাদের সবার বয়স আঠারো বছরের নিচে। এদের সাথে থেকে থেকে সে যে কতরকমের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে এবং মারাত্মক টাইপের কিছু শিক্ষালাভ করেছে তা বলে বোঝানো যাবে না। এবং এসব শিক্ষা ও অভিজ্ঞতাগুলো মোটেও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত না। এর কারণে বোনের সম্মানের ব্যাপারে ওর মনোভাব খুব রক্ষণশীল প্রকৃতির হয়ে গেছে। একাধিকবার, এটা নিয়ে থিও অন্যসব ছেলেদের সাথে তর্কাতর্কি এবং পরবর্তীতে মারামারিতে লিপ্ত হয়েছিল।
কন্সট্যান্স থিওর সাথে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে লাগল।
"সে একজন নিখুঁত ভদ্রলোক। এবং, আমার সাথে প্রেম করার জন্য সে মোটেও লালায়িত না। আমি যদি শুধু পেটিকোট পরেও ওর সামনে দিয়ে ঘোরাঘুরি করি, তারপরেও সে ওর কাগজপত্র থেকে মুখ তুলে আমার দিকে তাকাবে না।"
"কনি!" থিও বলল, হতবাক হয়ে গেছে। ওর বোন এমন একটা কাজ করার কথা মাথায় এনেছে সেটাই ওর পছন্দ হচ্ছে না।
কন্সট্যান্স থিওর দিকে তাকিয়ে ওর চোখ নাচাল। "নির্দোষ সাজার ভান করবি না। হেনরি ল্যাশিংটনের বোনের কাছ থেকে আমি শুনেছি, ব্ল্যাক টাউনের একটি বেশ্যা পল্লীতে গত সপ্তাহে তোকে তিনবার একজন ভারতীয় মেয়ের সাথে দেখা গিয়েছে।"
থিওর মনটা সাথে সাথে সেই ভয়াবহ রকমের ধোঁয়াটে, আঁধারঘেরা রুমগুলোতে চলে গেল। ওই রুমগুলোর বাতাসে ভাসছিল মাথা ধরিয়ে দেয়ার মতো উৎকট গন্ধের সব ঘ্রাণ। জায়ফল এবং বিভিন্ন রকমের মশলার গন্ধ ভাসছিল ওই রুমগুলোর মাঝে। ওখানে প্রচুর সুন্দরী মেয়েও ছিল। বিশেষ করে একজনের কথা থিওর মনে পড়ে গেল। সুন্দর চেহারার কমবয়সি একজন তরুণীকে ওর মনে ধরেছিল। মেয়েটির নরম, কোমল ত্বককে ওর কাছে মনে হয়েছিল আঙ্গুলের ডগা দিয়ে স্পর্শ করা সুক্ষ্ম সুতার রেশমী কাপড়ের মতো। স্মৃতিটা মনে পড়তেই থিওর শরীরটা কেঁপে উঠল।
"ওটা আলাদা ব্যাপার।"
"অবশ্যই, অবশ্যই। ওটা তো আলাদা ব্যাপার হবেই। তবে আমাকে যদি অভিভাবকহীন অবস্থায় ওরকম কোনো একটা বেশ্যাপল্লীতে একজন নেটিভ পুরুষের সাথে দেখতে পাওয়া যেত, আমাকে তখন লাথি দিয়ে এই সমাজ থেকে বের করে দেয়া হত।"
"আমি ওটা বুঝাতে চাইনি।"
"নিয়মগুলো ছেলে আর মেয়েদের জন্য এক রকম হল না কেন? আমরা সবাই-ই তো রক্ত-মাংসের মানুষ, তাই না?" (চলবে)
***
ঘোস্ট ফায়ার উপন্যাস অনুবাদের প্রথম থেকে নবম পর্বের লিংকঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১১
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×