somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বঙ্গাব্দ আর নববর্ষের কথা

১৪ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাঙ্গালা সনের সুচনা নিয়ে পন্ডিতগণের মতগুলো অস্পষ্ট এবং দ্বান্দ্বিক। তবে সবচেয়ে বেশী যে মতটি প্রচলিত তা হচ্ছে, বাঙ্গলা সনের প্রবক্তা হলেন মুগল সম্রাট আকবর। যে ক’টি বিশেষ কর্মের জন্য আকবর আলোচিত, বাংলা সনের প্রবর্তন তার অন্যতম। আকবর বাংলা সন প্রবর্তন করেন খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে। এছাড়াও রাজ্যের মধ্যে জাতীয় ঐক্য গঠনও এর পেছনে উদ্দেশ্য হিসেবে কাজ করেছিল।

পানি পথের দ্বিতীয় যুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে এবং নিজের রাজ্য থেকে আরও সুবিধাজনক উপায়ে খাজনা আদায় করতে আকবর ‘এলাহী সনের’ প্রর্বতন করেন। পরবর্তীতে তা ফসলি সন এবং পরে বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়।

মুগল আমলে রাজারা খাজনা আদায় করতেন চান্দ্রবর্ষ অনুযায়ী। চাঁদের উদয় অস্তের হিসেব করে গোনা হয় চান্দ্রবর্ষ। কৃষক তার জমির ফসল ঘরে তুলতে পারতো একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর। কিন্তু চান্দ্রবর্ষ প্রতিবছর ১১ দিন করে এগিয়ে যেতো; যা কৃষকের খাজনা দেয়া ও ফসল তোলার মধ্যে একটা সমস্যা সৃষ্টি করতো। কৃষক শ্রেণীর জন্য খাজনা দেয়া অনেক সময়ই কষ্টদায়ক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতো। এ ধনের বিপত্তি থেকে রক্ষা পাওয়াও সন প্রবর্তনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিলো।

সম্রাট আকবর তার শাসনামলের শুরু থেকেই সহজ বিজ্ঞানভিত্তিক ও কার্যকর পদ্ধতিতে বছরের হিসাব রাখার কথা ভাবছিলেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার দায়িত্ব দেন সে সময়ের বিখ্যাত জ্যোর্তিবিদ আমির ফতুল্লাহ শিরাজীকে। শিরাজীর প্রচেষ্টায় ১৫৮৪ খ্রীষ্টব্দের ১০ বা ১১ মার্চ সম্রাট আকবর ‘এলাহী সন’ নামে নতুন এক সন প্রথার প্রচলন করেন। কৃষক শ্রেণীর কাছে এটি ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত পায়। পরে আবার এটি ‘বঙ্গাব্দ’ নামেই প্রচলিত হয়।

নতুন এই সালটি আকবরের রাজত্বের ২৯তম বর্ষে প্রবর্তিত হলেও তা গণনা আরম্ভ হয় ১৫৫৬ খ্রীস্টাব্দের ৫ নভেম্বর থেকে। এর কারণ ওই দিনেই দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধে তিনি হিমুকে পরাজিত করেছিলেন আকবর। তাই এর মাধ্যমে সেই ক্ষণটি স্মরণীয় করে রাখার ইচ্ছা ছিলো তার।বাঙ্গালা সনের সুচনা নিয়ে পন্ডিতগণের মতগুলো অস্পষ্ট এবং দ্বান্দ্বিক। তবে সবচেয়ে বেশী যে মতটি প্রচলিত তা হচ্ছে, বাঙ্গলা সনের প্রবক্তা হলেন মুগল সম্রাট আকবর। যে ক’টি বিশেষ কর্মের জন্য আকবর আলোচিত, বাংলা সনের প্রবর্তন তার অন্যতম। আকবর বাংলা সন প্রবর্তন করেন খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে। এছাড়াও রাজ্যের মধ্যে জাতীয় ঐক্য গঠনও এর পেছনে উদ্দেশ্য হিসেবে কাজ করেছিল। পানি পথের দ্বিতীয় যুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে এবং নিজের রাজ্য থেকে আরও সুবিধাজনক উপায়ে খাজনা আদায় করতে আকবর ‘এলাহী সনের’ প্রর্বতন করেন। পরবর্তীতে তা ফসলি সন এবং পরে বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়। মুগল আমলে রাজারা খাজনা আদায় করতেন চান্দ্রবর্ষ অনুযায়ী। চাঁদের উদয় অস্তের হিসেব করে গোনা হয় চান্দ্রবর্ষ। কৃষক তার জমির ফসল ঘরে তুলতে পারতো একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর। কিন্তু চান্দ্রবর্ষ প্রতিবছর ১১ দিন করে এগিয়ে যেতো; যা কৃষকের খাজনা দেয়া ও ফসল তোলার মধ্যে একটা সমস্যা সৃষ্টি করতো। কৃষক শ্রেণীর জন্য খাজনা দেয়া অনেক সময়ই কষ্টদায়ক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতো। এ ধনের বিপত্তি থেকে রক্ষা পাওয়াও সন প্রবর্তনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিলো। সম্রাট আকবর তার শাসনামলের শুরু থেকেই সহজ বিজ্ঞানভিত্তিক ও কার্যকর পদ্ধতিতে বছরের হিসাব রাখার কথা ভাবছিলেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার দায়িত্ব দেন সে সময়ের বিখ্যাত জ্যোর্তিবিদ আমির ফতুল্লাহ শিরাজীকে। শিরাজীর প্রচেষ্টায় ১৫৮৪ খ্রীষ্টব্দের ১০ বা ১১ মার্চ সম্রাট আকবর ‘এলাহী সন’ নামে নতুন এক সন প্রথার প্রচলন করেন। কৃষক শ্রেণীর কাছে এটি ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত পায়। পরে আবার এটি ‘বঙ্গাব্দ’ নামেই প্রচলিত হয়। নতুন এই সালটি আকবরের রাজত্বের ২৯তম বর্ষে প্রবর্তিত হলেও তা গণনা আরম্ভ হয় ১৫৫৬ খ্রীস্টাব্দের ৫ নভেম্বর থেকে। এর কারণ ওই দিনেই দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধে তিনি হিমুকে পরাজিত করেছিলেন আকবর। তাই এর মাধ্যমে সেই ক্ষণটি স্মরণীয় করে রাখার ইচ্ছা ছিলো তার।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×