somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বইমেলা ২০২২ এর বই: কবি পিয়াস মজিদের কাব্যগ্রন্থ অফটপিকের পাঠ প্রতিক্রিয়া

০১ লা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১।
বইমেলা ২০২২ এ আমার কেনা প্রথম বই, চন্দ্রবিন্দু প্রকাশনী থেকে প্রচ্ছদ শিল্পী রাজীব দত্তের প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণে প্রকাশিত কবি পিয়াস মজিদের কবিতা সংকলন, 'অফটপিক'। দীর্ঘদিন নানা ব্যস্ততায় বন্ধ রাখা পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখার প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করছি পিয়াস মজিদ ভাইয়ের এই নতুন বইটি দিয়েই।
.
৫৫টি কবিতায় সাজানো কাব্যগ্রন্থ অফটপিককে নিয়ে আমার এ আলোচনা মোটামুটি তিনটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম পর্যায়ে কাব্যগ্রন্থটির এমন কিছু প্রবণতাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি, যা এই কাব্যগ্রন্থকে বৈশিষ্ট্য প্রদান করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে গ্রন্থের কবিতাসমূহের কিছু দিক সংক্ষেপে তুলে ধরেছি, যা কবিতার পাঠক হিসেবে আমার মনে হয়েছে সমালোচনার উপযুক্ত। শেষভাগে, আমার বিশেষভাবে ভালোলাগা কবিতাগুলির একটি ফর্দ উপস্থিত। শুরু করা যাক।
.
২।
গতিময়তা, কাব্যগ্রন্থ অফটপিকের এক মূল বৈশিষ্ট্য। ৫৫টি কবিতার বর্ণনাকারী ভিন্ন কেউ নন, একটিই কণ্ঠস্বর, অর্থাৎ, কবি স্বয়ং। কখনো তিনি বর্ণনা করেন, আমরা শুনি; কখনো কবিতার মধ্যে অন্য একটি কণ্ঠস্বর তার সঙ্গে কথা বলে, তিনি শোনেন, তার সঙ্গে পুনরায় আমরাও দাখিল হই শ্রোতার সারিতে।
.
বইয়ের পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠাজুড়ে ছড়িয়ে আছে কবির ছুটে চলার ইতিহাস, কবির ভ্রমনের ইতিবৃত্ত। আর ছুটতে ছুটতে যা কিছু তিনি দেখেন, যা কিছু তার হৃদতন্ত্রে অনুরণন তোলেন, তাদের গল্প তিনি লিপিবদ্ধ করতে থাকেন কবিতার আঙ্গিকে। তিনি ছুটে চলেন ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে, ঢাকার গণ্ডি পেরিয়ে সারা বাংলাদেশ, কখনোবা বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মানচিত্রেও।
.
কবির ঢাকার নিবাস মোহম্মদপুরে। কাজেই কবিতায় হরদম উপস্থিত শিয়া মসজিদ, নূরজাহান রোডের কোরেশী কাবাব, মোহাম্মদপুর টু কাঁটাবন, অথবা নীলক্ষেতের বাসরুট, জিগাতলা হতে মোহম্মদপুর যাওয়ার পথে 'থিন ক্রাস্ট' পিজ্জার জন্যে বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট বেল্লা ইটালিয়া। তার কবিতায় প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে মিরপুর সাড়ে এগারো, বেঙ্গল ক্লাসিক মিউজিক ফেস্টের সূত্র ধরে মিরপুর আর্মি স্টেডিয়াম। পুরনো ঢাকার লালবাগের কেল্লা, ইংলিশ রোড, সদরঘাট থেকে নিয়ে জুরাইন কিংবা পোস্তগোলা।
.
হঠাৎ হঠাৎ কবিতার বিষয়বস্তু ছুটে চলে ঢাকা টু কক্সেসবাজার, অথবা ঢাকা থেকে মাওয়া - গরম টাটকা মাছ খাওয়ার জন্যে। অথবা পছন্দের কারো খোঁজে ময়মনসিংহ থেকে জামালপুর, জামালপুর থেকে নিয়ে মেলান্দহ, মেলান্দহ থেকে শেরপুর হয়ে ফের ঢাকা। কখনো কবিকে আবিষ্কার করি কুমিল্লা ওয়ার সিমেট্রিতে, কখনো বা গোমতী বা আড়িয়াল খাঁ নদের তীরে। রাজশাহীতে, কিংবা একেবারেই অচেনা - 'পাড়ার মোড়ের / সিয়োন টালিথা কুমী চার্চের কোণার টঙ' এ।
.
দেশের গণ্ডি অতিক্রম করে কবি হানা দেন লিও তলস্তয়ের তাসখন্দী নিবাসে, টোকিও কিংবা তেহরানে, কলাম্বিয়া কিংবা রোমের রাজপথেও।
ক্রমশ ছুটে চলা; সশরীরে, কিংবা মানসভ্রমণে; এবং চলার পথেই কাব্যের রসদ সংগ্রহ কাব্যগ্রন্থ অফটপিকের বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
.
৩।
অফটপিক কাব্যগ্রন্থের আরেক বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সংজ্ঞায়ন প্রবণতা। কবি সচেতনভাবে, বা ক্ষেত্রবিশেষে কাব্যিকতার অনিবার্য অমোঘ পরিণতি হিসেবেই উচ্চারণ করতে থাকেন আত্মের, বা অন্যান্য বিষয়বস্তু (সাবজেক্টম্যাটার) এর পরিচিতি, বা সংজ্ঞা। উদাহরণত -
.
~ 'মৃত্যু আজকাল / জীবনের জাস্ট / বিপরীতার্থক কিছু না' ( কবিতা - জীবনের জাদুঘর)
.
~ 'প্রেম তো কিছু / অলীক অক্ষর' (নিরক্ষর)
.
~ 'জীবন এক দানবের ডায়রি' (চেরি ফোটার দিন)
.
~ 'মহাবিশ্ব আসলে ভিখিরির ভূগোল' (খরা কিংবা প্লাবন)
.
~ 'তাদের (জলপুত্রদের) জীবন মূলত / মৎসকন্যার কবর' (দারুণ না!)
.
~ 'জীবন এক / গ্রীষ্মপ্রাসাদ' (হিমা)
.
~ 'মানুষ বড়জোর / শীতকালীন একটা তোপকাপি প্রাসাদ।' (ধরি, মানুষ মানে)
.
~ 'অনুভবের জাল পেতে, দৃশ্যের গায়ে
লুকানো শব্দ শিকারের অপরাধকে
নাম দেয়া হল 'কবিতা' । ' (চক্ষুঘটিত নয়)
.
~ 'মানুষের জীবন মূলত সিলেকশনের ইতিহাস।
কনডমের ফ্লেভার থেকে
নিজ কবরের জায়গা; ' (মনে এলো)
.
~ 'আমের মওসুম / শেষ হইলেও / অশেষ আমাদের পরিচয়।
আমরা চিরকালীন; / প্রাক্তন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ/ ম্যাংগো পাবলিক।' (আইডি)
.
এভাবে, পুরো কাব্যগ্রন্থজুড়ে, জীবন - মৃত্যু - প্রেম - মানুষ - কবিতা - আমজনতা বা ম্যাংগোপিপলের সংজ্ঞায়ন কবি করে চলেন, তার অনুভূতি বা অভিজ্ঞতার সংগ্রহশালা থেকে।
.
৪।
পূর্বভাগে অনুপ্রাসের ব্যবহারে বাক্যের মাঝে বিশেষ দ্যোতনা সৃষ্টি, অক্সিমোরোনের চমক, এবং ক্ষেত্র বিশেষে নতুন শব্দগুচ্ছের সৃষ্টি - কবিতার অলঙ্কারশাস্ত্রে কবি পিয়াস মজিদের বিশেষ শক্তির দিক। কাব্যগ্রন্থ অফটপিকেও আমরা তার বহুল ব্যবহার উপভোগ করি।
উদাহরণত -
.
'জলের আয়াত', 'অগ্নিআগামী', 'পবিত্র লিবিডো খামার' ( কবিতা - তন্দুর খাওয়ার প্রহর), 'তোমার দাউ দাউ উপকূল' (জীবনের জাদুঘর), 'বিপরীত গমনাগমনের / তীব্রগন্ধা ফুল' (নভেম্বর রেইন) , 'ভাইরাল হওয়ার বিষাদ' , নির্জনতাকামী কুহু' (হয়), 'মৃত্যুর তামসিক শিশির' (ও চাঁদ) , 'পাথর - গালিচা' (সূত্রসার), 'ধ্রুপদী ধরনের রাত্রির ভাঙ্গন' ( জাস্ট মিউজিক্যাল), 'হেমন্তের মীরহাজিরবাগ' (ধরি, মানুষ মানে), 'স্বর্গীয় ইউরিনাল' , 'স্বপ্নের ক্যাওস' (জাগরণঘোর), 'অক্ষরের অশ্রু' (কবিতার ক্লাস) , 'ময়লাবাহার জীবন' ( কুয়াশা ফ্যাক্ট) , 'জীবনব্যাপী মরণযাপন' (সান্তাকে বলে দেবো, শান্তা) , 'ক্ষুধার ফুল' (যে যেখানে আছি)।
.
৫।
রেফারেন্সিং এ এক বিস্তৃত পরিধি তিনি কাভার করেন, তার কাব্যগ্রন্থ অফটপিকে। একই সঙ্গে বোঝা যায়, হালের পপ কালচারের সঙ্গে, একই সঙ্গে মার্গীয় বিষয়বস্তুর আলোচনায় তিনি কতোটা সচ্ছন্দ্য।
.
কবির কবিতায় প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে 'অ্যালেন পো'র অসহায় মার্জারের মাথা' থেকে প্রবাহিত 'রক্তের পিচকিরি', গেম অফ থ্রোনসে স্টার্ক ফ্যামিলির আরিয়া স্টার্কের তরবারির শিক্ষকের সেই বিখ্যাত উক্তি - "There is only one god, and His name is Death. And there is only one thing we say to Death: 'not today', - এর সাথে মিলিয়ে 'মৃত্যুর মিস্তিরি কাল আসুক বরং ...' (তন্দুর খাওয়ার প্রহর)। কবি আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন 'মান্দেলস্তাম, বুকোস্কি' -র কবিতার সঙ্গে, কেননা, তাদের 'কবিতার লাইন ফেসবুকে পোস্ট করে হালফিল থাকা' ছাড়া আমাদের কোন গতি নাই (জন্ম থেকে জ্বলছি টু বি কন্টিনিউড)। কবির আলোচনায় প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেন তলস্তয় (তাসখন্দে, তলস্তয়ের বন্ধ বাড়ির সামনে), গারসিয়া মার্কেজ (এই বাংলায়), তরুণ কবি কাপুসকে পাঠানো রিলকের চিঠি (ঝিলমিল) থেকে নিয়ে আমাদের খুব আপন শহিদুল জহির, এবং তার ডুমুরখেকো মানুষ (খেতে খেতে)। আলোচনায় প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেন শায়েস্তা খান (মিডলক্লাস)। গানস অ্যান্ড রোজেস ব্যান্ডের ভুবনবিখ্যাত গান - 'নভেম্বর রেইন' , কখনো কবিতার শিরোনাম, কখনো কবিতার বিষয়বস্তু হয়ে অন্তত দু'বার হাজির হয় পুরো কাব্যগ্রন্থে। হালের পপ কালচারে ঝড় তোলা 'কে - পপ' ব্যান্ড বিটিএস (কবিতার ক্লাস) থেকে নিয়ে মার্গ সঙ্গীতের কিন্নরী কৌশিকী চক্রবর্তী ( জাস্ট মিউজিক্যাল), যার ধ্রুপদী ঝংকারে রাত গলে গলে পড়তে থাকে মিরপুর আর্মি স্টেডিয়ামের ক্লাসিক মিউজিক ফেস্টে।
.
৬।
অফটপিক কবিতার কাব্যগ্রন্থজুড়ে কবিকে দেখা যায় তার জটিল - সহজের বুননে নির্মিত জীবনদর্শনের কাব্যিক উপস্থিতি। তা থেকে আমার পছন্দের কিছু লাইন উল্লেখ করছি -
.
~ 'ভাষার সুর নিলে
নিতে হবে ভাষার বজ্জাতিও' (তন্দুরি খাওয়ার প্রহর)
.
~ 'একমাত্র মরতে গিয়েই বুঝতে পারা যায়
বেঁচে থাকতে পড়া তলস্তয়ের মৌল মর্ম।' (তাসখন্দে, তলস্তয়ের বন্ধ বাড়ির সামনে)
.
~ রাতভর যে চাঁদের আলোয় ঘুমন্ত পৃথিবী রান্না করেছে হাসির ফোয়ারা, কান্নার কারুকাজ, দিন হলেই সেই চাঁদের বুড়ির কথা আর কেউ মনে রাখে না, কেবল তার 'বেলা রুটির ভাগ - বাটোয়ারা!' (চাঁদের বুড়ি বেলছে রুটি)
.
~ 'হাঁটার প্রতিভা নিয়ে
দৌড় প্রতিযোগিতায়
জয়ী হওয়া যায় না' (পদাতিক ২০২১)
.
~ 'প্রতিটি অভ্যর্থনায় আছে গুডবাই - গন্ধ!' (সূত্রসার)
.
~ 'ফুলেদের ক্রমিক ধাক্কায়
ময়লা হয়ে পড়ে থাকি
নগরীর রাস্তায়' (অফটপিক)
.
~ 'হেই মেইট, আর কত / আলবাল - নন্দনে ভাসাবে / এই স্বর্গীয় ইউরিনাল!' (জাগরণঘোর)
.
~ 'বেঁচে থাকার অশ্লীল অমরতায় জারি রাখছি
আমার ছোট ছোট শ্বাসের শয়তানি।' (বিউটি অফ ডেথ)
.
~ 'ফ্রেন্ড না থাকলেও ছিল বহু ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট,
মন্দের মধ্যে ভালো ছিল গার্লফ্রেন্ডের এক্স!' (আজকের মতো এখানেই শেষ)
.
৭।
কাব্যগ্রন্থটি নিয়ে মোটামুটি ৩টি সমালোচনা আছে আমার, সবিস্তারে না বলে সংক্ষেপে বলি।
.
প্রথমত, কাব্যগ্রন্থের শিরোনাম থেকে শুরু করে অনেকগুলো কবিতায় ইংরেজি শব্দের বহুল ব্যবহার চোখে পড়ে। হয়তো এসমস্ত ইংরেজি শব্দের ব্যবহার প্রাসঙ্গিক, ক্ষেত্রবিশেষে তারা প্রাসঙ্গিকতা - অপ্রাসঙ্গিকতার বিলীয়মান সীমায় দণ্ডায়মান।
.
দ্বিতীয়ত, পাঠ করার পর মনে হয়, কবিতাগুলোর অধিকাংশই ক্ষণিকের অনুভূতিজাত। দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়ে গভীর কোন জীবনদর্শনের জলাশয়ে ডুব দেবার প্রস্তুতি বা আকাঙ্ক্ষার অভাব, পাঠক হিসেবে কবিতাগুলির নির্মিতিতে অনুভব করেছি।
.
তৃতীয়ত, অনেক কবিতাই মূলত একটি বাক্য, যাকে দুটি বা তিনটি শব্দে ভেঙ্গে দুটো, বা তিনটে আলাদা লাইনে পরিণত করা হয়েছে। এবং কবিতাগুলির অধিকাংশই ফেসবুকে আগে থেকেই আমার পড়া ছিল।
.
৮।
অফটপিক কাব্যগ্রন্থের ৫৫টি কবিতার মধ্যে আমার ভালো লেগেছে এমন কবিতাগুলির তালিকা হল - 'নিরক্ষর', 'হয়', 'অফটপিক', 'মোহাম্মদপুর টু কাঁটাবন', 'চক্ষুঘটিত'(কবিতাটির বিষয়বস্তু এবং কথক বিচিত্র, ক্যামেরার মুভমেন্টের মতো করে দৃশ্যকল্পের জন্ম দেয়া হয়েছে), 'যা কিছু নীলক্ষেতে', 'হে আমি' ।
.
স্মৃতিকাতরতা, অস্তিমানতার যাতনা, প্রেম ও প্রেমহীনতা, বন্ধুত্বের উৎযাপন, যাপিত জীবনের নিনাদে ঘেরা কাব্যগ্রন্থ অফটপিক, কবি পিয়াস মজিদের কবিতার নিয়ে আগ্রহী যে কারুরই সংগ্রহে রাখার মতো একটি বই।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×