somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহান ভাষা আন্দোলন, স্বজাতীয় কিছু কুলাঙ্গার এবং একদল মহীয়সী নারী।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




স্রষ্টা মানুষকে একটা সামাজিক জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। সমাজবদ্ধ হয়ে বেঁচে থাকতে হলে একে অপরের সাথে মনের ভাব প্রকাশ করতে হবে। মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজন হয় ভাষার। মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য যতগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে মানুষের মুখের ভাষা। মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন আদিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে উদ্ভাবিত হয়েছে এই ভাষা। সেই আদি কাল হতে আজ পর্যন্ত সকলেই লালন করে আসছে তাঁদের নিজস্ব ভাষাগুলো। মানব প্রজাতির বিকাশের সাথে সাথে ভাষার উৎপত্তি হয়েছে প্রতিনিয়ত। আবার এর পাশাপাশি আদি সমাজের বিলুপ্তির সাথে সাথে অনেক ভাষার হয়েছে মৃত্যু। এই ভাষার মৃত্যু কিন্তু একদিনেই হয় নি। সামাজিক- রাজনৈতিক চাপ, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে আবার কখনো কখনো মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে বিদেশী ভাষা গ্রহণের কারণেও এই আদি ভাষাগুলোর অপমৃত্যু হয়েছে। একটি ভাষার মৃত্যুতে শুধুমাত্র সেই ভাষার মৃত্যুই হয় না! একটি ভাষার সাথে জড়িয়ে থাকে একটি জাতির আদিম ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি। একটি ভাষার মৃত্যুর সাথে সাথে সেই আদিম জাতির ইতিহাসেরও মৃত্যু হয়। আমাদের বাংলা ভাষার পরিণতিও এমন করুণ হতে পারত। ১৯৪৭ সালে দ্বি জাতিতত্ত্বের মাধ্যমে জন্ম নেয়া পাকিস্তান। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী প্রথমেই আঘাত হানে আমাদের মাতৃভাষার উপর। তখন সালাম, রফিক, জব্বারের মত অকুতোভয় বাঙ্গালীরা নিজের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষার অধিকার ছিনিয়ে আনেন। সালাম, রফিক, জব্বারের মত বীরদের যেমন জন্ম দিয়েছিল বাংলা। ঠিক তেমনি মীর জাফরদের মত কিছু কুলাঙ্গারেরও জন্মভুমি এই বাংলা। তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী এবং সংবাদপত্র প্রকাশ্যে বাংলা ভাষার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। বাংলা ভাষার বিপক্ষে অবস্থান নেয়া পত্রিকাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মর্নিং নিউজ, পাসবান, সাপ্তাহিক আসাম হেরাল্ড, জুগভেরী

১৯৪৭ এর ডিসেম্বরে করাচীর শিক্ষা সম্মেলনের পর ' মর্নিং নিউজ ' উর্দুর সপক্ষে বিশাল একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। মর্নিং নিউজ তাদের ১৭ ই ডিসেম্বরের একটি দীর্ঘ সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলেন, - পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধান প্রধান কথ্য ভাষা পুস্তূ, পাঞ্জাবী, ব্রাহমি ও সিন্ধী। এবং পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান কথ্য ভাষা বাংলা। প্রত্যেকটি গ্রুপই যদি নিজের ভাষাকে সরকারী ভাষা রূপে চালু করার জন্য জোর দেয় তাহলে পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সহযোগিতা, ভাবের আদান প্রদান এবং পারস্পরিক সম্পর্কের অবসান ঘটবে। যার সামান্য কিছু বুদ্ধি আছে সে কখনোই এ কথা বলতে পারে না যে একজন পাঠান অথবা পশ্চিম পাঞ্জাবী তার পরিবারের লোকজনের সাথে পাঞ্জাবীতে কথা না বলে উর্দুতে কথা বলবে। এই একই মন্তব্য সিন্ধী, বালুচ এবং বাঙ্গালীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ঢাকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের করাচীতে গৃহীত সিদ্ধান্তকে এতো খারাপভাবে ব্যাখ্যা করার অর্থ এ ছাড়া আর কিছুই নয়।

সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে এমন একটি ভাষা নির্বাচনের প্রশ্নে উর্দুর সপক্ষে মর্নিং নিউজ সম্পাদকীয়তে আরও বলেন, - এ রকম একটি ভাষা আমাদের হাতের কাছে আছে। সেটা হল উর্দু, যাকে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লোকেরা নাম দিয়েছিলেন হিন্দুস্থানি। উপমহাদেশের অর্ধেকের বেশি লোক এই ভাষায় কথা বলে এবং সাধারণ ভাবে সকলেই তা বোঝে। এর থেকেও বেশি এই যে, পোর্ট সাইদ থেকে সাংহাই পর্যন্ত এই ভাষায় কথা বলা হয় এবং লোকে তা বুঝে। উর্দু একটি আন্তর্জাতিক ভাষার পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে এবং এটা হলো দুই ডোমিনিয়নের ' লিঙ্গুয়া ইন্ডিকা ' যা আরবি এবং দেবনাগরী, এই দুই অক্ষরেই লেখা হয়। যদি তারা ইংরেজিকে চালু রেখে তাকে হিন্দুস্থানি এবং পাকিস্তানিদের চিন্তার উপর রাজত্ব করতে না দেন, তাহলে উৎসাহী মাতৃভাষাওয়ালাদের হাতে সবকিছু ছেড়ে দিলে আন্তঃপ্রাদেশিক এবং আন্তডোমিনিয়ন সামাজিক, আধিমানসিক এবং বাণিজ্যিক লেন্দেন এক অচল অবস্থায় এসে দাঁড়াবে।

আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে অবমূল্যায়ন করার লক্ষে ' মর্নিং নিউজ ' ভাষার সাথে ধর্মের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আসেন সম্পাদকীয়টাতে। ধর্ম নিয়ে ' মর্নিং নিউজ ' বলেন ,- বাংলা ভাষায় ইসলাম এবং ইসলামী ইতিহাসের উপর কোন বই পুস্তক নেই বললেই চলে। আমরা এ বিষয়ে নিঃসন্দেহ যে আজকের একজন বিক্ষুব্ধ যুবক আগামী দিনে তার সন্তানরা যাতে আরও ভালো মুসলমান হয় সেটাই চায়। যুবকেরা যাতে তাদের ইসলামী ঐতিহ্য সম্পর্কে গর্ববোধ করে সে ব্যবস্থা করতে হবে এবং নিজেদের দায়িত্ব যাতে সাহস ও আত্ম বিশ্বাসের সাথে পালন করার জন্য প্রস্তুত হয়, তারও দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তারপক্ষে আরবিতে লিখিত তথ্যের সাথে পরিচিত হওয়া খুব অসুবিধাজনক, ফার্সি তর্জমাও তার পক্ষে বিরক্তিকর হবে। অন্যপক্ষে ইসলাম বিষয়ক এক বিশাল সাহিত্য উর্দুতে রয়েছে। বাংলাদেশের মুসলমানেরা ধনি দরিদ্র নির্বিশেষে সকলেই উর্দু বলতে এবং বুঝতে পারে। তারা দিল্লি, আলীগড় অথবা লাখনৌ এর লোকদের মতো চমৎকারভাবে উর্দুতে কথা বলতে না পারলেও প্রত্যেক মুসলমান শিশুই কোরআনের বর্ণমালার সাথে পরিচিত, কাজেই উর্দু শেখা তার পক্ষে সহজই হবে। করাচীর সিদ্ধান্তের তাৎপর্য এখানেই। এর মধ্যেই পূর্ব পাকিস্তানি মুসলমানদের মুক্তি এবং গৌরবময় ভবিষ্যৎ নিহিত।

মর্নিং নিউজের পাশাপাশি সিলেটের কিছু সংখ্যক শিক্ষাবিদ, ডাক্তার, সংস্কৃতি সেবী পূর্ব বাংলার প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে তারা উর্দুর সমর্থনে কিছু যুক্তি তর্কের অবতারনা করেন -

একদল লোক নিজেদেরকে বিরাট সাহিত্যিক, শিল্পী ও পণ্ডিত বলে জাহির করে উর্দুর বিরুদ্ধে দারুণ প্রচারনা শুরু করেছে। পূর্ব বাংলার লোকেরা একটি জাতি, এই উদ্ভট ধারনার বশবর্তী হয়ে তারা উর্দুকে জাতীয়তা বিরোধী ও বিদেশী ভাষা হিসাবে বর্জন করতে বদ্ধ পরিকর হয়েছে। সীমিত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশপ্রেমের মুখোশ পরে তারা বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার জন্য চারিদিকে তোলপাড় আরম্ভ করেছে। জনমতের প্রতিনিধিত্ব করার ভাব দেখিয়ে তারা নিজেরাই বাংলার মত এমন এক ভাষার দাবী তুলেছে, যে ভাষার একটি মুসলিম রাষ্ট্রের জাতীয় ভাষার মর্যাদা লাভের মত যোগ্যতা একেবারেই নেই। মুসলিম সংস্কৃতির গৌরবময় ঐতিহ্যবাহী উর্দু ভাষাকে বর্জন করার এই নির্লজ্জ প্রচেষ্টা যে শুধু ধ্বংসাত্মক তাই নয়, তা পশ্চাদমুখী, নিন্দনীয় এবং সর্বোপরি সার্বজনীন ইসলামী ভ্রাতৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জস্বরূপ। তারা যদি বাংলাকে একটি বিশেষ পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে চালু করা এবং উর্দুকে ইংরেজির জায়গায় রাষ্ট্রভাষা করার কথা বলত তাহলে সেটা বোঝা যেতো। কিন্তু বাংলার সমর্থকেরা উর্দুকে পূর্ব বাংলা থেকে তাড়িয়ে দিতে চায় এবং আমাদের সুচিন্তিত মতানুসারে সেটা পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানদের পক্ষে আত্ম হত্যার শামিল।

স্মারকলিপিতে তারা বাংলা ভাষাকে এভাবে কটাক্ষ করেন, - রবীন্দ্রনাথ- নজরুল ইসলামের বাংলা ভাষায় ' প্রাদেশিক দেশপ্রেম' প্রচার করা যায় কিন্তু কোনো সামরিক কাজকর্ম সে ভাষার মাধ্যমে সম্ভব নয়। বাংলা বর-কনের আলাপের উপযোগী হতে পারে কিন্তু তার মাধ্যমে বীরত্ব ব্যঞ্জক কিছু ব্যক্ত করা চলে না। বাংলার তুলনায় উর্দু একটা বীর্যপূর্ণ ভাষা এবং তার চরিত্রে পুরুষত্ব আছে!

উপরোক্ত স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরকারী উল্লেখযোগ্য কিছু কুলাঙ্গার আসাম সরকারের ভূতপূর্ব মন্ত্রী মুদাব্বির হোসেন, নজমুল হোসেন- সভাপতি মুসলিম সাহিত্য পরিষদ, শামসুজ্জামান চৌধুরী- দর্শনের সিনিয়র অধ্যাপক, আব্দুল হাই - দর্শনের অধ্যাপক, মিসবাহুল চৌধুরী, খায়রুন্নেসা খানম, মৌলানা রাজিউর রহমান- সম্পাদক আসাম হেরাল্ড।

সিলেটের এই সকল কুলাঙ্গার শিক্ষাবিদরা যখন বাংলা ভাষার অবমানায় ব্যস্ত। ঠিক তখন সিলেটের কয়েকজন বিশিষ্ট মহিলা তৎপর ছিলেন বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে। তাঁরা পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের কাছে বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবী জানিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে যারা সাক্ষর করেন তাদের মধ্যে অন্যতম - মহিলা মুসলিম লীগের জেলা কমিটির সভানেত্রী বেগম জোবেদা খাতুন চৌধুরী, সহ- সভানেত্রী সৈয়দা শাহেরবানু, সম্পাদিকা সৈয়দা লুতফুন্নেসা খাতুন, সৈয়দা নজিবুন্নেসা খাতুন এবং সিলেট রাজকীয় বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষয়ত্রি রাবেয়া খাতুন। এই স্মারকলিপি প্রেরণের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সিলেটের ইস্টার্ন হেরাল্ড পত্রিকায় এই স্মারকলিপির সম্পর্কে কতগুলো অশোভন ও বিরূপ উক্তি করা হয়। এই উক্তির প্রতিবাদে সাপ্তাহিক নওবেলাল এ ১১ই মার্চ স্মারকলিপির অন্যতম স্বাক্ষরকারী সৈয়দা নজিবুন্নেসা খাতুনের একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়। মর্নিং নিউজ, জুগভেরী, হেরাল্ড যেখানে বাংলার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল সেখানে পুরোপুরি ভাবে মাতৃভাষা আন্দোলন সমর্থন করে সামনে এগিয়ে আসে সাপ্তাহিক ইনসাফ, জিন্দেগী, দেশের দাবী, সিলেটের সাপ্তাহিক নওবেলাল । সাপ্তাহিক নওবেলালে প্রকাশিত বিবৃতির উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ, -

যাহারা পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষী হইয়া মাতৃভাষার বিরুদ্ধাচরণ করেন তাহারা মাতৃভাষার বিশ্বাস ঘাতক কু পুত্র তুল্য। অনেকে আবার না বুঝিয়া, ধর্মের দোহাই শুনিয়া উর্দুর সমর্থন করেন। তাহাদের তত দোষ দেয়া যায় না। কিন্তু যাহারা ধর্মের দোহাই দেন তাহাদের জিজ্ঞাসা করি যে উর্দু ভাষাভিজ্ঞ অপেক্ষা সিলেটের উর্দু অনভিজ্ঞ মুসলমানেরা ইসলাম ধর্মের অনুশাসন পালনে কোন অংশে হীন? বরং এ বিষয়ে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সিলেটের মুসলমানদের তহজিব ও তমদ্দুন এক বিশিষ্ট স্থান লাভের অধিকারী বলিয়া অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা মত প্রকাশ করিয়াছেন। আমাদের বক্তব্য ছিল যে উর্দু ভাষাভাষী অধিক সংখ্যক শিক্ষয়ত্রি নিযুক্ত করিয়া পর্দানশীন মহিলাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অসম্ভব ফলে অল্প দিনের মধ্যে অল্প শিক্ষিতা নারী জাতি অশিক্ষিতা হইয়া যাইবেন এবং স্বামী পুত্রের সহযোগিতা করিতে পারিবেন না। রাষ্ট্রভাষা যদি বাংলার পরিবর্তে উর্দু হয়, তবে আমাদের মত অল্প শিক্ষিতা নারীদের জন্য উর্দু শিক্ষার কি ব্যবস্থা হইবে, তাহা আমাদের ধারণাতীত।

বাংলা ভাষার পক্ষে সুদৃঢ় অবস্থান নেয়ার কারণে পূর্ব বাংলা সরকারের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেলের আদেশক্রমে নওবেলালের প্রকাশনা ১৯৪৮ এর ১৩ ই সেপ্টেম্বর থেকে ৮ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকে।

মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষাকল্পে সিলেটের মহিলাদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে তমদ্দুন মজলিসের সম্পাদক আবুল কাশেম মহিলা লীগের সভানেত্রী জোবেদা খাতুনের কাছে একটি চিঠি প্রেরন করেন -

আজ সত্যি আমরা অভূতপূর্ব আনন্দ এবং অশেষ গৌরব অনুভব করছি। সিলেটের পুরুষরা যা পারেন নি তা আপনারা করেছেন। উর্দু সমর্থনে সিলেটের কোনো কোনো পত্রিকা যে জঘন্য প্রচার করছে আর সিলেটের কোনো কোনো পুরুষরা স্মারকলিপি দিয়ে যে কলঙ্কজনক অভিনয় করেছেন তা সত্যি বেদনাদায়ক। কিন্তু আপনাদের প্রচেষ্টা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। আপনাদের প্রেরিত স্মারকলিপি আমাদের আশান্বিত করে তুলেছে। নিশতার সাহেবের দেখা করেও আপনারা মাতৃভাষার প্রতি কর্তব্য সম্পাদন করেছেন। তমদ্দুন মজলিস আজ আপনাদের অকৃত্রিম ধন্যবাদ জানাচ্ছে। আপনাদের প্রচেষ্টা জয়জুক্ত হউক। আশা করি আপনাদের নিঃস্বার্থ কর্ম চাঞ্চল্যে বাংলা ভাষা আন্দোলন আরও সক্রিয় - আরও প্রবল হয়ে উঠবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২৭
৩৬টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×