আমেরিকার উত্তর-পশ্চিমের সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান 'ইনফো স্পেসে'র সাবেক সিইও এবং মুন এক্সপ্রেসের আংশিক মালিক বিলিওনিয়ার নাভিন জৈন বলেছিলেন, মানুষের ব্রেইনের সেন্ট্রাল পার্ট খুব সহজে পজেটিব বিষয়ের পরিবর্তে নেগেটিভ বিষয়গুলো রপ্ত করে ৷
.
আপনি যখন খারাপ চিন্তা করেন তখন খারাপ অনুভূতি সৃষ্টি হয় আর তা ক্রমান্বয়ে অভ্যেস এবং অভ্যেস থেকে চরিত্রে রূপান্তরের মাধ্যমে আপনি নিজের অজান্তে দিনকে দিন একজন খারাপ মানুষে রূপান্তর হচ্ছেন ৷
.
সাধারণত খারাপ মানুষ স্বীকার করতে চাইনা তারা খারাপ কারণ তারা অদ্ভুত এক অভ্যেসের বৃত্তে বন্দী হয়ে গেছে যা প্রকৃত জীবন বৃত্তান্তে মিলে গেছে ৷
.
ভাবনাগুলো সবার আগে মুখে ফুটে উঠে ৷ ইংরেজীতে একটি জনপ্রিয় প্রবাদ আছে, 'ফেইস্ ইজ দি ইনডেক্স/মিরর্ অব মাইন্ড'
.
বিশ্ব সমাদৃত 'লাইফ ওয়ান হান্ড্রেড ওয়ান' বইয়ের জনপ্রিয় লেখক পিটার ম্যাক্ উইলিয়ামস বলেছিলেন বিষয়টি এভাবে বলেছিলেন, 'বেশীরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে নেগেটিভ চিন্তা করা একটি অভ্যেস যা ক্রমান্বয়ে আসক্তিতে পরিণত হয় ৷'
.
শিব খেরার ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলার বুক 'ইয়ু ক্যান উইন' বইয়ের একটি উদাহরণ ছিলো, 'গ্লাসে অর্ধেক পানি দেখে কেউ ভাবে গ্লাস অর্ধেক পরিপূর্ণ আর কেউবা ভাবে গ্লাসের অর্ধেক খালি' এক্ষেত্রে প্রথমেই মানুষ গ্লাসটি দেখে চিন্তা করবে 'গ্লাসের অর্ধেক খালি' কারণ মানুষের ব্রেইন এই ভাবে তৈরী তাকে যখন উন্নত করা হবে তখন সে ভাববে, 'আসলে গ্লাসের অর্ধেক খালি না বরং পূর্ণ ৷'
.
উক্ত বইয়ে কেঁচোরও একটি উদাহরণ আছে, পরিষ্কার গ্লাসের পানিতে খেলা করতে থাকা একটি কেঁচোকে উঠিয়ে মদের পানিতে ডুবানোর পর সেটি মুহূর্তে মারা গেলো, এই পরীক্ষা থেকে মাদকাসক্ত ছেলে পজেটিব জিনিস শিখেছিলো, 'মদ খেলে পেটে কেঁচো হতে পারবে না সুতরাং বেশী বেশী মদ খাওয়া দরকার ৷'
.
সুতরাং কেউ যখন শুধু আপনার শুধু খারাপ দিক নিয়ে আলোচনা করে এতে মন খারাপের কোন কারণ নেই বরং তার ব্রেইনের অর্ধেক খালি ৷
.
মনোবিজ্ঞানে নেতিবাচক চিন্তার মানুষদের একটি সাইকোথেরাপি দেওয়া হয় যেটাকে বলে 'কগনেটিভ থেরাপি' যার মাধ্যমে আপনি এই মুহূর্তে কি কি চিন্তা করছেন তা সত্যি সত্যি খাতায় লিখে তারপর চিন্তাগুলোকে পরিবর্তনের টোটকা শেখানো হয় ৷ অসুস্থ চিন্তার মানুষরা কি চিন্তা করছে অথবা ভাবছে তা ভেবে আপনি যখন সময় নষ্ট করছেন তার মানে আপনারও 'কগনেটিভ থেরাপি' দরকার ৷ আজ ই নিকটস্থ মানসিক নিরাময় কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন ৷