শেষ টুকুন
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছি, প্রথম জ্ঞান ফেরার পর বাঘিনীকে দেখে আবারও জ্ঞান হারিয়ে ছিলাম। এই দ্বিতীয়বারের মতো জ্ঞান আসলো এখনো বাঘিনীটা বসে বসে ঝিমুচ্ছে আছে কিন্তু কি হল আমার এক হাত কোথায় অনুভূতি পাচ্ছিনা কেন!
ওহ যাক বাবা বাঁচলাম, আমিতো ভেবেছিলাম হাতটা হয়তো ভেঙে টেঙে গেছে এখন দেখছি না ভাঙেনি হাতটা বাঘিনীর দু-হাতের মাঝে। বাঘিনীটার দিকে এই প্রথম ভালোভাবে তাকালাম। আশ্চর্য এই মেয়েটার কারণেই কি আমি এখন হাসপাতালে, নাহ বিশ্বাস হচ্ছেনা। কি মায়াবী চেহারা কেউ কি কখনো ভাববে যে এর কারণেই আমার এই অবস্থা।
বাঘিনীটা জেগে গেছে আমাকে ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে থাকতে দেখে লজ্জা পেয়েছে, মেয়েদের লজ্জা পাওয়ার মূহুর্ত গুলো খুবই অসাধারণ। তাই আমি আরো বেশি করে তাকিয়ে রইলাম। মেয়েটা বলল কি দেখছেন এভাবে?
- না মানে ওই রাতের বাঘিনীর সাথে এইখানে বসে থাকা মেয়েটার তুলনা করছি।
- লজ্জা দিচ্ছেন না? আপনাকে সেদিন নগ্ন শরীরে কেমন লেগেছিল জানেন? PK এর মতো। আমিতো প্রথমে ভয়-ই পেয়ে গিয়েছিলাম।
এবার আমার লজ্জা পাবার পালা কিন্তু আমি লজ্জা না পেয়ে বললাম কই আমারতো সবকিছুই ছিল শুধু শার্টটা বাদে PK এর তো কিছুই নেই। মেয়েটা বলল হইছে বাদ দেন এখন কেমন লাগছে? আমি বললাম হুম খারাপ না তবে কয়েকদিন বাত হাতটা নাড়াতে পারবোনা সম্ভবত। হঠাৎ মেয়েটা কেঁদে দিল আমি একদমই প্রস্তুত ছিলাম না এর জন্য। মেয়েটা বলল আমাকে ক্ষমা করে দিবেন প্লিজ আমি না বুঝেই...। আমি বললাম না না কাঁদছো কেন আমার তেমন কিছুই হয়নি এই যে দেখো আমি বা হাত ও নাড়াতে পারি। এই বলে বা হাতটা নাড়াবার চেষ্টা করলাম, একটা মড়াৎ করে শব্দ হল ব্যাথায় ককিয়ে উঠলাম।
মেয়েটা হেসে দিল বলল আপনাকে দেখাতে হবেনা, আপনি চুপ করে শুয়ে থাকুন। আমি চুপ করে শুয়ে পড়লাম। মেয়েটা বলল আমি এখন তাহলে আসি। আপনি শুয়ে থাকুন আমি ঘবটা দুয়েকের ভীতরেই এসে পড়ব।
আমি এখন ঢাকা দুদিন হয়ে গেছে এখানে এসেছি। আমি চাইনা কেউ আমাকে ভালোবাসুক। মেয়েটার চোখে আমি কিছু দেখেছিলাম ও পুরো দুদিন আমার জন্য হাসপাতালে ছিল জানিনা কেন যেন আমার মনে হয়েছিল ও আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে। আর আমি নিজেকে কারো সাথে জড়িয়ে ফেলতে চাইনা।