মনে পড়ে কি ২০১২ সালের দিল্লীর সেই ধর্ষণের কথা?
মনে পড়ে কি নির্ভয়ার কথা?
২০১২ সালে দিল্লীতে চলন্ত বাসে মেডিকেল ছাত্রী নির্ভয়াকে গণ-ধর্ষণের পর বাস থেকে ছুড়ে ফেলে হত্যার ঘটনা?
যা তখন গোটা বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলো।
জানি ভুলে গেছেন। আর ভুলে যাওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। কারন আমরা প্রত্যেক মানুষই নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজেকে নিয়ে খুবই ব্যস্ত। বউ বাচ্চার ছবি ফেসবুকে আপলোড করে বসে থাকি কতোজন লাইক দিলো, কমেন্টস করলো এইসব আরকি। সমাজকে নিয়ে ভাববার অবকাশ কোথায়?
তাছাড়া দিল্লীর ধর্ষণের ঘটনায় আমাদের মাথাব্যথার কোনো কারন নেই। ও নিয়ে ভাববার মতো আজাইরা সময়ই বা কোথায়?
কিন্তু সেদিনের সেই ঘটনা আজও আমাদের মনে দাগ কাটে। কারন আমাদের মধ্যে মানবতাটা একটু বেশিই কাজ করে।
আমরা সবসময় আজাইরা থাকি।
উন্নত বিশ্বে এ ধরনের সন্ত্রাস ও ধর্ষণের ঘটনার সিংহভাগই সংঘটিত হয় তরনদের দ্বারা। যাদের বয়স বেশিরভাগই ১৮ বছরের নিচে।
সেই উন্নত বিশ্বের সাথে বেশ ভালোভাবেই তাল মেলাচ্ছে ভারতের তরুন সমাজ। অন্তত গত ২০ বছরের পরিসংখ্যান ঘাটলে তাই পরিলক্ষিত হয়।
নির্ভয়া ছিলো ছদ্মনাম। সম্প্রতি তার বাবা মা নির্ভয়ার আসল নাম প্রকাশ করেছে। নির্ভয়া কোনো অন্যায় করেনি। তাই তার বাবা-মার জন্য আমাদের গর্ব হচ্ছে। বদ্রিনাথ এবং আশা সিং দম্পতি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন তাদের মেয়ের হত্যাকারীর মুক্তি ঠেকাতে।
অবশেষে হতাশ এবং ঘৃনা কন্ঠে তারা বললেন--‘আমরা হেরে গেছি, জিতে গেছে অপরাধ’।
নির্ভয়ার প্রকৃত নাম- জ্যোতি সিং।
লজ্জার বিষয় হচ্ছে- আনুষ্ঠানিক ভাবে কখনোই জানা গেলোনা নরপিশাচ, নরপশু সেই ধর্ষকের নামটি। এমনকি ২০১২ সালে গ্রেফতারের পর থেকে তাকে সবসময়ই মুখে কাপড় বেধেঁ আদালতে আনা হতো।
ধর্ষকেরও আবার লজ্জা!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯