জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতার বিবেচনায় মুমিন ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত দোষারোপ আমলে নেয় না। আমার ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট সমূহে অমুসলিমগণ ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে বিবিধ দোষের কথা উপস্থাপন করে। যার কোনটি ইসলামের অশুদ্ধতা প্রমাণ করে না। তারা আল্লাহ, রাসূল (সা.), কোরআন, হাদিস ও সাহাবায়ে কেরামের (রা.) বিবিধ দোষের কথা বলে থাকে। তো আল্লাহ দোষী হলে তিনি দোষী লোককে রাসূল (সা) বানাবেন, তার কিতাব ও রাসূলের (সা.) কিতাবেও দোষ থাকবে এবং রাসূলের (সা.) সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মধ্যেও দোষ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তারজন্য মুমিন ইসলাম ছাড়বে কেন? কারণ এর জন্য মুমিন ইসলাম ছেড়ে কিছুতেই জাহান্নামের ঝুঁকি গ্রহণ করবে না।আর মুমিন কিছুতেই ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত বিবিধ দোষ স্বীকার করবে না। কারণ আল্লাহ এসব দোষ স্বীকার করেন না। সুতরাং এসব দোষ স্বীকার করে মুমিন আল্লাহর গজবে পড়ে জাহান্নামে যেতে চাইবে না।
হুমায়ুন আজাদ তার কবিতায় কোরআন না পড়ার দিকে ইঙ্গিত করেছে। অথচ ইসলামের দোষ উপস্থাপন করার জন্য অমুসলিমরা কোরআন আরো বেশী করে পড়ে। আমি তাদের সাথে তর্কে জড়াতে যাইনি। আমি তাদেরকে বলেছি, এর চেয়ে ভালো কোন পুস্তক থাকলে বল, পড়ে দেখি। কিন্তু ট্রাক খানিক পুস্তক পড়েও কোরআনের মত শান্তি কোথাও পাইনি।আল্লাহর কিতাব বলে এর সাথে অন্য কোন পুস্তকের তুল না হয় না। আল্লাহর সাথে স্বপ্নে আমার দিদার ঘটেছে চার বার। প্রথম বার তিনি বলেছেন, যারা তাঁর সাথে তামাসা করে তিনি তাঁদের সাথে তামাসা করবেন। দ্বিতীয় বার আমার মনে হলো তাঁকে নিয়ে লেখা আমার কবিতা তিনি আরশে প্রদর্শ করে পড়ছেন। তৃতীয় বার তিনি বললেন, তিনি জানেন না তিনি কিভাবে হলেন? তিনি কিভাবে হলেন এ বিষয়ে আমার মনে তাঁর প্রতি একটা জিজ্ঞাসা ছিলো, সেই জিজ্ঞাসার জবাবেই তিনি এমনটা বললেন বলে আমার মনে হলো। চতুর্থবারে তিনি বললেন, তিনি নূর এবং তাঁর পোশাক নুর। কিন্তু তাঁর রাসূল (সা.) নূর হলেও তাঁর পোশাক নূর নয়। সুতরাং এ ক্ষেত্রে তাঁর আর রাসূলের (সা.) সুনাম সমান করা যাবে না। আমার এ স্বপ্নের বিষয়কে অমুসলিমরা হেলসিনেশন আখ্যা দিয়ে থাকে। তারা এর যেমনই আখ্যা দেক না কেন এ সব স্বপ্ন আমার আত্মার প্রশান্তির কারণ হয়েছে।
অমুসলিমরা বলতে চায় ইসলামের সঠিকতার প্রমাণ নেই। কিন্তু তাদের অবিশ্বাসের প্রমাণ তারা দিতে না পারলে মুলত মুমিন তাদের কথা বিশ্বাস করবে না। অবিশ্বাসীদের কথা বিশ্বাস করা যায় কিনা সেজন্য আমি তাদের বহু পুস্তক পাঠ করেও তাতে তাদের অবিশ্বাসের সঠিকতার প্রমাণের কিছুই পাইনি। সেজন্য আমি অবিশ্বাসীদের কথায় বিশ্বাসী না হয়ে আল্লাহর কথাই বিশ্বাস করি।আমি ইসলামের বিরোধীতায় অবিশ্বাসীদের অনেক উত্তেজনা দেখেও নিজে কখনো উত্তেজিত হইনি। কারণ অবিশ্বাসের কথামালা অতিসয় সাধারণ। অনেক ক্ষেত্রে এগুলো অশোভন হয়ে থাকে। সেজন্য এসব কথা মুমিনদেরকে আকৃষ্ট করে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৪