রমেল চাকমা কে নিয়ে অনেকেই জল ঘোলা করছি।
কেউ বলছি –রমেলকে সেনাবাহিনী নির্যাতন করে মেরেছে।
অথচ বর্তমান সরকারের আমলে এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এসব ব্যাপারে সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স।
সুতরা যারা এগুলো বলছি তারা বোকার স্বর্গেই(!) বাস করছি।
বর্তমান সরকারের আমলে আমরা দেখছি-
নব্য জেএমবি তথা জামাত-শিবির এর আস্তানা গুড়িয়ে দিতে, জঙ্গিদের বধ করতে।
জাতীয় স্বার্থে আন্দোলনরদের কঠোর হস্তে দমন করতে।
ক্ষমতা আরো পাকা-পোক্ত করতে কোনো কোনো আন্দোলনকে সহজেই মেনে নিতে।
হেফাজতের সাথে বেশ সখ্যতা, তার প্রমাণ পাঠ্যপুস্তকে হেফাজতি আদর্শ অনুসরণ।
জাতীর পিতা ব্যতিত অন্য কোনো মূর্তি এ দেশে হারাম, পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ হারাম।
সত্যিকারের বিরোধীদলকে একটি মেরুদন্ডহীন রাজনৈতিক দলে পরিণত করতেও সরকারকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে।
প্রশাসনে যাতে কোনো অভ্যুত্থান না ঘটে সেজন্য বুবু বিভিন্ন কারনে অকারনে বেতন-বোনাস বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
মিজানুর রহমান “বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন” কে সরকার তথা আওয়ামীলীগ এর হাতের পুতুল বানিয়ে গেছেন।
তাই দেশে এখন সত্য বলার মানুষ নেই (সবাই এখন আওয়ামীলীগ)।
এতদিন যারা ব্যক্তি স্বার্থ নিয়ে কথা বলেছে তাদের বেশিরভাগই গুম হয়ে গেছে।
যেহেতু রমেল পাহাড়ীদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করতেন।
সেদিক থেকে রমেলকে সৌভাগ্যবানই বলা যায়।
কেননা সেনাবাহিনীর নানিয়ারচর জোন কমান্ডার মো. বাহলুল আলম, মেজর তানভীরসহ কতিপয় সেনাসদস্য রমেলকে গুম করেনি।
সুতরাং উনাদের মনুষ্যবোধের তারিফ করতেই হচ্ছে।
বাহবা জানাচ্ছি বাংলাদেশ সেনাবহিনীকে, বাংলাদেশ সরকারকে।
জানা নেই বিশ্বের কোনো দেশের সেনাবাহিনী কর্তৃক এমন নির্যাতন করে মেরে ফেলার নজির আছে কিনা।
হয়তো সেদিক থেকেও হাচিনার সেনাবাহিনী এগিয়ে গেলো।
এতএব মেজর তানভীরকে মেডেল ও প্রমোশন দেয়া হোক!!!!!
রমেল,
এদেশ তোমার আমার কারো নয়।
এদেশ ওদের, এদেশ হায়েনাদের, এদেশ এখন হেফাজতিদের।
তুমি মরে বেচেঁছো, আর আমরা মরার মতো বেচেঁ আছি।
ক্ষমা করো ভাই।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:২২