আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, এ আন্দোলন যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য, জামায়াত-শিবিরের মতো ঘৃণ্য, দেশদ্রোহী, অপপ্রচারকারী, বর্বর সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার জন্য, তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করার জন্য। ধর্মকে নিয়ে এখানে কোনো বিবৃতি বা ঘোষণা কখনওই দেওয়া হয়নি, দেওয়া হবেও না। কারণ আন্দোলনটি কোনোভাবেই কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নয়।
বস্তুত এ কারণেই, শুরুর দিন থেকেই সারা বাংলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে এসেছেন, সংহতি প্রকাশ করেছেন। আলেম, ইসলামি চিন্তাবিদ ও ইসলাম নিয়ে গবেষণা করছেন, কাজ করছেন এমন মানুষও এসেছেন, বক্তব্য দিয়েছেন, আমাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আন্দোলনের শুরু থেকে আজকের দিন পর্যন্ত আমি দেখেছি, সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষেরা কীভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে এসেছেন, জয় বাংলা শ্লোগান দিয়েছেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধকরণের পক্ষে তাদের মতামত জানিয়েছেন।
আজকের দিনে তাই একটি প্রশ্ন উঠতেই পারে, যাদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে এ আন্দোলনের আগুন আজ ছড়িয়ে গেছে সবখানে, যারা দিনরাত অবস্থান করেছেন আমাদের সঙ্গে, তারা তো একবারও এ প্রশ্নটি তুললেন না। মনে রাখতে হবে, ধর্মকে আশ্রয় করে গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারাই সে বাহিনি, যারা একাত্তরে ধর্মের নামে গণহত্যা চালিয়েছে, নারী নির্যাতন করেছে।
জামায়াত-শিবির দেশদ্রোহী আর দেশদ্রোহীরা কখনওই ধার্মিক নয়, কারণ ধর্মেই বলা আছে দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। যে বর্বর বরাহরা দেশের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করে, শহিদ মিনারের মতো ইতিহাসের উজ্জ্বল স্মারক ভেঙে চুরমার করে দেয়, তারা কোনোভাবেই ধার্মিক নয়, হতে পারে না। তারা কেবল নিজেদের হীন স্বার্থ বাস্তবায়নে ধর্মকে ব্যবহার করে, সাধারণ মানুষের ধর্মানুভূতি অবলম্ববন করে নানা কূটকৌশলে দেশবিরোধী তৎপরতা চালায়। এরা সকল ধর্মের শত্রু।
for more details LIKE this Page
Click This Link