আমাদের ভবিষৎ নিয়ে খেলার সুযোগ আমরা কাউকে দিতে চাই না। সরকার কি ১০০% নিশ্চিত যে, ভবিষৎ ৫ লক্ষাধিক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও পলিটেকনিকের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ছাড়া ভবিষৎ বাংলাদেশ সচল থাকবে? হুমকি না, পালা বদলের নিয়ম অনুযায়ী এই সরকারকে আবশ্যই তার ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতে হবে। শুধুমাত্র খামখেলালির কারণে সরকার ৫ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের ভবিষৎ ভোটগুলো হারালো।
৪ বৎসব লেখাপড়া করার পর সুপারভাইজার হওয়ার একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন না, তার থেকে বেকার থাকা অনেক ভাল। পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সব সময় পিছিয়ে রাখা হত। কেন, তাদের কি অধিকার নেই নিজস্ব মত প্রকাশের? যার কারণে আগে পাশ করা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর এখন কোন খোঁজ মিলবে না। কারণ মানগত, প্রযুক্তিগত, ডিমান্টগত। শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ করা হত না, তাদের সৃজনশীল হওয়ার সুয়োগ দেওয়া হত না। দেশে থেকে একজন ইঞ্জিনিয়ার চাকুরি করে মাসে সর্বোচ্চ ১০-২০ হাজার টাকা বেতন পায় কিন্তু, বিদেশে গিয়ে একজন বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার মাসে সর্বোনিম্ন ৩০-৫০ হাজার টাকা বেতন পায়। যে দেশ থেকে একজন ইঞ্জিনিয়ার তৈরী হয় সে দেশে তার কাজের কোন দাম নেই কিন্তু, ভীনদেশীদের কাছে তার দাম ঠিকই আছে। টাকা-পয়সা সব না, সম্মানটাই বেশি এদেশের সরকার তো আমাদের সম্মান দিতেই জানেন না, ৪ বৎসব লেখাপড়া করার পর সুপারভাইজার চাকরি। দেশে ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক্যাল অথচ হাতে গনা কয়েকটা ছাড়া সবগুলো পলিটেকনিক্যালের অধ্যক ভারপ্রাপ্ত। কেন এগলো থেকে কি মেধাবী শিক্ষার্থী বের হয় না?
তাই শিক্ষার্থী ভাই-বোন দের কাছে আমার একান্ত আবেদন, আসুন আমরা শপত করি আমাদের দাবি পূরণের আগে আমরা কিছুতেই পরীক্ষায় বসব না। ৩০ লক্ষ মানুষ যদি দেশের জন্য তাদের প্রাণদান করতে পারেন, তাহলে আমরা কি ভবিষৎ ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য এইটুকু সামান্য কাজ করতে পারব না।