সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে নাও। তুমি যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দান কর, আর যাকে ইচ্ছা বেইজ্জতি কর।তোমার হাতেই মঙ্গল।নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
সূরাঃ ৪২ শূরা, ১৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৩। তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দীন। যার নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন নূহকে। আর যা আমি ওহী করেছি তোমাকে। আর যার নির্দেশ দিয়ে ছিলাম, ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে, এই বলে যে, তোমরা দীনকে কায়েম কর। আর তাতে মতভেদ করবে না।তুমি মুশরিকদেরকে যার প্রতি আহবান করছ তা’ তাদের নিকট দূর্বহ মনে হয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা দীনের প্রতি আকৃষ্ট করেন। আর যে তাঁর অভিমুখী তাকে তিনি দীনের দিকে পরিচালিত করেন।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।
সহিহ তিরমিযী, ৩৭০৭ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭০৭। হযরত আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আল-হাসান ও আল-হোসাইন জান্নাতী যুবকদের সর্দার।
সহিহ আল বোখারী, ৩২৪৭ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩২৪৭।হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। নবি করিম (সা.) বলেছেন, এ দায়িত্ব (মুসলিম নেতৃত্বের) চিরকাল কুরাইশদের হাতেই থাকবে। যতদিন তাদের দু’জন লোক অবশিষ্ট থাকবে।
সহিহ আবুদাউদ, ৪৮৬০ নং হাদিসের (কিতাবুল আদাব) অনুবাদ-
৪৮৬০। হযরত তামীম দারী (রা.)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন! দীন হলো নসীহত, দীন হলো নসীহত, দীন হলো নসীহত। তখন সাহাবায়ে কেরাম (রা.) বললেন, কোন কোন ব্যক্তিদের জন্য? জবাবে নবি করিম (সা.) বললেন, আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসূলের জন্য, মুসলিম শাসকের জন্য এবং সমস্ত মুসলমানের জন্য।
* দ্বীন কায়েমের দায়িত্ব ছিলো রাসূলের (সা.)। তিনি বলেছেন, নেতা জনগণের মত হয়। সেজন্য রাসূল (সা.) মদীনার জনগণের মধ্যে জামায়াত প্রতিষ্ঠিত করে তাদের মধ্যে দ্বীন কায়েম করে পরে তাদের রাষ্ট্র নায়ক হয়েছেন। জনগণের দ্বীন বিনষ্ট হওয়ার পর তাদের রাষ্ট্র নায়ক হয়েছে ইয়াজিদ। যার মধ্যে দ্বীন ছিলো না। ইমাম হোসেন (রা.) কারবালায় গিয়ে দেখলেন যারা ইয়াজিদের পক্ষে এবং তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছে তাদের মধ্যে কারো মোটে ঈমানই ছিলো না। সুতরাং তারা জান্নাতি যুবকদের সর্দার হযরত ইমাম হোসেনকে (রা.) শহীদ করে ফেললো।
বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম করতে হলে এখানে কুরাইশ নেতার নেতৃত্বে জামায়াত কায়েম করে তারপর বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে দ্বীন কায়েম করতে হবে। তারপর জনগণের মধ্যে দ্বীন কায়েমকারী জামায়াতের কুরাইশ নেতাকে আল্লাহ বাংলাদেশে রাজত্ব দিবেন। তারপর সেই জামায়াতের মাধ্যমে বাংলাদেশে দ্বীন কায়েম হবে। জনগণের মধ্যে দ্বীন কায়েম না করে তাদের শাসক বদলাতে গেলে কারবালার মত শহীদ হতে হবে। বাংলাদেশে দ্বীন কায়েমে আমাদের দ্বায়িত্ব কুরাইশ নেতার আহবানে সাড়া দেওয়া ও তাঁর আনুগত্য করা। তবে কুরাইশ নেতা যদি ইয়াজিদ মার্কা হয় তবে আমরা তার দলে যোগদান করব না। কুরাইশ নেতারা দ্বীন কায়েমের চেষ্টা না করলেও তাদের দায়িত্ব আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব আল্লাহ আমাদেরকে প্রদান করেননি। আমরা বরং কুরাইশদেরকে দ্বীনি জামায়াত কায়েম করে দ্বীন কায়েমের নসীহত করব এবং জনগণকে দ্বীনি জামায়াতের কুরাইশ নেতার অনুগত থাকতে নসীহত করব।যদি সে কুরাইশ নেতা ইয়াজিদ মার্কা না হয়।