১
কিছু লিখতে ইচ্ছা করে, তাই ব্লগ লিখি। এখনো প্রথম পাতায় এক্সেস পাইনি বলে তেমন পাঠকও জোটে না। জানি না আদৌ কেউ এসব পড়ে কিনা। হয়তো যে ১৩ বার পঠিত দেখায়, সবগুলো আমি-ই। কিন্তু তা-ও লিখি, কারণ লিখতে ভাল লাগে। এটা অনেকটা সাদা ভাত খাওয়ার মত। সামনে তরকারি নিয়ে কেউ সাদা ভাত খেয়ে পেট ভরায় না। কিন্তু খাবার আগে দু'চার সেকেন্ড সাদা ভাত চিবুতে মন্দ লাগে না। একটা অবসেসিভ বিহেভিয়র বলা যায়। লিখলেও তেমন বোধ হয়। একটা ঘোরের মধ্যে লিখে যাই। সময়ের দিশা থাকে না। হয়তো রাত ১১ তা বাজে, দু'টোও হতে পারে, কেয়ার করি না। রাতকে নিয়ে কোন গভীর পরিকল্পনা নেই। শুধু পার করছি।
২
আজকে মহাকাশ, পৃথিবী, বিগ ব্যাং এসব নিয়ে ভাবছিলাম। বড় বড় বিষয়, ছোট ছোট চিন্তা। আমার ধারণা এই ব্যাপারগুলো নিয়ে মানুষ, মানে গণমানুষ খুব কম জানে। কারণ এখানে অনেক গভীর উপলব্ধির ব্যাপার আছে। কমন সেন্স দিয়ে বোঝাটা কষ্ট। তার উপর বিগ ব্যাং নামটা একটা মিসনোমার। মহাবিশ্বের শুরুতে আদৌ কোন বিস্ফোরণ ঘটেনি, ওটা একটা ক্যাচি টার্ম মাত্র। কিন্তু মানুষ ওটাকেই আপন করে নিয়েছে, বুঝতে সহজ, উপলব্ধি করতে সহজ। মহাবিশ্ব সৃষ্টির মত বিশাল একটা ব্যাপার, ব্যাং দিয়ে শুরু না হলে কেমন করে হয়? তাই মানুষ ভুল করে। বলে পৃথিবী-গ্রহমন্ডলী-অনন্তনক্ষত্রবীথি সব মটর দানার মত একটা ছোট বস্তুতে সংকুচিত হয়ে ছিল। তারপর ব্যাং! সব ছড়িয়ে গেল চারদিকে! তাতো না, আমরা যাকে চারদিক বলছি, তাও যে সিঁটিয়ে ছিল সেই মটর দানার ভেতরেই! স্থান, কাল, সব সংকুচিত হয়ে ছিল এক বিন্দুতে। হঠাৎ (এই হঠাৎ কথাটাও একটা লুজ টার্ম, যখন সময়ই নেই, তখন হঠাৎ মানে কি?) প্রসারণ শুরু হল। স্থান বাড়তে শুরু করলো। সেটা আবার কি? কে জানে। বুঝি না এসব। উইকিতে পড়তে গেলে শুরুর প্যারা পড়ে মাথা ধরে যায়। আর এগুনো হয় না।
৩
রিচার্ড ফাইনম্যানের নাম শুনি বহুদিন ধরে। একজন উইটি, জ্ঞানী লোক। ভাল ব্যাঞ্জো বাজাতেন জানি, তার কয়েকটা কোট বলে দিতে পারি গড়গড় করে, কিন্তু ভদ্রলোক ঠিক কী নিয়ে কাজ করেছেন জানিনা। বোধহয় পড়েছিলামও কোথাও, বুঝিনি নিশ্চয়। তার একটা লেকচার সিরিজ না কি আছে, খুব পপুলার। পড়ে দেখতে পারলে ভাল হত, কিন্তু কোন আগ্রহ পাচ্ছি না। এই ফাইন ভদ্রলোকের নাম নেওয়ার কারণ হচ্ছে, তার একটা কোট আবছা আবছাভাবে মাথায় ঘুরছে। যে, নিচেও প্রচুর জায়গা ফাঁকা পড়ে রয়েছে। নিচে বলতে তিনি বোঝাচ্ছেন, ক্ষুদ্র ডাইমেনশনে, আণবিক জগতের গলি ঘুপচিতে। মানুষ এখন সেইসব ফাঁকা জায়গায় হানা দিচ্ছে। ন্যানোটেকের জয়জয়কার। এই আণবিক জগত যেন আরেক মহাবিশ্ব। হঠাৎ মনে হল, এমন কি হতে পারে না যে আমরা এমনি কোন বৃহত্তর এক জগতের অতিপারমাণবিক পর্যায়ের এক ছোট্ট ফাঁকা জায়গায় বেড়ে উঠছি আমাদের চাঁদ-সূর্য গ্রহতারা নিয়ে? হয়তো আমাদের এই বিশাল সময় আমাদের বৃহত্তর জগতের এক নিমেষ! হায়, জীবন কত ছোট, ভাবতে গেলে নিজের জন্য করুণা হয়।
৪
আচ্ছা, ব্রহ্মাণ্ড কথাটার রুট কি? ব্রহ্মা + অণ্ড? ইয়াক।