somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুভ জন্মদিন - জীবনের প্রথম বিদেশী বন্দর

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দাদার বাড়ী চন্দনা, নানার বাড়ি ফকিরহাট (বরদৈন), চৌদ্দগ্রাম।

মার জীবনে প্রথম বিদেশের বন্দর ভিয়েতনামের Hôn Gáy যার উচ্চারণ হোন গাইয়ি (স্থানীয়, হন গাই)। টেকনিক্‌লি এটাকে ‘জীবনে প্রথম’ বিদেশে আসা বলা যাবেনা। আমাদের বাসা ফেনী শহরের জিরো পয়েন্টে। আমার দাদার বাপের বাড়ি আর নানুর বাড়ি ইণ্ডিয়ার ত্রিপুরা বর্ডারের কাছে। দাদার বাড়ি ফেণী জেলার উত্তরে পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম দিকে চন্দনা গ্রাম, ইণ্ডিয়ার রাজ নগর আর নিহার নগরের পাশে (ম্যাপ দেখুন)। ছেলেবেলায় দাদুর বাড়ি যেতাম বিলোনিয়ার ট্রেনে করে। চিথোলিয়া ষ্টেশনে নেমে রিকশায় করে পশ্চিম দিকে ধনীকুণ্ডা, সেখান থেকে হেঁটে চন্দনা গ্রাম (এখন খালেদা জিয়ার বাপের বাড়ি ফুলগাজী হয়ে সরাসরি গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়)। দাদুর বাড়ি থেকে পশ্চিম দিকে কয়েক মিনিট হেঁটে এগিয়ে গেলে ইণ্ডিয়া, পুর্ব আনন্দপুর।

অন্যদিকে নানুর বাড়ি বরদৈন গ্রামে। ফেণী থেকে ঢাকা যাবার পথে হাইওয়েতে ‘ফকির হাট’ নামের একটা ষ্টপেজ আছে, বেতিয়ারা আর জগন্নাথ দিঘীর মাঝামাঝি। সেখান থেকে নেমে পশ্চিম দিকে মিনিটখানেক হাঁটলেই ফকির হাট বা ফকির বাজারের প্রথম বাড়ীটি। নানুর বাড়ী থেকেও পুর্ব দিকে মিনিট দশেক হেঁটে এগিয়ে গেলে ইণ্ডিয়া, ভৈরবনগর। দাদুর বাড়ি বা নানুর বাড়ি, বর্ডার পেরিয়েছি বহুবার, কখনো কোন বর্ডার কন্ট্রোল দেখিনি (এখনকার কথা জানিনা)। আধা মাইল পর পর কোমর সমান ইট-সুরকির সাদা স্তম্ভ, ভূমি থেকে ক্রমশঃ সরু হয়ে উপরে উঠাতে ত্রিভূজের মত দেখায়। আমাদের দিকে উপরে নীচে বাংলা আর ইংরেজীতে লেখা, ‘বাংলাদেশ’ এবং ‘BANGLADESH’ - ওদের দিকে একই ভাবে লেখা ‘ভারত’ এবং INDIA (সংষ্কৃত ভাষায় লেখা “भारत” কে যাহন পড়তাম)।

নানু আর দাদুর বাড়ি থেকে কয়েকটা ধানক্ষেত আর পুকুর পেরিয়ে ওপারে গেলে সেটাকে বিদেশ বলা যাবেনা। সতুরাং আমার প্রথম বিদেশ হবে ভিয়েতনামের ছোট্ট বন্দর হোন গাইয়ি (Hôn Gáy), কোয়াং নিনহ্ প্রভিন্সের রাজধানী। কিন্তু সত্যিকারের নাম যাই হোক না কেন, বিদেশীরা কখনো একে হোন গাইয়ি বলেনা, বলে হন গে (Hon Gay)।‘গে’ হচ্ছে শরমের কথা, সেজন্য ভিয়েতনাম সরকার ‘গাই’ এর ইংরেজি বানান Gay পাল্টে Gai করে এখন হয়েছে Hôn Gái, - ১৯৯৩ সালে হোন গাইয়ী (Hôn Gáy) আর পাশ্ববর্তী পর্যটন এলাকা বাই চাইয়ী (Bãi Cháy)-কে একিভূত করা হয়। হা লং উপসাগরের তীরে হওয়ায় এর নামকরন হয় ‘হা লং’ (The city of Hạ Long)। এই হা লং বর্তমানে কোয়াং নিন (Quảng Ninh) প্রভিন্সের রাজধানী।

আগেই বলেছি জাহাজে তিনজন ভাবী আছেন, সাথে তাদের বাচ্চারা। চীফ অফিসারের ছেলে, চীফ ইঞ্জিনিয়ারের মেয়ে এবং সেকেণ্ড ইঞ্জিনিয়ারের ছেলে, কারো বয়স তখনো তিন হয় নি। এ্যাংকরেজে আসার পর থেকেই ভাবীরা অস্থির হয়ে গেলেন বের হবার জন্য। ভেতরে ভেতরে আমার অবস্থা আরো খারাপ কিন্তু প্রকাশ করা যাচ্ছেনা। জীবনে প্রথম বিদেশে এসে হা লং উপসাগরে নোঙ্গর করা জাহাজ থেকে পাহাড়ের উপর ঝিকিমিকি শহর দেখি আর দীর্ঘশ্বাস ফেলি।

হা লং বে (ছবি: http://Holidify.com)

তৃতীয় দিন পর দুপুরবেলা একটা সার্ভিস বোট এলো। দল বেঁধে সবাই সেই বোটে চেপে পাড়ে এলাম। জাহাজ থেকে ঘাট বেশী দুরে নয়। তিন ভাবী, তিন বাচ্চা সহ অনেক অফিসার, ক্রু মিলে বেড়াতে এসেছি। সবাই তো আর জাহাজ খালি ফেলে চলে আসতে পারেনা। বোট আমাদেরকে একটা পন্টুন ডকে (ভাসমান জেটি) নামিয়ে দিলো। সেখান থেকে খানিকটা উঁচু হয়ে ওঠা রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় নিজের হার্টবিট খুব জোরে জোরে শুনতে পাচ্ছি। দেশ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দুরে, কোনো এক ভিনদেশে এলাম। সব কিছু অলীক, অবাস্তব মনে হচ্ছে। হয়তো ঘুম ভেঙ্গে দেখবো দেশে আমার ঘরে শুয়ে আছি, এতক্ষন স্বপ্ন দেখছিলাম।

হোন গাই পোর্টে বড় জাহাজের জেটি নেই, সাগরের বুকেই কার্গো অপারেশন।

সাতটায় বোট ফেরত যাবে তখন সবাই আবার এখানে ফিরে আসবে কনফার্ম করে যে যার যার মত গ্রুপে গ্রুপে ঘুরতে চলে গেলো। আমাদের গ্রুপে আমরা চারজন, বাংলাদেশী আমি, মঞ্জু, পাকিস্তানি রেডিও অফিসার খালিদ জাভেদ আর সেকেণ্ড মেট মাসুদ জাভেদ। ঘাটের আশেপাশের পরিবেশ দেখে মনে হল ছোটখাট বাজার। যদিও গাদাগাদি ভীড় নেই, চারপাশে মানুষের ব্যাস্ত চলাফেরা। ভিয়েতনামও আমাদের বাংলাদেশের মত, গরীব। মানুষের লাইফষ্টাইল সাদামাটা (এখন অনেক অনেক উন্নতি করেছে)। চার চাকার গাড়ীতে মেয়েরা নানান রকম ফল ফেরী করছে। দোকানগুলোর চেহারা আমাদের দেশের মত, সামনের দিকে বয়ুম বা কাঁচের কেইজে পসরা সাজানো, উপর থেকে নীচে ঝুলছে রং বেরংয়ের প্লাষ্টিকের ঠোঙ্গা, চিপস্, ক্র্যাকার্স বিস্কুট বা অন্য কিছু। বাজার পেরিয়ে রাস্তায় উঠে দেখি দুপাশে দোকানপাটের সারি। রাস্তায় ইতিউতি গাড়ি চলছে তবে Honda-50’র মত আর Vespa’র মত স্কুটার প্রচুর। মুদি দোকান, মনোহারীর দোকান, সিগারেটের দোকান আর প্রচুর ভিয়েতনামীজ হুক্কার দোকান।

ভিয়েতনামি হুক্কা বা ‘থূ লাও’ (thuốc lào) ছবিঃ VnExpress.com

দোকানগুলোর সামনে জায়গা করে হকার টাইপের ছোট ছোট দোকানীরা বসে আছে জলচৌকির মত প্লাষ্টিক টুলে সামনে আরেকটা টুলে সিগারেট, খোলা তামাক (ভিয়েতনামীজ খোলা টোবাকো) ইত্যাদি সাজানো। রাস্তায় ইতস্ততঃ ঘুরে বেড়ানো ফলের ফেরীওয়ালা ছাড়াও আছে শুকনো মাছ আর শামুক-ঝিনুকের ফেরীওয়ালা। লোকজন শুকনো মাছ বিশেষকরে পানপাতার মত স্কুইড কিনে এমনভাবে কামড় দিয়ে খাচ্ছিলো যেন পাপরভাজা খাচ্ছে। এখানেও রাস্তায় রিকশা চলে, তিন চাকার রিকশা। রিকশাওয়ালা বসে পেছনে।

এখানে রিকশাচালক বসে পেছনে।

ছোট পথ, বড় পথ, রাজপথ এসব ধরে হাঁটছি। আছে খোলামেলা পার্ক, তবে বড় কোন শপিং মল চোখে পড়েনি। এত সিগারেটের দোকান অথচ কোথাও ফাইভ-ফাইভ-ফাইভ (State Express 555) বেনসন এণ্ড হেজেস (B&H) বা মার্লবোরো পেলাম না। বাধ্য হয়ে এক প্যাকেট সালেম (Salem) মেনথল সিগারেট কিনলাম। ওরে বাপ্ রে! এক প্যাকেট সিগারেটের দাম বায়ান্ন হাজার ভিয়েতনামিজ ‘ডং’? এ কি কাণ্ড? এক ডলার সমান এগারো হাজার পাঁচ শত পঁচাত্তর ডং!!! (US$1.00 = VN₫ 11,575.00)। তখন বাংলাদেশে এক ডলারের দাম ছিলো ৳৩২.৩৮। এটা আমার জীবনর অন্যতম শিক্ষা, সারাজীবন মুদ্রাস্ফীতির কথা শুনে এসেছি, নিজের চোখে এই প্রথম দেখলাম। পকেটে অল্পস্বল্প যা খুচরো ডলার ছিলো সেগুলো ভাংগিয়ে সিগারেট কেনার পর আরো কিছু বাকি ছিলো, একটা কল-শপ থেকে দেশে ফোন দিলাম। আম্মা, আব্বু, ভাই-বোন কারো বিশ্বাস হচ্ছেনা পরিবারের সবার ছোট ছেলেটি তার জন্মদিনের দিন টেলিফোন করেছে সেই ভিয়েতনাম থেকে। আব্বুর কৌতুহলের শেষ নেই,
“ওখান থেকে হাই ফং যাবি? হাই ফং কে ওরা (আমেরিকানরা) জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলো, উপকুল ধ্বংস করেছিলো, হাই ফংয়ে দশ লাখেরও বেশী নীরিহ মানুষ মেরেছে ওরা। ঘর বাড়ির অবস্থা কি? ইনফ্রাষ্ট্রাকচারাল অবস্থা কেমন দেখলি?”

হাই ফং অপেরা হাউস - http://www.lotussia.com

সত্যি কথা বলতে, যে কয়েক ঘন্টা হন গাইয়ীতে ছিলাম শুধু দুচোখ ভরে দেখেছি। কোন ধ্বংসাবশেষ বা জ্বলেপুড়ে যাওয়া কিছু চোখে পড়েনি। সাধারন মানুষের মধ্যেও এসব বিষয় নিয়ে কোন হা হুতাশ দেখিনি বা বুঝতে পারিনি। অনেকগুলো দ্বীপ নিয়ে অপরূপ প্রাকৃতিক শোভায় ভরা এই ছোট্ট শহরটিকে আর মানুষগুলোকে দেখছিলাম, দেখতে ভালো লাগছিলো। চোখে পড়ছিলো পুলিশ ষ্টেশন বা সরকারী অফিসগুলোর উপর উড়তে থাকা টকটকে লাল ভিয়েতনামি পতাকা যার মাঝখানে সোনালী তারা। দখলদার ফ্রেঞ্চদের হটিয়ে, তারপর আমেরিকানদের বিতাড়িত করে, অতীতের অশান্ত বিক্ষুব্ধ জাতিকে একত্রিত করে জাতীয় ঐক্যের বিপ্লবী সোশালিষ্ট কমিউনিষ্ট ভিয়েতনামের পরিচয়ের ধারক ও বাহক এই গর্বিত লাল পতাকা। স্থানীয় জনসাধারনের চাল চলন, সরল জীবন যাপনের ধারা দেখে বোঝা যায় আমেরিকার সাথে দীর্ঘ যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত বিজয় পেলেও ওরা হারিয়ে বহু কিছু। যদিও ঘুরে দাঁড়িয়েছে, শক্ত হতে সময় লাগবে। লোকজন শান্তিপ্রিয়, রাস্তাঘাটে পুরুষদের চেয়ে নারী বেশী। দোকানপাট, ফেরীওয়ালা, রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ সব মেয়ে। পুরুষ কম। খাবারদাবার কেমন হবে, হালাল হবে কি না, ভক্তি আসে কি না এতসব চিন্তা করে কোন রেষ্ট্যূরেন্টে বসিনি, তবে তৃষ্ণা মেটাতে সফ্‌ট ড্রিংকস খেয়েছি। সোশালিষ্ট রাষ্ট্রের ছোট শহর হওয়ায় এখানে কোন বিদেশী ফার্ষ্ট ফুড চেইনশপ বা আমেরিকান ফার্ষ্টফুড চেইন যেমন ম্যাকডোনাল্ডস, কে এফ সি বা ষ্টারবাকস এখানে নেই। ভিয়েতনামিজরা তখনও আমেরিকানদের ব্যাবসা-বানিজ্য করার অনুমতি দেয় নি।

সন্ধ্যা সাতটার বোট ধরে জাহাজে ফিরে এলাম একরাশ ভালোলাগা অনুভূতি নিয়ে। জীবনের প্রথম বিদেশী বন্দরে আজকের এই ঘোরাফেরা বড় মধুর লেগেছে। এই অনুভূতি আমার এ বছরের শ্রেষ্ঠ উপহার।

আজ আমার শুভ জন্মদিন।



(© সাগরের গল্প - অনন্যা প্রকাশনী)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:৩৫
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×