somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজনীতি ত্যাগ করে সোহেল তাজের দেয়া শেষ চিঠি

২৪ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি মানুষটা ঠিক রাজনীতির নয়। খেলাধুলা নিয়েই ব্যস্ত। তারপরও আজ সোহেল তাজের পদত্যাগের পর তার কথা খুব মনে পড়ছে। লোকটাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি কয়েক মাস আগে। বৃটিশ এমপিদের বিপক্ষে মিরপুরের মাঠে বাংলাদেশি সংসদ সদস্যদের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতে উড়ে এসেছিলেন লন্ডন থেকে। তখন গল্পে গল্পে বলেছিলেন: আবাহনী মাঠের সামনে কৈশোর কাটানো মানুষটা কতটা ভালোবাসেন ক্রিকেটকে। সর্বোপরি তার দেশ প্রেম মুগ্ধ করেছিলো। আজ পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পর তার চিঠিটার কপি পোষ্ট করার লোভ সামলাতে পারলাম না............

কাপাসিয়াবাসীকে পাঠানো খোলা চিঠিতে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বলেন:

‘আমার কাপাসিয়াবাসীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত নিতে আমার অনেক চিন্তাভাবনা করতে হয়েছে। মানুষের প্রত্যাশা, ভালবাসা, স্নেহ, আমার জন্য এলাকার মানুষের ত্যাগস্বীকার, আবেগ এই সবকিছু চিন্তা করার পরও বাস্তবতা বিচার করে আমি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি। কাপাসিয়ার মানুষের সম্মান রক্ষার্থে আমার সামনে এছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না। কারণ কাপাসিয়ার মানুষের মর্যাদা ও সম্মান আমার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে আমি বিশ্বাস করি।’

‘সক্রিয় রাজনীতিতে পুনরায় আসার সম্ভাবনা না থাকলেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আমার বাবা তাজউদ্দীন আহমদের আদর্শে গড়া আওয়ামী লীগই আমার শেষ ঠিকানা। কারণ এই দলটির সঙ্গে আমার বাবার রক্ত মিশে আছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে তিনি জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েছেন। কোন ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করেননি। জীবন দিয়েও তা প্রমাণ করে গেছেন।’

সোহেল তাজ বলেছেন, ‘অনেক কষ্ট করে গড়ে তোলা সুন্দর একটি জীবন ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। কৈশোর বয়স থেকে নিজে দিনরাত কাজ করে পড়াশুনার খরচ চালিয়েছি। বাবা মায়ের দেওয়া শিক্ষা, দেশপ্রেম থেকেই দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে সবকিছু ছেড়ে দেশে ফিরে গিয়েছিলাম। প্রথমে সামাজিকভাবে কাজ শুরু করেছিলাম। আর্সেনিক নিয়ে সচেতনার কাজও অনেক করেছি।’

‘গ্রামেগঞ্জে ঘুরেছি দিনের পর দিন। বাবা ও মায়ের রাজনৈতিক সহকর্মীদের পরামর্শ এবং কাপাসিয়ার মানুষের অনুরোধেই আমার সক্রিয় রাজনীতিতে আসা। তারা আমাকে বুঝিয়েছিলেন রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম থেকে আরো ভাল করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করা সম্ভব।’

‘জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও শরীরে বয়ে চলা বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের রক্তই আমাকে আরো বেশি অনুপ্রাণিত করেছে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যোগ দিতে এবং দেশের মানুষের জন্য ভাল কিছু করতে।’

‘ক্ষমতা, অর্থসম্পদ, খ্যাতি প্রতিপত্তির জন্য আমি রাজনীতিতে যোগ দেইনি। যদি উদ্দেশ্য তাই হতো, তাহলে সবকিছু মেনে নিয়ে এখনো এমপি ও মন্ত্রীত্বের পদ আঁকড়ে থাকতাম। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা তিনি যেন আমাকে বাকী জীবন এই লোভ লালসার উর্ধ্বে রাখেন।’

‘নিজের দলীয় ও তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকারের সৃষ্টি করা শত প্রতিকুলতা সত্বেও ২০০১ সালের নির্বাচনে কাপাসিয়ার মানুষের ভালবাসায় প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলাম। দূর্ভাগ্য, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামাত জোট সরকার। আমার কাপাসিয়ার মানুষের উপর বিএনপি-জামাত জোটের চলতে থাকে একের পর এক হামলা, মামলা ও নির্যাতন। প্রতিবাদে কাপাসিয়ার সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফুর্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলি।’

‘বিএনপি-জামায়াতের হাতে নৃশংশভাবে খুন হয়েছেন আমার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী যুবলীগ সভাপতি জালাল উদ্দীন সরকার। পুলিশ নির্মমভাবে হত্যা করেছে জামাল ফকিরকে। এসবের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ অনশন করতে গিয়ে বার বার পুলিশের নির্মম হামলার শিকার হয়েছি।’

‘বস্তুত: বিএনপি-জামায়াতের ৫টি বছর হামলা, মামলা ঠেকাতে আমাকে বেশিরভাগ সময় রাজপথ ও আদালত প্রাঙ্গনে সময় কাটাতে হয়েছে। কোনো ব্যবসা বাণিজ্যে নিজেকে জড়াইনি। পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে যা আয় হতো তাই দিয়েই চলতো আমার রাজনীতি। এমনকি পৈত্রিক সম্পত্তিও বিক্রি করেছি রাজনীতির জন্য। খুব সাদামাটা সাধারণ জীবন যাপন করেছি।’

‘বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের কর্মকা- আমাকে হতাশ করলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলের যুগোপযোগী নির্বাচনী ইশতেহার আমাকে রাজনীতিতে আরো বেশী উৎসাহিত করে। যে ইশতেহারটি ছিল প্রগতিশীল ও দিনবদলের একটি ঐতিহাসিক অঙ্গীকার। আশাবাদী হই একটি সুস্থ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতির। যে সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণ পাবে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার। যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-, জাতীয় চারনেতা, উদীচি ও একুশে আগস্ট হত্যাকা- ও সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া ও অহসানউল্যাহ মাস্টার হত্যাকা- এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ সকল হত্যাকা-ের বিচার হবে।’

‘বাংলাদেশে হবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা-সবমিলিয়ে একটি সুন্দর সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলাম। আর তাই যে মন্ত্রণালয় কেউ নিতে চায়নি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসে সেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও নিয়েছিলাম। এই দায়িত্বটি ছিল শুধু মন্ত্রিত্ব নয়, একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব অপরিসীম। আর সুশাসন প্রতিষ্ঠার দায়িত্বের অনেকটাই ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।’

‘আমার সব সময়ই চেষ্টা ছিল পুলিশ বাহিনীকে একটি সৃশৃংখল পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে জনগণের বন্ধু করে তোলা। মন্ত্রীত্বের শেষ দিন পর্যন্ত আমার সেই চেষ্টা অব্যাহত ছিল।’

‘কতটুকু পেরেছি বা কেন পারিনি সে কথায় না গিয়ে শুধু এইটুকু বলতে চাই, আমি আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি সব সময় অনিয়ম ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। সেটা যেই করুক না কেন। যতটুকু সম্ভব আমি আমার সীমিত ক্ষমতার মধ্যে চেষ্টাও করেছিলাম। সেই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াও শুরু করতে সহযোগিতা করেছিলাম।’

‘কথার পেছনে অনেক কথা থাকে। অনেক লুকায়িত সত্য থাকে। যা দেশ, জনগণ ও দলের বৃহত্তর স্বার্থে জনসম্মুখে বলা উচিত না। আর তা সম্ভবও নয়। শুধু এইটুকু বলি, আমি “সঙ্গত” কারণেই এমপি ও মন্ত্রীত্বের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। যে কয়দিন দায়িত্বে ছিলাম মন্ত্রীত্বের শপথ থেকে বিচ্যুত হইনি। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি।’

‘দুর্নীতি অনিয়ম ও অব্যস্থাপনার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত স্বোচ্চার ছিলাম। যখন মনে করেছি আমার সীমিত ক্ষমতায় জনগণের প্রতি দেওয়া কমিটমেন্ট আর রক্ষা করা সম্ভব নয় তখন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। কারণ পদ বা ক্ষমতার লোভে আমি রাজনীতিতে আসিনি। যদি তাই হতো তাহলে মন্ত্রীত্বের লোভনীয় সুযোগ সুবিধা ছেড়ে প্রবাসে চাকুরীর জীবন বেছে নিতাম না। অর্থ সম্পদ বা ক্ষমতার বিন্দুমাত্র মোহ আমার নেই।’

আমার কাপাসিয়াবাসী, আমি জানি, আমার এই সিদ্ধান্তে আপনারা ক্ষুব্ধ ও অভিমানী হবেন, প্রতিবাদ করবেন। কারণ যে ভালাবাসা ও সম্মান আপনারা আমাকে দিয়েছেন এই সম্মানের উপর কোন কালিমা পড়ুক তা আমি চাই না। সঙ্গত কারণেই সবকিছু খুলে বলতে পারছি না। এই কাপাসিয়ার মাটি ও মানুষের সাথে আমার নাড়ির সম্পর্ক। এই কাপাসিয়ার মাঠে ঘাটেই বেড়ে উঠেছেন আমার বাবা বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ। সেই মাটির গন্ধ আমার গায়েও। তাঁর আদর্শ নিয়েই আমার পথচলা। কাপাসিয়ার মানুষের জন্য অনেক কিছু করার স্বপ্ন নিয়েই আমি প্রবাস জীবনের ইতি টেনেছিলাম। আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ভালবাসা ও দোয়া পেয়েছি। এর প্রতিদান হয়তো ততটুকু দিতে পারিনি। তবে সেই চেষ্টা আমার সব সময় ছিল। আমি এইটুকু বলতে চাই, সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করলও আপনাদের পাশে থাকবো সব সময়। হয়তো অন্য কোনভাবে, অন্যকোন পথে। এই প্রতিজ্ঞা করছি।’

‘কাপাসিয়ায় আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী যারা আমার জন্য ত্যাগ স্বীকার, জেল জুলুম ও অত্যাচার সহ্য করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, আমি সব সময় যেটা আপনাদের বলে এসেছি তা হচ্ছে ব্যক্তিস্বার্থ কেন্দ্রিক রাজনীতি পরিহার করতে হবে। ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির রাজনীতি বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীনের মত নীতি আদর্শের রাজনীতি করতে হবে। ঐতিহ্যবাহী কাপাসিয়ার নেতৃত্ব যেন ভালমানুষের দ্বারা পরিচালিত হয় সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনাদের উপর। কাপাসিয়ার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আপনারা সেই পথে এগিয়ে যান। আপনাদের সকলের মত আমিও তাকিয়ে আছি ভবিষ্যতের দিকে। হয়তো একদিন সুস্থ্য একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ হবে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী একটি দেশ।’

এই প্রত্যাশায়, তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ)।
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×