সারা পৃথিবীতে অধিক বয়সে পিতা হওয়ার নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। আমাদের এক ব্লগার লিখলেন তার ডাক্তার বন্ধু কোন এক মেডিকেলে একশত দশ বছর বয়সি এক ব্যাক্তিকে পিতা হতে দেখেছেন। তারপর থেকেই একটি বিষয় মাথায় ঘুরঘুর করছে। বিষয়টা কি? নিচের আলোচনা পড়লেই সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের কোন এক জেলার অধিবাসিদের নিয়ে কৌতুকের শেষ নেই। সঙ্গত কারণেই জেলার নাম উল্লেখ না করে শুধু কৌতুকটি বলছি-
সে জেলার এক যুবক বিয়ে করার মাস তিনেক পর মধ্যপ্রাচ্যে চলে গেল। প্রায় দুবছর অনেক চেষ্টা করেও দেশে ফিরতে পারলো না। একদিন খবর পেল সে বাবা হয়েছে। অনেক কষ্ট করে দেশে এসে সে তার সদ্যজাত শিশুকে দেখে আনন্দে আত্মহারা। যে বন্ধুর সাথে দেখা হয় তার সাথেই সে তার সন্তানের গল্প করে। শেষে এক ঠোঁট কাটা বন্ধু বলে বসলো, আরে তুই দুই বছর ধইরা রইলি বিদেশ, তোর পোলা হয় কেমনে?” হতাশ না হয়ে সে ব্যাক্তির উত্তর- আরে আমি বিদেশ থাকলে কি আমার কোল বালিশটা রাইখা গেসি না!
যা হোক এই ব্যাক্তির কোল বালিশের উপর অগাধ বিশ্বাস।
এবার আসি ২য় কৌতুক এ----
নারীবাদীরা বিধাতার উপর প্রচণ্ড রুষ্ট। তারা বিধাতাকে বললেন -দশ মাস ধরে কষ্ট করে সন্তান জন্ম দিবো আমরা, আবার প্রসব বেদনা্ও আমাদেরই সহ্য করতে হবে, এটা তোমার কেমন বিচার বিধাতা? সন্তান ধারণের কষ্ট আমাদের দিলে, প্রসব বেদনার কষ্ট সন্তানের পিতাকে দিতে হবে।
বিধাতা মুচকি হেসে বললেন -তবে তাই হোক।
এর পর থেকে সন্তান জন্ম দেন মায়েরা আর প্রসব বেদনায় ছটফট করেন বাবারা। বছর খানিক পরে এক প্রখ্যাত নারীবাদীর সন্তান হবে তাকে আর তার স্বামীকে লেবার রুমে নেয়া হলো। স্বামীর ব্যাথা বেদনা কিচ্ছু নাই ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে হাসছেন, ডাক্তার তো অবাক। এক সিস্টার দৌড়ে এসে খবর দিল নেত্রির ড্রাইভার প্রসব বেদনায় ছট ফট করছে আর গুঙাচ্ছে, কিন্তু ভয়ে চিৎকার করতে পারছে না। তাড়াতাড়ি সব নারীবাদিরা আবার বিধাতার কাছে প্রার্থনা করলেন -বিধাতা দয়া করেন, আমাদের ব্যথা আমাদেরই থাক, তবু মান সম্মান বাঁচুক।
যা হোক নিরাপত্তার কারণে এ নিয়ে আর বেশি কথা না বলে পরবর্তি ঘটনায় যাই-
গীর্জায় বসে পাদ্রির কথা শুনছেন মিঃ জন, মিসেস জন এবং তাদের সন্তান জেনি। পাদ্রি জ্ঞান এবং বিশ্বাস নিয়ে কথা বলছিলেন। বুঝতে না পারায় মিঃ জন বললেন- ফাদার একটু উদাহরণ দিয়ে বুঝাবেন কি?
ফাদার বললেন- যেমন তোমার মিসেস জানে সে জেনির মা, এটা হলো তার জ্ঞান আর তুমি জানো তুমি হচ্ছো জেনির বাবা, এটা হচ্ছে তোমার বিশ্বাস।
আসলে আমদের সম্পর্কের প্রায় সবটাই টিকে আছে বিশ্বাসের উপর। তাই আমরা বিশ্বাসের পিতা, বিশ্বাসের সন্তান। সমগ্র পৃথিবী টিকে আছে বিশ্বাসের আশির্বাদে। এই বিশ্বাসে ফাটল ধরলে সমাজে দেখা দিবে বিপর্যয়। সমাজে, পরিবারে সবখানে বিশ্বাসের বন্ধন অটুট থাকুক সেই কামনা। তারপরও যদি বিশ্বাসে ফাটল ধরে, তবে উপায় কি শুধুই ব্যয়বহুল DNA Test? হতাশ হবেন না নিচের ছবিটি দেখুন-
ভাল থাকুক বিশ্বাসের সন্তানেরা।
ছবির কৃতিত্ব গুগল
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৮