
অনেক অনেক দিন পরে এক গ্রাম্য আটপৌঢ় বৈশাখী মেলা দেখার সু্যোগ হল! সত্যিই অসাধারণ! সেই স্মৃতি জাগানিয়া বৈশাখী মেলা, যার জন্য সারা বাছর অপেক্ষায় থাকতাম, মনে মনে কত কিছু যে কেনার তালিকা করতাম। কিছু কিনতে পারতাম আবার অনেক কিছু না কিনতে পেরে পরের বছর কিনবো বলে আশা রাখতাম ।
এই মেলার দর্শনার্থীদের গায়ে এতোও রঙ্গিন জামা-কাপড় না থাকলেও মন যে রঙ্গিন তা দেখলেই বোঝা যায়, ঘুড়ে বেরাচ্ছে আর কেনা-কাটা করছে সবাই মনের আনন্দে। কালের বিবর্তনে জিনিষপত্র তৈরীর মাধ্যম পরিবর্তিত হলেও, কেনা-কাটার জিনিষপত্রের কোন অভাব নাই। বিজ্ঞাপনের চাকচিক্য ছাড়াই খাবার-দাবার এর ও কোন কমতি নাই। জিলাপি খাজা, গজা, ঝুড়ি-বুন্দিয়া আরোও কত কিছু। সামুর পাঠক-ব্লগারদের স্মৃতি নাড়া দিতে লেখকের এই ছোট্ট নিবেদন, আসুন ছবিগুলো উপভোগ করি আর ছোটবেলার সেই মধুর (অথবা কষ্টের !!!) স্মৃতিগুলো স্মরণ করি;

মাটির খেলনা, আগের চেয়ে বেশি রঙ্গিন

প্লাস্টিকের বাহারি খেলনা

লেইস ফিতা লেইস !!

ঘুড্ডি


ঘুড্ডির মত উড়াল দিতে চায় ম্ন


রঙ্গিন বেছুনের (হাত পাখা) বাতাসও মনে হয় রঙ্গিন হবে


দধি আর ঘোল


সেই চরকি, আগে হত শুধুই বাঁশ আর কাঠ দিয়ে আর এখন হয় কাঠ আর প্লাস্টিক দিয়ে তবে জিনিষ আগের মতই

শরবত !!! আগে ছিল সম্পূর্ণ হাত নির্ভর আর এখন মেশিন নির্ভর !! তবে উপকরণ আগের মতই

দিল ঠান্ডা করা্র শরবত!!! পুরানো জিনিষ

ছোট খাটো আসবাবপত্রও আছে

বাঁশি কি আগের মত বাজে?

জিলেপি ভাজা চলছে

গরম গরম গুড়ের জিলেপি

গজা

বাতাসা!!!!!



বাহারি কুড়কুড়ে আর মুড়মুড়ে সব খাবার

ঠিলা (মাটির কলস) ভরতি কেনা মুখরোচক খাবার

কেউ বা ফিরছেন আবার কেউ বা যাচ্ছেন!!
কেমন দেখলেন বৈশাখী মেলা......??
মনে পড়েছে কি কোন সুখ স্মৃতি......? অথবা হালকা কষ্ট (!) ......?
মন খারাপ করে দিলাম......!!! আহারে......!!!!
==============================
উপভোগ্য মেলাটি কুমিল্লা অঞ্চলের
ছবিঃ মানস চোখ
ক্যামেরাঃ ক্যানন ১১০০ ডি
লেন্সঃ ১৮-১৩৫ মি। মি।
(একটু বড় সাইজের ছবি আপলোড হচ্ছে না, তাই ছবির গ্রাফিক্স রেজুলেশন আর সাইজ ছোট করে আপলোড করতে হয়েছে)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




