সারাবছর আমাদের পরিবারের সবাই যে যেখানেই থাকুক না কেন , ঈদে সবাই আমাদের নরসিংদীর বাড়িতে জড়ো হয় । কোনো কারনে কেউ দেশের বাইরে থাকলে সেটা অবশ্য আলাদা কথা । এবার রোজার মাঝেই ছোটো মামা প্রস্তাব করলেন এবারের ঈদ নরসিংদীর বাইরে অন্য কোথাও যেয়ে পালন করার। কোথায় যাওয়া যায় ? কুমিল্লায় দেশের বাড়িতে রোজার ঠিক আগেই ঘুরে আসা হয়েছে তাই বেশি বাছাবাছি না করে ২৯ রোজার দিন সবাই মিলে হাজির হলুম ঢাকার কাছেই সবুজে ঘেরা এক অবকাশযাপন কেন্দ্রে । নিজের বাড়ি না হোক , সব আত্মীয়স্বজন যেখানে একত্র হয় সেখানেই ঈদ ।
১) ২৯ রোজার দিন হাজির হলুম সেখানে । পথেই জেনে গেলুম বাকি সবাই আমার আগেই পৌছে গেছে , নরসিংদী থেকে আম্মাও চলে এসেছেন ।
২) ইফতারের আগে ক্যাফেটেরিয়ায় একে একে সবাই জড়ো হচ্ছিলো ।
৩) বাংলোগুলো দেখতে বেশ লাগছিলো ।
৪) বাংলো থেকে ক্যাফেটেরিয়া সামান্য দুরে হওয়াতে সেহরির জন্য কেউই ওখানে যেতে রাজি নয় তাই এই বারান্দাটাই সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়ে গেল এবছরের শেষ সেহরি ও ঈদের দিনের সকালের চা এর জন্য । ক্যাফেটেরিয়া থেকে জানলো যথাসময়ে সেহরি পৌছে দেবে ।
৫) পরদিন রিসোর্টটা ঘুরে দেখলুম । সবুজে মোড়ানো চারদিক ।
৬) এমনই সবুজ শালবনে ঘেরা রিসোর্ট এর চারপাশ । লোকালয় একটু দুরে ।
৭) এদের সুইমিং পুলটা বেশ বড়ো আর পরিস্কার। সাথে বাচ্চাদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্হা আছে । আমার সারাদিনের অনেকটা সময় এখানেই কেটেছে ।
৮) বিকেলে আশপাশটা একটু ঘুরে দেখতে বের হলুম। এমন নজরকাড়া সবুজে ঘেরা পথে হাটলে মন ভালো হয়ে যাবেই । কাল ঈদ।
৯) প্রায় দেড় কিলোমিটার হেটেঁ এক মসজিদে গ্রামবাসীদের সাথে ঈদের নামাজে শামিল হলুম সবাই মিলে ।
১০) ঈদের নামাজ শেষে সবাই নাস্তার জন্য ক্যাফেটেরিয়ায় ।
১১) দুপুরের খাবারের আগে এক ফ্রেমে পরিবারের সবাই ।
১২) ঈদের পরদিন দুপুরে যে যার নিজ আলয়ে ফিরে এলুম । সাথে নিয়ে এলুম সবুজের মাঝে ঈদ পালনের এক আনন্দময় স্মৃতি ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০০