somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সম্ভবত আর সবক্ষেত্রের মত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে গিয়েও আমরা WHO এর গাইডলাইন বাদ দিয়ে অন্ধের মত ভারতকে অনুসরণ করছি । যদি তাই হয়ে থাকে তবে তার ফলাফল কি ?

৩০ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সম্ভবত আর সবক্ষেত্রের মত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে গিয়েও আমরা WHO এর গাইডলাইন বাদ দিয়ে অন্ধের মত ভারতকে অনুসরণ করছি । যদি তাই হয়ে থাকে তবে তার ফলাফল কি ?এক্ষেত্রে নিজস্ব বিবেচনা বোধ খুবই দরকার ছিল ।
নিচের খবরটি পড়লে একটু হলেও মিল খুজে পাওয়া যাবেই । (আজকের আনন্দবাজার পত্রিকা )

'' যথেচ্ছ পরীক্ষা নয়: আইসিএমআর
corona
প্রতীকী ছবি।

প্রতি দিন করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে গোষ্ঠী সংক্রমণেরও। এই পরিস্থিতিতেও করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা নীতি অপরিবর্তিত রাখার কথাই আজ জানিয়ে দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। শুরু থেকেই অভিযোগ উঠেছে, সংক্রমিত রোগী চিহ্নিত করার প্রশ্নে রক্ষণশীল মনোভাব নিয়ে চলছে মোদী সরকার। সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ যেখানে করোনা আক্রান্তের খবর আসা মাত্রই বিপুল সংখ্যক লোকের পরীক্ষা করেছে, সেখানে ভারত সম্পূর্ণ উল্টো পথে হাঁটছে। আইসিএমআর-এর এপিডেমিওলজি এবং কমিউনিকেবল ডিজিজ শাখার প্রধান রমন গঙ্গাখেদকর বলেন, পরীক্ষা করার নীতি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই নিয়ম মেনেই চলা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, দেশে ইতিমধ্যেই গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। যে-হেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ একেবারে শেষ পর্যায়ে দেখা যায়, তাই উপসর্গহীন ব্যক্তিরা নিজের অজান্তেই আশেপাশের লোকের মধ্যে ওই ভাইরাস ছড়িয়ে দেন। সে কারণে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ওই রোগ কতটা ছড়িয়েছে, তা নির্ণয় করা উচিত। এটা না করায় আগামী লড়াইটা কঠিন হয়ে পড়ছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। ভেলোরের ক্রিশ্চান মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিনের চিকিৎসক জেকব জনের মতে, শুরুর দিকে কেবল বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের পরীক্ষা করা হয়েছে। এই নীতি কতটা ঠিক, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাঁর মতে, জনগোষ্ঠীর নমুনা সংগ্রহ না-করায় আগামী দিনে রোগীর সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, দক্ষিণ কোরিয়া যে ভাবে প্রথমে
যাকে-তাকে পরীক্ষা ও পরবর্তী ধাপে সংক্রমিত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে পাঠানোর নীতি নিয়ে সাফল্য পেয়েছে, সেই সুযোগ ভারত হারিয়েছে। যার খেসারত দিতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পাল্টা যুক্তি, দক্ষিণ কোরিয়া বা সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলির আকার ভারতের এক-একটি রাজ্যের সমান। আকারে ছোট হওয়ায় নিয়ম রূপায়ণে সমস্যাও কম। গঙ্গাখেদকরের বক্তব্য, ভারতে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে ওই রোগ ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গোটা দেশ লকডাউন করা ছা়ড়া উপায় ছিল না। কিন্তু তাতে কতটা লাভ হয়েছে? স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়ালের জবাব, করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যে রণকৌশল নেওয়া হয়েছে তাতে আশা করা যায়, ভবিষ্যতে লাভ হবে।

অভিযোগ উঠেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে যথেষ্ট সংখ্যক পরীক্ষা কিট না থাকায় এ ভাবে মেপে পরীক্ষার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র কম সংখ্যক কিটের অভিযোগ খারিজ করেছে। লব জানান, দেশে পর্যাপ্ত কিট রয়েছে। আমেরিকার কাছ থেকে ৫ লক্ষ কিট এসে গিয়েছে। এক লক্ষ কিট বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে রয়েছে। আরও পাঁচ লক্ষ হু-এর কাছে চাওয়া হয়েছে। দেশেও কিট বানানোর কাজ শুরু হয়েছে পুরোদমে। পরীক্ষার প্রশ্নে সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছে একাধিক বেসরকারি সংস্থা। স্বাস্থ্য মন্ত্রক চাইছে, পরীক্ষা হোক সরকারের নজরদারিতে। গঙ্গাখেদকরের মতে, বিষয়টির সঙ্গে সামাজিক বহিষ্কারের ভয় জড়িত। বেসরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রে কারও সংক্রমণ ধরা পড়লে তিনি তা চেপে যেতে পারেন। এতে হিতে-বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, [email protected] ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)''
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১১
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×