somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা কি জানি CAUTION মানে সতর্কীকরণ !

২৩ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা আজ যে সমাজ ব্যবস্থায় বাস করছি এখানে নানা ধরনের মানুষ বাস করে। কেউ বুদ্ধিমান আবার কেউ নির্বোধ। কেঊ আবার একটু বেশি বোঝে, কেউবা একেবারে কিছুই বোঝে না !

আমরা একে অপরকে যে কি ভাবি তা বলাই বাহুল্য ! যেমন ধরুন

আমি ভাবি সে খারাপ আর সে ভাবে আমি খারাপ !
সে ভাবে আমি নির্বোধ আর আমি ভাবি সে বুদ্ধিমান !
আমি ভাবি সে খচ্চর আর সে ভাবে আমি চঞ্চল!
সে ভাবে আমি মরব আর আমি ভাবি সে মরবে !

তো এই যে ভাবাভাবি-মরামরির খেলায় আমরা মাতি, প্রকৃতপক্ষে এতে লাভবান হয় কে? আসলে এরা সবাই লুজার যে কারণে কেউ কারো ভাল দেখতে পারে না এমনকি ভাবতেও পারে না! ক্ষতি ছাড়া এদের ভাল কোনদিনই হয় না।

আসুন এবার আসল কথায় আসা যাক-
আচ্ছা আমরা কি বুঝি আসলে আমরা যা করছি বা বলছি বা দেখছি তা সবই ঠিক? আপাত দৃষ্টিতে ঠিক মনে হলেও প্রকৃত ঘটনা আমাদের সবার অগোচরেই থেকে যায়। সে যাই হোক, আপাত আমদের সামনে যা থাকে বা যা দেখি সেটাকে আমলে নিয়ে চললে আমার মনে হয় আমরা বড় বেশি খারাপ থাকব না।

আমরা রাস্তায় চলি, চোখ তো বন্ধ থাকে না, কান হয়তো প্রায়ই থাকে (মোবাইলে কথা বলার সময়)। তথাপি যদি কোন দূর্ঘটনা ঘটে দোষটা গাড়ির ড্রাইভারের উপরই বর্তায়। ড্রাইভাররা যে আবার নির্দোষ সেটাও নয়। তবে আপনি যার তরেই যাননা কেন CAUTION (সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি) টা আমদের কারো চোখেই পড়ে না! অথবা চোখে পড়লেও সেটাকে থোড়াই তোয়াক্কা করি আমরা!

গত সপ্তাহের একটা ঘটনা বলি আপনাদের।
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন-দেখেছেন-দেখছেন যে ঢাকায় রেললাইনের উপর অনেক কাঁচাবাজার বসে। আমরা এও জানি যে এটা কতটা বিপদজনক! পুরোপুরি মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আমরা এহেন কর্ম সাধন করছি। ।এবং এতে এপর্যন্ত অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে। এই ধরনের মৃত্যু বা দূর্ঘটনার দায় কি পুরোটাই সরকারের নাকি আমাদেরও আছে? আমার কথাটা অনেকেরই ভাল লাগবেনা এটাই স্বাভাবিক কারণ আমরা শুধু অন্যের দোষটাই দেখি নিজেদেরটাকে আড়ালে রেখে।

এমনই একটা মৃত্যু হয়েছে গত ১০ই আগস্ট ২০১১ মালিবাগ রেলগেট কাঁচাবাজারে (হায়রে CAUTION!)। কাঁচাবাজারটির অবস্থান রেললাইনের দুই ধারে। দোকানিদের পুরো দোকানটাই রেললাইনের উপর অবস্থিত। রেল আসলে এরা সেই সময়টার জন্যে দোকানটা একটু গুটিয়ে নেয়, রেল চলে গেলে আবার আগের মতোই চলে তাদের বেচা-বিক্রি। আর ক্রেতাদের জন্যে সাবধানতার জন্যে কিঝু না রাখলে একেবারে কেমন হয়! তাই দোকানিরা সবাই মিলে একজন বৃদ্ধকে বাশিঁ বাজানোর জন্যে রেখেছিল। তার কাজ হলো রেল গাড়ি আসলে বাশিঁ বাজিয়ে ক্রেতাদের রেললাইন থেকে সরিয়ে দেওয়া।

এমন করেই চলছিল কাঁচাবাজারটি। ঘটনার দিন বিকেলে কমলাপুর থেকে একটি ট্রেন আসতে দেখে সেই বৃদ্ধ তার বাশিঁ বাজিয়ে লোকজনকে সরিয়ে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ঠিক একই সময়ে বিপরীত দিক থেকে আরেকটি ট্রেন আসছিল যা ঐ বৃদ্ধ ঠাওরে উঠতে পারেনি। যার পরিণতিতে দুই ট্রেনের মাঝখানে কাটাপড়ে তার মৃত্যু হয়।

এই আগস্টেই আমরা আরো অনেককেই হারিয়েছি এমন দূর্ঘনায়। যাদের মধ্যে সাধারণ মানুষ শুরু করে অনেক নামিদামি মানুষও রয়েছে। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনির, খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ যাদের অন্যতম।



আমরা চাই না আর দূর্ঘটনা, চাইনা প্রিয়জনকে হারাতে।

দূর্ঘটনা বিষয়ক আমার অন্য একটি পোস্ট। চাইলে পড়তে পারেন>>>

আমার আকুতি
আমরা জাতি হিসেবে ততটা উন্নত নই কারণ আমরা পুরোপুরি শিক্ষিত নই। এজন্যই হয়তো আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় বার বার। সঠিকভাবে-সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্যে-চলাফেরার জন্যে আমাদের যেটুকু শিক্ষার প্রয়োজন, আমার মনে হয় আমাদের সেটা আছ। যেটা অবশ্যই দরকার সেটা হচ্ছে CAUTION বা সতর্কতা অবলম্বন। সবার কাছে আমার বিনীত আকুতি আমরা একটু সাবধান হই, একটা মিনিট সময়ের জন্যে নিজেদের মহামূল্যবান জীবনটাকে হারিয়ে না ফেলি। দেখেশুনে রাস্তাঘাট পার হই, ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করি। ট্রাফিক সিগনাল মেনে গাড়ি চালাই।




সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:০২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×