তীক্ষ্ম চোখে দক্ষিণ পূর্বাকাশে তারা দেখে ঘুমাতে যাই মধ্যরাতের পরে। রোমান যুদ্ধ দেবতা মার্স। বিছানায় শুয়ে দেখি ভ্রু বিন্দুতে লেগে গেছে নক্ষত্রকণা। সে আর ঘুমাতে দিচ্ছে না কিচুতেই। হঠাৎ নক্ষত্রের আয়ু ঢুকে যায় নিদ্রাকাতর শরীরে। আমি ভাসতে থাকি। মীথের ফেনার ভেতর গ্রহের আনন। তারপর আলোর গতিতে আয়ু ফুরাতেও আর দেরি লাগেনা। আমি দেখতে পাই কাত হয়ে থাকা কঙ্কাল। আমার বিছানায় মাংসত্বক অভবভাজ্য তবু ভেতরে একটা কঙ্কাল তাকে আমি অন্য কঙ্কালের অভিজ্ঞতায় জানি। নিজের ভেতরের কঙ্কালকে চিত্র জাগিয়ে জানি। সে কথা বলে না- নিরুত্তর।
শত বর্ষের ক্ষয় আমাকে ধুইয়ে দিয়েছে। মধ্যরাতে আমার দৃষ্টির রৌদ্রে দেখি তাকে। এইভাবে নক্ষ্ত্র ও নিদ্রার মধ্যস্থলীতে রোপন করেছি নিজেকে একটা সাদা হাড়ের কাঠামো সে। আমাকে সে দেখে নিচ্ছে- আমিও তাকে।

বিখ্যাত এক নাট্যকারের স্মৃতিচারণামূলক লেখা এটি। প্রিয় পাঠক আপনাদের বলতে হবে এই বইটি ও এর লেখকের নাম কী?


পারলে আনন্দ হবে?

লিঙ্ক করুন- আনন্দপাই