একটা বোমাবাজ জাতি কাছ থেকে নতুন বছরে আমরা আর কিই বা আশা করতে পারি? গোলাপের গন্ধ যখন হুইস্কির ফেনায় মুমূর্ষ তখন একটা নীল হাওয়াই ছুটে গিয়ে আকাশটা আলোকিতো করে দেয়,কিশোর কিশোরীর চুমুর শব্দ যখন মোবাইল সেটের হৃৎপিন্ডে আঘাত হানে তখন চারদিকে আনন্দের ফুলঝুড়ি ছোটে, বোমার শব্দে হ্যাপীর ভেগে যাওয়ার কথা থাকলেও দাঙ্গাবাজ তারুন্যের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে ঘাপটিমেরে পড়ে থাকে, লাল হাওয়াই নীল হাওয়াই লাল পানি নীল পানি, নর্তন কুর্দন বেহিসাবী জীবনে কতটুকু সুখী হওয়া যায় আমার জানা নেই,অনেকে আনন্দ করে ফেলেছে কারো বা আনন্দ করতে মন চাইছে কেউ বা আনন্দ ধারা বহাল রেখেছে,বোমার শব্দে যদি আনন্দ পাওয়া যায় তবে ক্ষতি কি? বোমার শব্দতো বেশ মজার তাই না তবে কাল থেকে বোমা বিস্ফারণে মৃতদের বলা হোক মউজ মাস্তিতে আনন্দে আপ্লুত হয়ে নিহত! গ্রেনেড ছোড়া হোক জাতীয় খেলা,তোমরা শহরের ফোয়ারা গুলো মদ দিয়ে ভরে দাও আমিও আনন্দ চেখে দেখি, অশান্তির ঘর আমি উড়িয়ে দিবো বোমা মেরে,বোমার শব্দকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষনার দাবী তোলা হোক,প্রয়োজনে আমি তার রিমেক বের করে দিবো, তোমরা আনন্দ করো আমিও করি, তবে আনন্দ বলে কিছু ছিলো বা আছে কিনা আমি জানি না সবই তো মিডিয়ার সৃষ্টি তাই ভেবে সারা এই গোবেচারা, নতুন কিছু করার প্লান করা দরকার, সব বছর একই ভাবে বোমাটোমা না ফাটিয়ে একটু শীতার্ত গরীব মানুষ গুলোর পাশে দাড়ানোর কথা ভাবাটাও খুব একটা অপরাধ নয় বলে আশা রাখি,মৌজ মাস্তির টাকা ভুতে জোগায় আর ভালো কাজে পকেটের নিউমোনিয়া কিংবা হুপিং কাশি ধরা পড়ে, আমরা সবাই মিলে বাচার চেষ্টা করলে ক্ষতি কি? একটু ন্যায় সঙ্গত বাচা, নাইবা হলো পাগলা নাচন নাচা, নতুবা রবী বাবুর মতোন আধমড়া দের ঘা মেরে তুই বাচা,আমি সুস্থ আনন্দপন্থী যার কোনো ডান বাম নেই,আর এই সুস্থ আনন্দে ভরে উঠুক সবার জীবন এই আশায় যে আর কাউকে যেনো বলতে না হয় সুখ পালিয়েছে ছলিমুল্লার লগে আর শান্তির মায় মরছে! সবাইকে Happy new year এর শুভেচ্ছা! কি কি হারাবো সেটা বড় কথা নয় কি কি পাবো সেটাই বিবেচ্য এখন
যখন রাতকে উড়িয়ে দেয়া হয় বোমা মেরে তাহাকেই হ্যাপী নিউ ইয়ার বলে!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)
ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা
গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন