somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাগের ছলে ভালোবাসা!

১১ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু মানুষের সমস্যা একটাই যে তারা ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে না, এরা এদের খুশির ঘোড়া ছোটাতে গেলেই রাগেরর রুপ পায়, কয়জন রাগের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসা খুজে পায়? তারা মানুষের ভুল বোঝার শিকার হতে হতে নিজেকে আরো লুকিয়ে ফেলে! আজব লাগে যখন রাগে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসাটুকু বুঝতে পারি, তাদের রাগের ছায়ার মাঝেও মায়া মায়া ভাব টের পাই, এরা অনেকটা প্রকৃতির মতোই,বাইরে থেকে দেখলে একটা মোড়ক দেখা যায় আর ভেতরে খুজলে অবাক দুনিয়া, সাগরের নীল ওপর থেকে দেখলে এক আর তার মাঝে ডুব দিলে প্রবাল রঙিন, রাগী মানুষ গুলোর মন সাফ হয় বলেই আমার ধারনা, কারন এরা ছল কপটতার ধার ধারেনা, অনেকে সত্যি কথা বলে শূলে চড়তেও রাজি, এরা দুনিয়ার খারাপ দিক গুলো দেখতে পায় কম তা বলে অন্ধ না, একটু বোকা সোকা হলেও কারো জন্য জান বাজি ধরতেও আপত্তি নেই, কথায় বলে ভালোবাসা জীবন চালায়। যারা নিজের ভালোবাসা প্রকাশের অক্ষমতায় তা রাগের রুপে প্রকাশ করে তাদের যে রাগই জীবনের শক্তি,রাগই এদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ! আমি এদের বোকা বলি কারন এরা যখন রাগ করে চেহারায় বোকা বোকা ভাব ফুটে ওঠে, এরা ভালোবাসাটা লুকোতে গিয়ে নিজেই নিজেকে কনফিউসড করে ফেলে! বলতে গিয়েও অন্য কিছু বলে ফেলে, তখন আবার পস্তায়ও নিজের গাল দেয় নিজের উপর ক্ষেপে যায়, হীনমন্যতায় ভুগে! নিজের দোষ খুজে সব কিছুতেই নিজেকে দোষী ভাবার অভ্যাসটা মূলত আমরাই ওদের মনে গেথে দেই কারন আমরা নিজেদের নিয়ে এতোটাই ব্যাস্ত যে তাদের গভীরে না খুজেই নিজের মন মতো একটা কিছু বুঝে নেই! বলা বাহুল্য বেসিরভাগটাই ভুল বুঝি! আর তাতে যাকে ভুল বুঝি সে কষ্ট পেতে পেতে নিজেকে গুটিয়ে নেয়, হীনমন্যতায় ভুগে,অথচ মানুষ গুলো অল্প একটু ভালোবাসা আর মনোযোগ পেলেই এসব কিছুই হতো না! আমি এই নারকোলের মতো বাইরে শক্ত খোসা ভীতরে নরম জল নেয়া মানুষদের শ্রদ্ধা করি! আমার অতো তাড়া নেই, অতোটা পরিশ্রমীও না যে কারো কথা শুনে মনগড়া ইমেজ তৈরি করে নিবো, আমি জানতে চেষ্টা করি, শুনতে কানপাতি নারকোলের জল কোন স্রোতে বয়, কতখানি ঢেউ ওঠে! রাগের আড়ালের ভালোবাসাটুকু হাত পেতে নেই! নেড়ে চেড়ে দেখি কতোটা যত্ন করে মনের ভাবটুকু লুকিয়েছে মানুষটা, ভালো লাগে! অনেক সময় গালি খেতেও ভালো লাগে - কারন তাতেও ভালোবাসা থাকে - পথে না নামলে কেউ হয়না পথিক,গালি না খেলে কেউ হয়না প্রেমিক! , বোকাদের মনের রাজত্বে কোথাও আধার থাকে না যদি আপনি তাকে তার ছায়া থেকে তুলে আনতে হবে! কিন্তু আপনি কেনো করবেন স্বার্থ ছাড়া ? একবার কোনো স্বার্থ ছাড়া কারো হাত ধরুন! প্রকৃত বন্ধুত্বের মনোভাব রাখুন আর মনে জলে ডুব দিন, ভালো থাকবেন, জানেনইতো সাতারের চেয়ে বড় ব্যায়াম হয় না, জলে না নামলে সাতারও শেখা হবেনা! আপনি নিজের অজ্ঞতায় এক রঙিন জগত দেখতে না পেলে সে আপনার অক্ষমতা, যারর জগত তার না! হয়ত আপনার অতো সময় নেই, টাইম ইজ মানি, কিন্তু উইথ আউট প্লেজার মানি ইজ যাস্ট সাম কালার ফুল পেপারস, টাকায় কি সসব হয়, সম্পর্ক গড়ে ওঠো সসমঝোতায় আর পারস্পরিক বোঝাপড়ায়, আপনার যদি কাউকে বোঝার সময় না থাকে, নিজের বাইরে কাউকে বুঝতে চাইতে আপনার ঘোর আপত্তি তবে কি আপনি সাধারন তম সম্পর্কগুলোর যোগ্য? আমার তা মনে হয় না, সকলের করুনায় আপনার জীবন চলে আপনারই অজান্তে, তাই পাশের কারো হাতটা ধরুন না বুঝলেও জিগ্বেস করুন তোমার চোখ গুলো অমন কেনো? দেখবেন ভালোবাসার সাথে চেপে ধরলেই শুকনো পাহাড় থেকেও উচ্ছল ঝড়না নেমে আসবে,আপনাকে শুধু কষ্ট করে ঝড়নার মুখ থেকে চোট পাথরটা সরাতে হবে! একবার সরিয়ে দেখুল ঝড়নার জল কতো মিষ্টি!
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×