somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুখ ও সুখী হবার সমীকরন

১৫ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষের মন একটা দীঘীর মতন! সে যখন শান্ত থাকে তখন তার চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই! স্মৃতি হলো ঢিলের মতোন, তা দীঘীর জলে ঢেউ তোলে,তখন মানুষের নিজের প্রতিচ্ছবিই ভেঙে ভেঙে আবছা হয়ে যায়,সে বুঝতে পারেনা সে তখন সত্যিকার অর্থে কি তার চাওয়া কি, তখন অনেক ভুল করে ফেলে সে অজান্তে, আবার দীঘীর জল ঢিলের আলোড়নের পর শান্ত হয়,ভুল গুলো ঢিল হয়ে জমে, রাগ অনুরাগের ঢিল গুলো একটু গভীর পর্যন্ত তলায় বলে শান্ত হতে সময় লাগে, তাতে হাওয়া দোল দিলে অনুরনন বাড়ে, শেষ পর্যন্ত শান্ত হতেই হয়! সুখী হবার অধিকার সবারই আছে,অনেকেই সুখ খোজে,খুজতে গিয়ে নিজে হারিয়ে যায়, সুখ তখন সোনার হরিন, চাওয়া পাওয়ার ঢিলে অশান্ত মনে আপনি নিজেকে খুজে পান না তাহলে সুখ কিকরে খুজে পাবেন? অসহ্য একটা প্রশ্ন, তাড়না তখন প্রস্নটাকে আরো অসহ্য করে তোলে,সত্যিকার অর্থে সুখ কে কখনো খুজে পাওয়া যায়না, সে নিজ থেকে বড় অসময়ে আপনার কাছে ধরা দেয়, বড় দীনহীন মলিন অস্থির বেশে,আপনি তখন ভাবেন এই যাহ! চাওয়ার সাথে প্রাপ্তি মিলছে না, নিজে অস্থির এতো আমার অস্থিরতা আরো বাড়বে বৈ কি! আপনি তখন সামনে দেখেন, সুখকে ছাপিয়ে গিয়ে অন্য কোথাও সুখ খোজেন, আসলে কি পান? বড় শক্ত একটা প্রস্ন! আপনার দীঘীর জল শান্ত না হওয়া পর্যন্ত আপনি অন্ধ! আপনি তার কাছেই সত্যি কারের সুখি যে অন্ধভাবেও আপনাকে নিয়ে সুখি! সুখ খুজে পাওয়া যায় না অনুভব করতে হয়, যদি তা না পারেন তবে সুখ নামক মরিচিকার পেছনে ছুটে যাবেনই শুধু সে আপনার হাতে আসবে না, সুখের স্বপ্ন আর সুখে অনেক পার্থক্য,সুখী হতে কোনো স্বপ্ন লাগেনা,লাগে বাস্তব চিন্তা আর সত্যিকারের স্থির অনুভূতির হৃদয়! আপনার দীঘিতে ছিপ ফেলার ঢিল ছোড়ার লোকের অভাব হবে না অভাব হবে স্থির ভাবে আপনার পাশে বসে থাকার মানুষের, প্রথম ঢিলটা আপনার দীঘীর জলে পড়ার আগে সে লুফে নিতে চাইবে যদি আপনি তাকে সে সুযোগ দেন,ঢেউয়ের ধাক্কায় দুরে না ঠেলে দেন,জীবনটা অনেক সহজ নিয়মে চলে,আমরা জটিল করে তুলি,কারন আমরা বড় অস্থির! মানুষ অস্থিরই, যে অস্থিরতার মাঝেও স্থির সে মানবতার উর্ধে! নিজের আত্ববিশ্বাস ধরে রাখুন,নিজেকে গুটিয়ে কোনো লাভ নেই,আপনার জীবন একটাই, সেকেন্ড চান্স বলে জীবন আপনাকে কিছু দেবে না, আপনি আপনার জীবন নৌকার মাঝি,যাত্রীদের ভুল ক্ষমা যোগ্য হলেও মাঝির ভুলের খেসারত সবাইকে গুনতে হয়,তখন নিজেকে ক্ষমা করতেও আপনার নিজের বিবেকে বাধতে পারে! শত ব্যস্ততা, শত কষ্টের মাঝেও আত্ববিশ্বাস ধরে রাখুন! আপনার যদি ধারনা হয় আপনি সবাইকে কষ্ট দেন তাহলে আপনি বোকার রাজ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা! যে আপনাতে সুখী আপনি হাসতে হাসতে তার হাতের রগ কেটে দিলেও মরার আগ পর্যন্ত সুখী! সুখ একটা অন্ধবিশ্বাসের নাম! এজন্যই সুখের মরন নামের একটা শব্দ আছে অভিধানে! আপনি আর সবার চেয়ে আলাদা! কারন আপনার চিন্তাধারা আর সবাইর মতন না! এ ছাড়া বাকিদের সাথে আপনার পার্থক্য খুব একটা নেই! আপনি কেনো ভুলে যাচ্ছেন আত্বপরিচয়! সেই সব ঢিল গুলো আপনার বুকে কেনো ঢেউ তোলে না যখন হাজার বাধা অভিযোগ অতিক্রম করে আপনি আপনার সফলতার স্থানে এসেছেন! সেই স্মৃতি গুলো মনে করুন, দাঁতে দাঁত চাপুন, আপনি সৃষ্ঠি শেষ্ঠ! সবাই যখন পেছনে টানছিলো সামনে এগিয়ে যাওয়ার তাড়না আপনার অতীতের কোনো টক ঝাল স্মৃতির তাড়নার চেয়েও শক্তিশালী তাহলে কেনো আপনি স্থানু হয়ে যাবার চেষ্টা করছেন! যা হবার তাই হবে তবে তাই হোক! সেখানে চোখের কাজ আপনি কেনো অবহেলা করছেন! আপনার জীবনটা আপনারই! সেখানে আপনার বর্ম ভাঙার যে চেষ্টা করবে আপনার মাথা নত যে দেখতে চায় সে সত্যিকারের আপনাকে কতোখানি বোঝে? নাকি আপনিও যারা কষ্টদেয় তাদের কাছেই সুখ অমন স্যাডিস্টদের দলে নাম লিখিয়েছেন? জীবনটার দিকে তাকান! নিজের অবস্থান ও পরিবারের দিকে তাকান! একবার ভাবুন কতো কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছে এ পর্যন্ত আসতে! পুতুল ঘরের স্বপ্ন সবারই থাকে তবে পুতুল খেলা ভাঙবেই! অনেকে আপনার সাথে পুতুল খেলবেনা! তারা আপনি থেমে গেলে হয় সামনে থেকে হাত বাড়াবে নয় পেছন থেকে ঠেলবে! আপনার জীবন ফুরিয়ে যায়নি! অল্প হোক সল্প হোক এতো দুর নিজ প্রচেষ্টায় এসেছেন বাকিটাও যেতে পারবেন! তবে হ্যা আপনার মনে হতে পারে কারো বাধ্য হওয়ার কাউকে মেনে চলার সেটা কি মানুষই হতে হবে আল্লাহকে মেনে চললে ক্ষতি কি? রাসুল(সঃ) কে মানুন! আপনি তো আল্লাহর গোলাম মানুষের না! যে আপনাকে তার মতোই সম্মান করবে সে আপনার যোগ্য আপনাকে পুশি ক্যাট করার পরিকল্পনাকারীদের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে আপনি আপনার সম্মানহানী করা মানে আপনার ভেতরের ঈশ্বরকে সম্মানহানী করা! মরতে সবাইকে হবেই তবে বেচে থেকে মরারর কোনো মানে হয় না! আপনি ফুরিয়ে যাননি! স্বমহিমায় ফিরে আসুন! শয়তানের কাজই হলো মানুষের দুর্বলতা খোজা তা জাগিয়ে তোলা! ইবাদাত করুন শয়তান থেকে দুরে থাকুন! আপন জনের হাত ছাড়বেন না! কারন ওগুলোই পৃথিবীতে আল্লাহর সবচেয়ে বড় উপহার! ভালো থাকুন! সব চেয়ে বড় কথা কষ্ট ছাপিয়ে নিজের জেদটা কাজে লাগিয়ে নিজেকে ভালো রাখুন! আপনার মনেই আপনার আল্লাহ খোদা সুখ দুখ বন্ধু শত্রু শয়তান ভালো মন্দ!তাই পথহারা হবেন না! নিজেকে সময় দিন দীঘীর জল স্থির রাখুন! আপনি একজনই মনে রাখবে আর কেউ হবে না আপনার মতন! তাই নিজেকে হারাবেন না! টাকা হারান সম্পদ হারান কিন্তু নিজেকে হারাবেন না! কারন আপনি ভালো করেই জানেন হারাবার জন্য আল্লাহ আপনাকে দুনিয়ায় পাঠান নি! দুনিয়ার বুকে নিজের নাম খানা লিখে রাখতেই তার এতো আয়োজন! দেহের অসুখ মনের অসুখে রুপান্তরিত করবেন না! কারন মন শান্ত থাকলে আপনি জাহান্নামের আগুনে বসেও পুষ্পের হাসি হাসার ক্ষমতা রাখেন! আপনার আত্ববিশ্বাসের ভয়ে সপ্তনরক হাবিয়া দোজখের আগুন কেপে কেপে নিভে যাবে! আপনি তখন শত্রুর সাথে গলাগলি করে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েও বিজয়ীর বেশে ফিরবেন! ভেবে নিন যা হচ্ছে তা আপনার সহ্যের ভেতরেই হচ্ছে! পরম দয়ালু আপনার সহ্যের বাইরে আপনাকে কোনো পরিস্থিতিতে ফেলেন না! আর সব পরিস্থিতিতে সুন্দর করে মোকাবেলা করে টিকে থাকাই আশরাফুল মাখলুকাতের শক্তির পরিচয়! ধৈর্যের পরিচয়! বুদ্ধির পরিচয়! চরম খারাপ পরিস্থিতিতে যে খাপ খাইয়ে ভালো থাকতে পারে সেই তো সেরা দের সেরা! আপনি তার ব্যতিক্রম নন!বিশ্বাস রাখুন আপনি পারবেন! পারতে যে আপনাকে হবেই!আপনার সেখানেই সফলতা সেখানেই সুখ!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×