কিছুদিন আগে দেশে গিয়েছিলাম। চট্টগ্রামের একটা গ্রামে পুরো সময় কাটিয়েছি। দেশে চলমান উন্নতি চোখে পড়লো। আগে গ্রামে আঁকাবাঁকা রাস্তাগুলো কাঁচা ছিল। এখন দেখলাম সব কিছুতে পিচ ঢালাই চলছে। ইটের উপরে ঢালাই, গর্তে মাটি ভরে তার উপর ঢালাই, মাটির উপরে ঢালাই। খালি রাস্তা পাকা করছে। দেশের এই উন্নতিতে আমি অবাক। এর আগে দেশে ফ্লাইওভার এর উন্নতি হয়েছিল। অপরিকল্পিত উন্নয়ন এখন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কাঁচা রাস্তা পাকা করার আগে রাস্তার এলাইনমেন্ট ঠিক করা দরকার ছিল। গ্রামেগঞ্জের রাস্তাঘাট ক্ষেতের জমির আইল এর মতোই আঁকাবাঁকা। একসময় এই রাস্তায় রিকশা চলবে বলে চিকন রাস্তা প্রসস্থ করেছিল। যেহেতু রিকশার গতিবেগ কম, আঁকাবাঁকা রাস্তা কোন সমস্যা ছিল না, দিন চলে যাচ্ছিলো ভালোই। কিন্তু এখন সবাই মোটরযান এ চলাফেরা করে, গতি বেশি। উন্নত বিশ্বের তুলনায় অনেক কম গতি, তবে রিকশার চাইতে বেশি। গ্রামের রাস্তায় তুলনায় অতিরিক্ত।
এইসব রাস্তা পাকা করার আগে কিছু পরিকল্পনা করা দরকার ছিল। রাস্তা সোজা না করলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যা। স্বাধীনতার পর যেমন রিকশায় চড়ার জন্য রাস্তা বড় করছিলো ৪০ বছর পর কি হবে সেটা না ভেবে, এখনো রাস্তা পাকা করছে ১০ বছর পর কি হবে সেটা না ভেবে ।
এলাকায় কয়েকটা নবনির্মিত ব্রিজ দেখলাম এক লেন এর। দুই দিক থেকে দুইটা রিকশা পার হতে পারবে বড়জোর। চার চাকার কোন গাড়ি গেলে ব্রীজগুলো কালুরঘাট এর পুরান ব্রীজ এর মতো হয়ে যাবে। একদিক থেকে গাড়ি আসবে , আরেকদিকে গাড়ি দাঁড়ায় থাকবে।
এইসব উন্নয়ন অদূরদর্শী, এই উন্নয়নে দীর্র্ঘস্থায়িত্ব নাই। হয়তো বিদেশে আছি বলেই এইসব ব্যয়বহুল প্রজেক্ট এর অদূরদর্শীতা দেখে খারাপ লাগছে। কারণ বিদেশের যেকোন প্রজেক্ট এ দীর্র্ঘস্থায়িত্বতা বিবেচনা করে ফান্ডিং দেয়া হয়। বাংলাদেশ এ উন্নয়নের নামে খালি টাকা নষ্ট করে। দেশি আমলারা বিদেশ ঘুরে ট্রেনিং নেয়, দেশে গিয়ে সব ভুলে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১২