somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেভাবে রসময়গুপ্তদের পেটে লাত্থি মার্লেন হাসনাত আবদুল হাই

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এমন নিরুত্তাপ চটিসাহিত্য উগরে লেখা ফেসবুকেও সম্ভব নয়। কিন্তু সম্ভব করেছে প্যাহলে রোশনি আর জনৈক ক্যাবলাকান্ত হাসনাত আবদুল হাই। উনারা প্রচারের আলোয় থাকার জন্য আর কি করবেন? বেছে বেছে নিউজ করেন কারেন মালহোত্রাকে নিয়ে, খেলার খবরের তুলনায় তাদের ব্যক্তিজীবনের দিকেই আগ্রহ বেশি। :|
উদাহরণ হিসেবে ইকার ক্যাসিয়াসের বান্ধবী আবেদনময়ী সারা কার্বোনেরোকে নিয়ে লিখে ফানা ফানা করে ফেলার কথা বলা যেতে পারে। ওয়েইন রুনির প্রতিনিয়ত শয্যাসঙ্গী বদলের ঘটনা, মারিয়া শারাপোভার বয়ফ্রেন্ড তাকে মৃত ব্যাঙ বলার কাহিনী এগুলো প্যাহলে রোশনি আমাদের মতো পথভ্রষ্ট যুবকদের জানিয়েছে। :P
আজকে নববর্ষের দিন কেউকি এমন রগড় কাহিনী আশা করেছিলেন ?
মেয়েটি নাছোড়বান্দা, তিনি যতই তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন, সে ঘুরে এসে দাঁড়ায় সামনে, প্রথম সারিতে না হলেও দ্বিতীয় কি তৃতীয় সারিতে। দেখতে সে সুশ্রী নয়, তবে তার চোখে-মুখে তীক্ষ একটা ভাব আছে, নতুন ছুরির মতো। তার চোখের নিচে ক্লান্তির কালো দাগ, মুখে একধরনের রুক্ষতা। আগে সেখানে যে কমনীয়তা ছিল তা মুছে ফেলেছে। ঠোঁট দুটি চকচক করছে, যেন গ্লিসারিন মাখানো। আসলে সে ঘন ঘন জিভ দিয়ে শুকনো ঠোঁট ভিজিয়ে নিচ্ছে।
লেখার মধ্যে তিনি এমন ভাব এনেছেন যেনো অনেক কষ্টে ঠোট ভেজানোর ইচ্চে তিনি নিবরণ করেছেন। কিন্তু চেহারার সুশ্রীতার কথা তুলে যে কামনা আর ভাবাবেগ মিশ্রিত উক্তি তিনি রগড়ে দিয়েছেন সেটা নি:সন্দেহে বর্ণবাদী আচরণের দোষে দুষ্ট। দেশের প্রথম সারির একটি পত্রিকার নিবন্ধে কখনোই একজন বালিকার সিক্ত ঠোটেঁর বিবরণ পাঠক আশা করেননা। আর যদি এগুলো প্যাহলে রোশনিতেই পাওয়া যায় তাহলে রমনের কাহিনীগুলো কে পড়বে। হাসনাত আবদুল হাই সাহেবরা যা শুরু করেছেন অদূর ভবিষ্যতে তো দেখি রসময় গুপ্তের দল না খেয়ে মাঠে মারা যাবে।
বড় ভাবাবেগ নিয়ে হাসনাত আবদুল হাই লিখেছেন। ...
প্রায় ময়লা সবুজ ওড়না লাল কামিজে জড়ানো শরীরের ওপরে একটা স্তন ঢেকে রেখেছে, বুকের অন্য পাশে ওড়না কামিজের কাপড়ের ওপর ছড়িয়ে রাখা, প্রায় সমতল দুই দিকেই, হঠাৎ দেখে ছেলে কি মেয়ে বোঝা যায় না।
প্রিয় পাঠক এর থেকেই বোঝা যায়না এদের চোখ আসলে কোথায় ছিলো ? আমার তো মনে হচ্ছে এই সব চুশীলদের মুখে ছিলো তুই রাজাকার আর দৃষ্টিছিল ঐ সেই যায়গা যেখানে দেখে যে হতাশ হয়েছিলো। ধুশ্লা এটা ছেলে নাকি মেয়ে ? :-*
মহান চুশীল আরো ফর্মাইয়াছেন.............. ;)
মেয়েটা দেখতে সুশ্রী না হলেও বয়সের জন্য একধরনের আকর্ষণ আছে তার শরীরে। অগোছালো বেশবাস সেই আকর্ষণে একটা বন্যতার ভাব সৃষ্টি করেছে, যেন সে যেখানে খুশি লাফিয়ে পড়তে পারে। দেখেই মনে হয় খুবই বেপরোয়া আর অ্যাগ্রেসিভ।
ভাব প্রকাশের অতিরিক্ত আবেগ দেখে তো মনে হচ্ছে তিনি এই দৃশ্য দেখার পর বাসায় ফিরে কি করেছেন সেটা তিনিই জানেন। বজ্জাত পোলাপাইন শুধু এটুকু বলবে। মনে হয় আগামী এক সপ্তাহ হালায় কম্পিউটারের সামনে না বৈসাই অন্তত ডজন খানেক বার বাথরুমে গেছে আর আইছে। ;)
আর শেষে কৃতজ্ঞতাটা জানিয়েছেন উনি ঠিক এভাবে...
ঢাকায় মফস্বলের মেয়েরাই বেশি ফ্রি, বেশি দুরন্ত, বেশ সাহসী। ওরা কাউকে পরোয়া করে না।

আমার তো কপালে চিন্তার ভাঁজ আরো দীর্ঘায়িত হইলো। ভাইছা ক্যাম্নে কি? কতজনের উপ্রে আপনি এক্সপেরিমেন্ট করি হালাইছেন ? ;)

১৩টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×