somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ম ও ধর্মনিরপেক্ষতার বাণিজ্যে বাংলাদেশের ক্রান্তিকাল

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানবাধিকার কর্মী আদিলুর রহমান খান গ্রেপ্তারের পর হেফাজত ইস্যু অন্যদিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। সফেদ টুপি আর পাঞ্জাবীতে পুরো ঢাকার অর্ধেকটা সাদা করে ফেলা এই বাহিনী আকস্মিক অন্তর্ধান অনেকগুলো প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক আন্দোলন ও সংগ্রামগুলোকে সেগরিগেট করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ মূলত দুই ধরণের ইসালামী আন্দোলনকে নির্দিষ্ট বর্ণনার পাদপ্রদীপে আনতে আগ্রহী যার প্রথমটি পলিটিক্যাল ইসলাম অন্যটি সালাফি মতাদর্শী তথাকথিত ফাণ্ডামেন্টাল ইসলাম। সৌদি শেখদের দুগ্ধপোষ্য ইসলামের ধ্বজাধারী সালাফিদের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মুসলিম দেশের জন্য আরেক অভিশাপের নাম সেকুলারপন্থিরা তথা আমি যাদের বলি ধর্মনিরপেক্ষতা ব্যাবসায়ী। দুর্বল রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়ন্ত্রিত মুসলিম দেশগুলোকে জঙ্গীবাদী রাষ্ট্র প্রমাণ করতে এদুয়ের এক অভূতপূর্ব সমন্বয় প্রয়োজন।


একটু পরিষ্কার করে বলতে গেলে আল্লামা শফির মতো নেতা বক্তব্য দিয়ে মেয়েদের ‪#‎তেঁতুল‬ বলবেন, তাদেরকে পর্দার নামে বস্তাবন্দী করতে চাইবেন, ক্লাস ফোর ফাইভের বেশি পড়ালেখা নিষিদ্ধ করতে চাইবেন। পক্ষান্তরে রোকেয়াপ্রাচী/ মিতা হক/ অদিতি ফাল্গুনীর কিংবা সুলতানা কামালরা মেয়েদের অর্ধনগ্ন কিংবা প্রায় নগ্ন করে রাস্তায় নামাতে চাইবেন। এই দুই আস্তিক ও নাস্কিত মৌলবাদের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ৈ মেয়েরা ভাববে আমরা বাংলাদেশ জন্ম নিলাম কেনো ? এদের একটি গ্রুপ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ধর্মকে এগ্রিগেট করতে চাইবে অন্যরা চাইবে সেগ্রিগেট করতে। ফলে একটা দ্বন্দ্বে বাংলাদেশের মানুষ কখনোই শান্ত হতে পারবে না। এই প্রক্রিয়াটাকে অনেকটা কুকুরের লেজে ইট বেঁধে দেয়ার সাথে তুলনা করা যায়। যেখানে একবার দৌড়ানি শুরু করলে পাছায় বাড়ি লেগে তার দৌড়ানি চলতেই থাকে।


যে যাই বলুক না কেনো এই হেফাজতের দেখলে আমার কেনো যেনো মিশরে সৌদিদের দুগ্ধ পোষ্য সালাফিদের কথা মনে হয়। যারে সবার আগে পোশাকে তারপর নামে মুসলমান। এদের কাজ ইসলাম প্রচার করা বা প্রতিষ্ঠা করা না। ইসলামের নামে গান গাওয়া। সে গান বিশ্বে বাংলাদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ করতে যথেষ্ঠ হবে। সেই সাথে মুর্গি কবীরের মতো কিছু বংশবদ ভৃত্য রয়েচে তারা বিশ্বে আমাদের দেশকে পরিচিত করবে জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে। আর মিডিয়াতে ঐ এক কথা। যা দাড়ি আর টুপি তাই ‪#‎জঙ্গীবাদ‬। আল্লামা শফির বেকুব মার্কা ওয়াজ এইদেশের ইসলামের বর্তমান অবস্থান ক্ষুন্ন করেছে। বুড়ো লোকটার অহেতুক বাড়াবাড়িতে আমি সালাফি সংশ্লিষ্টতার সূত্র খুঁজে পাই। কারণ এই বাড়াবাড়ি নিয়েই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেই মিডিয়ায় মুখ দেখাচ্ছে ধর্মনিক্ষতার ব্যবসায়ী কিছু ‪‎নাস্তিক মৌলবাদী‬।

তাহরির স্কয়ারে আমেরিকার টাকায় একদল বাচ্চালোগ ও মধ্যবয়সী লোগ নানাগানা শূরু করে । আর সালাফিরা তাদের বেহায়াপনাকেও ফতোয়া দিয়ে যায়েজ করেছিলো। এখন ঠিক এই সালাফিরা একদিনে শরীআহ আইন চায় অন্যদিকে আমেরিকার সহায়তায় ক্ষমতার চেয়ারও দখল করতে চায়। এদের ইসলাম প্রীতি দেখলে কে.এফ. এর সির মুর্গির প্রতি ভালোবাসার কথা মনে হয়। অন্যদিকে তারিক রামাদান কিংবা নোয়াম চমস্কি যাকে পলিটিক্যাল ইসলাম হিসেবে প্রচার করেছেন। বাংলাদেশে তার সুযোগ অবারিত নয়। আর পলিটিক্যাল ইসলাম বলতে যে বিশেষ রাজনৈতিক দলের কথা এসে যায় কিংবা যে দলটির সাথে মিশরের ব্রাদারহুডের সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হয় তারা এখন অস্তিত্ত্বের সংকটে রয়েছে। এইদিক থেকে বলতে গেলে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের জিরো টলারেন্সের কথা ধরে নেয়াই যায়।

কিন্তু এর মধ্যে দিয়ে আখেরে লাভ হয়েছে ‪#‎ধর্মনিরপেক্ষতা‬ ব্যবসায়ী মুর্গি কবীর গংদের। তারা শাহবাগীদের দিয়ে আল্লাহ-রাসূলকে গালি দেয়াচ্ছে। পরক্ষণে দাড়ি টুপি জোব্বায় এসে শাহবাগীদের জবাব দিচ্ছে ‪#‎সালাফিপন্থি‬ হেফাজতিরা। তারা নাশকতা করার খাতির নাশকতা করে মিডিয়াকে কিছু ছবি তোলার সুযোগ ও করে দিচ্ছে। কিছু গাছ কাটা, কিছু জায়গায় টায়ার জ্বালানো এগুলো বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আন্দোলনের অংশ। কিন্তু এই কাজটাই যখণ কোনো দাড়ি টুপি অলা লোক করবে সেটাকে খুব সহজেই বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের উত্থান বলে চালিয়ে দেয়া যাবে। আর তাদের হত্যা করা কিংবা তাদের পক্ষাবলম্বন করা সরকার যেটাই করুক না কেনো আখেরে লাভ হবে ধর্মনিরপেক্ষতা ব্যবসায়ী মুর্গি কবীরদেই। তারা এটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে জঙ্গীবাদের সাথে যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা দেবে। এখানে হারজিত যাই হোক তাদের প্রয়োজন বাংলাদেশকে জঙ্গীবাদী প্রমাণ করা। এক্ষেত্রে তারা আস্তে আস্তে সফল হচ্ছেও। তবে পুরো দেশের মানুষ যদি এখনো সচেতন না হয় আখেরে বাংলাদেশ আরেকটি মিশর হতে যাচ্ছে এই কথা নি:সন্দেহে বলতে পারি।
অর্ণব আর্ক
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×