ইরানে ইহা কোন আজব ঘটনা না। তবে দুই এক দিনের মধ্যে জনসমক্ষে পাথর কিংবা ইস্টক খন্ড (যদি পাথর না পাওয়া যায়) নিক্ষেপ করিয়া একজন মহিলা এবং একজন পুরুষকে মারিবার জন্য ফতোয়া আদালত রায় দিয়াছে। মধ্যযুগীয় এই মৃত্যুদন্ড কার্যকর করিতে প্রথম পাথর ছুড়িবেন মহামান্য জুডিসিয়ারি প্রথান আয়াতুল্লাহ শাহরুদি!
ইরানের পেনাল কোডের আর্টিক্যাল ৮৩ অনুসারে এ্যাডাল্ট্রির শাস্তি পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদন্ড। আপরাধ মোকাররামে ইব্রাহীমি নামের বিবাহিত এই মহিলার সহিত প্রণয় ঘটিয়াছিলো বেগানা এক পুরুষের আর এই প্রণয়ের শাস্তি জনতা তাঁহাকে চারিদিক থেকে ঘিরিয়া জনে জনে ঢিলাইয়া তিলে তিলে মৃত্যুর পথে ঠেলিয়া দিবে। লোকে অবশ্য বলে এই মহিলা তাঁহার স্বামীর অত্যাচার হইতে মুক্তি পাইতে তালাক চাইয়াছিলো কিন্তু তাঁর বর তালাকা না দিয়া ঘরের বাহির করিয়া দিয়াছিল। তাহার বেশ কিছু দিন পরে এই প্রণয় ঘটে এবং তা ঘটিয়াছিলো স্বামীর বাড়িতে থাকা অবস্থায় নহে। এই প্রণয় আমরা সমর্থন করিনা কিন্তু এই ভাবে মারিবার কথা চিন্তাও করিতে পারিনা! রাস্তার কুকরকেও মানুষ এই ভাবে মারিতে পারেনা।
সুতরাং বঙ্গ ললনারা সাবধান! এই বাংলাকে ইরান কিংবা আফগান বানাইবার খায়েশ অনেকের মাঝেই দেখিতে পাই। এখনও যদি সচেতন না হই তাহলে একদিন আমাদের মাতা ভগ্নির কপালে এই রকম মৃত্যু লিখা থাকিবে।
বি: দ্র: এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং আয়াতুল্লাহ সাহেবকে অনুরোধ করেছে তাঁর সিদ্ধান্ট পাল্টিয়ে সাজা মাফ করার জন্য।