somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেয়েটির নতুন কৌশল, ছেলেটিকে রাতে ঘুমাতে না দেওয়া…

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ নামে দুই পা ওয়ালাদের প্রেম নামক জিনিসটা সাথে জড়ানো একেবারে সহজ ব্যাপার।
ক্ষুদ্র থেকে বৃহত্তর,যদিও প্রেম ভালবাসার কোন সীমা নেই অনেকটা এইসব ব্যাপারে নানা তথ্য মিলে কাজ কর্মের উপর।

মেয়েটির মা নেই, মা'হীন এক মেয়ে এলাকার মাইল দেড় এক দূরে তার বাড়ি। ছোট কালে (১০-১১ বছরে) মা'কে হারিয়ে ফেলেছে,বেড়ে উঠেছে মাতৃঘরে একটু ভালবাসা/তিরষ্কারের মধ্য দিয়ে।
একটি কালে এসে পড়েছে মেয়েটি,১৭ বছর বয়সে।
মা'হীন নানী'মার সাথে নিজেকে গড়ে তুলেছেন, নানী'মার যটুক সম্ভব মায়ের ভালবাসার স্বাদ দিয়েছে।
কিন্তু কি কখনো সম্ভব মায়ের ভালবাসার স্বাদ আর অন্যের ভালবাসা…!
এই এক মায়াময় মেয়ের প্রেমে পড়টা খুব স্বাভাবিক,
একটি মাধ্যমে পরিচয় মেয়েটির সাথে,অদ্ভুত হওয়ার মত জীবন কাহিনী গুলো শুনে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম মেয়েটির সাথে,
বন্ধু হিসেবে গ্রহনও করেছিল।
একেবারে ফর্সা নয় শ্যামলা হলদে রঙ্গের মেয়েটির কাছ থেকে বার বার জানতে চাইতাম তার শৈশব নিয়ে, বলতে চাইতো না।
বললে, আবার নিজের মায়াকে সামলাতে না পেরে তাকে অফ করে দিতে বলতাম, এসব আর বলো না।
একটি আশ্বা ছুড়ে দিয়ে বলতাম তোমার কেউ নেই টিক আছে বুঝলাম, আমি তো আছি…!
আর মেয়েটি বলতো আপনি তো আমার কেউ নন আপনি থেকেও কি না থেকেও কি…!
তখন নিজে নিজে আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলতাম, আসলেই তো আমি তো ওর কেউ নয়।
মাঝে মাঝে ক্ষমাও চেয়ে নিতাম প্রতিজ্ঞাও করতাম তোমার সাথে আর আলাপ করবো না।
এইসব কথা শুনলে মেয়েটি কান্না শুরু করে দিতো,আমার তো কেউ নেই মনের কথা গুলো বোঝাবার আপনাকে বলি, বলে আপনি এইসব বলবেন।
আপনাকে তো আমি খুবই বিশ্বাস করি একজন ভাল বন্ধু ভাবিও…
এভাবে একবছরের চেয়ে বেশি বন্ধুত্ব, দ্রুত কাজ সেরে বাকী সময়ে ব্যস্ত থাকতাম তার সাথে ফোন আলাপে।
এভাবে চলতে চলতে জড়িয়ে গেল এক অন্ধ ভালবাসায়।
বন্ধুত্বের পর স্থান পেলো ভাল লাগার তারপর ভালবাসার শুরু…
দুজনের মাঝে আর অজানা রইলো না তারা একজন একজনের প্রেমে পড়েছে।
সারাদিন নানা সময়ে ফোনে কথা হতো এমনকি রাতেও।
প্রতিদিন নানা কথায় হাঁসি খুশি ঝগড়া এইসব দিয়ে চলছে।
মেয়েটি সারাদিন ছেলেটিকে নিয়ে ভাবতো আর ছেলেটিও কম নয়।
প্রতিরাতে এক দীর্ঘ সময় ফোনে আলাপ হতো,সারা দিন নানা কথাবার্তা বলে কাটত রাতের বেলায় মেয়েটি তার সাথে ঝগড়া শুরু করত নানা চিন্তায় রাখতো, ছেলেটিও মেনে নিতো তার বকা ঝকা।
ছেলেটি শুধু ভাবতো মেয়েটির তো কেউ নেই আমি ছাড়া,আমি না হয় রাতে ঘুমাতে পারবো না এ নিয়ে আমার সমস্যা নেই, আমার কথায় যদি ও কষ্ট পেয়ে রাতে ঘুমাতে না পারে, এতে তো আমি আরো বেশি কষ্ট পাবো।
মেয়েটির কথা গুলো নিয়ে ভাবতে ভাবতে ছেলেটি অনেক রাত নির্ঘুমে কেটেছে।
একদিন ছেলেটি এক বড় প্রতিজ্ঞা বদ্ধ করে মেয়েটিকে জিজ্ঞাস করলো,
একটি কথার উত্তর দিবা…?
মেয়েটি রাজি হয়ে বলল হ্যাঁ…
তুমি কি মজা পাও,রাতের বেলায় ফোনে আমার সাথে ঝগড়া করে,
একটু নিশ্চুপ হয়ে কিছুক্ষণ পর মেয়েটি উত্তর দিল, হ্যাঁ খুব বেশি মজা পায় যা আমি রাতে ঘুমাতে পারি না, তোমার সাথে শুধু ঝগড়া দিতে রাতে একটু ঘুমাবো বলে কিন্তু ঘুমানো হয় না,তোমার কথা চিন্তা করতে করতে রাতটা ফুরিয়ে যায়।
তুমি কি বোঝ না,
তোমার সাথে কেন ঝগড়া দেই…?
হ্যাঁ, আমি সবই বুঝি আমাকে কষ্ট দেওয়া তোমার এই জটিল কৌশল কেমনে বুঝবো না…!
সত্যি বিশ্বাস করো তোমাকে ছাড়া রাতটি কাটে না,তোমায় ভেবে দিনের সাথে দেখা মেলে।
এ কি তাই…!
তাহলে অপেক্ষায়,
সামনে কি হয় দেখা যাবে…
|
|
ওনাদের জন্যে দোয়া করবেন খুব কাছে এক বন্ধুর চলমান প্রেম কাহিনী থেকে…
বন্ধুর জন্যে লিখাটি উৎসর্গ করলাম।
দুজনের নাম গুলো প্রকাশ করলাম না।
(অনেক কাহিনী আছে তবুও অল্পতে শেষ করলাম)

লেখক,
হাফিজ আসাদ।
০২-০৩-২০১৬ ইং
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঘরে ফেরার টান

লিখেছেন স্প্যানকড, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৬:৩১

ছবি নেট।

তুমি মানে
সমস্ত দিনের ক্লান্তি শেষে
নতুন করে বেঁচে থাকার নাম।

তুমি মানে
আড্ডা,কবিতা,গান
তুমি মানে দুঃখ মুছে
হেসে ওঠে প্রাণ।

তুমি মানে
বুক ভরা ভালোবাসা
পূর্ণ সমস্ত শূন্যস্থান।

তুমি মানে ভেঙ্গে ফেলা
রাতের নিস্তব্ধতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বজলুল হুদাকে জবাই করে হাসিনা : কর্নেল (অব.) এম এ হক

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৯

মেজর বজলুল হুদাকে শেখ হাসিনা জবাই করেছিলেন।

(ছবি ডিলিট করা হলো)

শেখ মুজিবকে হত্যার অপরাধে ২৮শে জানুয়ারী ২০১০ এ মেজর (অব.) বজলুল হুদা সহ মোট ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মি. চুপ্পুর পক্ষ নিয়েছে বিএনপি-জামাত; কারণ কী?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬


বিএনপি গত ১৬ বছর আম্লিগের এগুচ্ছ কেশও ছিড়তে পারেনি অথচ যখন ছাত্ররা গণহত্যাকারীদের হটিয়েছে তখন কেন বিএনপি চু্প্পুর পক্ষ নিচ্ছে? অনেকেই বলছে সাংবিধানিক শুন্যতা সৃষ্টি হবে তার সংগে বিএনপিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগারেরা প্রেসিডেন্ট চুপ্পুমিয়াকে চান না, কিন্তু বিএনপি কেন চায়?

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪



**** এখন থেকে ১৯ মিনিট পরে (বৃহ: রাত ১২'টায় ) আমার সেমিব্যান তুলে নেয়া হবে; সামুটিককে ধন্যবাদ। ****

***** আমাকে সেমিব্যান থেকে "জেনারেল" করা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিকাহের পরিবর্তে আল্লাহর হাদিসও মানা যায় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪




সূরা: ৪ নিসা, ৮৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৭। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তিনি তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্র করবেন, তাতে কোন সন্দেহ নাই। হাদিসে কে আল্লাহ থেকে বেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×