মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম জনপ্রিয় গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন মতে, ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত মুসলিম-অমুসলিম তরুণদের 'ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করতে' এই সাইটের ভিত রচিত হবে। এটি বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, সীমাবদ্ধতা ও শর্ত-প্রাচীরের ঊধের্্ব উঠে মুসলিম তরুণদের আলোর পথ দেখাবে। ওয়েবসাইটটি পরিচালনার ব্যয় বহন করবেন বিশ্বের শীর্ষপর্যায়ের কয়েকজন মুসলিম ব্যবসায়ী। এমনকি ১৫টি ভাষায় এর সংস্করণ থাকবে। অন্যদিকে এর প্রধান কার্যালয় হবে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। এছাড়াও বিশ্বের নামিদামি শহরগুলোতে এর ব্যুরো অফিস খোলা হবে।
সালামওয়ার্ল্ডের তথ্যমতে, ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহারকারীদের তালিকায় সর্বাধিকসংখ্যক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়ার স্থান তৃতীয়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষও এ সাইটে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের প্রত্যাশা সালামওয়ার্ল্ড এমন একটি যোগাযোগ সাইট তৈরি করবে যা মুসলিম বিশ্বের একতাকে আরও দৃঢ় ও মজবুত করবে। তবে মুসলমান নন তারাও এখানে যোগ দিতে পারবেন। কারণ সাইটটির মাধ্যমে মুসলমানদের ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতাবিষয়ক যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত ছড়িয়ে দেওয়াই হবে এ সাইটটির প্রধান লক্ষ্য। সাইটটির উদ্যোক্তারা বলছেন, বর্তমানে ফেসবুকে এমন কিছু ছবি ও খবর থাকে যা দেখে মুসলমানরা বিব্রতবোধ করেন। তাই নতুন এই যোগাযোগ সাইটে এমন স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে যার মাধ্যমে পুরো সাইটটি নিষিদ্ধ ও দৃষ্টিকটু জিনিস থেকে মুক্ত থাকবে।
তাদের মতে এ বিষয়ে এটিই হবে ইসলামী বিশ্বের প্রথম বিষয়ভিত্তিক তথ্যভাণ্ডার। যা বিশ্বের মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সবার জন্য। এছাড়া সাইটটিতে এমন কিছু তথ্য-উপাত্ত যোগ করা হবে যার মাধ্যমে ইসলামী মূল্যবোধ জেগে উঠবে। সবচেয়ে বড় কথা তারা চাচ্ছে সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে একই ছাদের নিচে একত্রিত করতে।
ূত্র এইখানে;View this link
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০১২ দুপুর ২:২২