হৃদয়ের অলিন্দ কোণ তোমার
অপেক্ষমাণ অধীর
হয়ত কোন সুদর্শন যুবার,
রাজকন্যার হৃদয় হরণে কোন এক শুভক্ষণে পঙ্খীরাজের
পিঠে চেপে স্বপ্নপুরী থেকে রাজপুত্রের আগমন ঘটিবে বাজিয়ে উন্মাতাল রণহুংকার...আমার
জায়গা হবেনা সেথায় জানি।
নিলয়ের বারান্দায় গড়াগড়ি খায়
ভালবাসার বৈকালিক রোদ
বরষার অবারিত ইলশেগুড়ির শিহরিত ঝাপটা কখনোবা স্পর্শ করে যায় তোমার স্নিগ্ধ কোমল সে মুখ...ভালোবাসার চির
কাঙাল আমার হয়ত
জায়গা হবে না সেথায় জানি।
বাইকাসপিড ট্রাইকাসপিড
কিংবা সেমিলুনার
কপাটিকা যেন সিটকিনিতে আবদ্ধ
রুদ্ধদ্বার
অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ সেথায় যার তার
পুষে রাখা সযতনে তোমার সূক্ষ্ন
অনুভূতিগুলোতে অংশীদারীত্ব নেই কোন আমার...আর তাই হবেনা অনুপ্রবেশ তোমার হৃদয়ের
কোনো প্রকোষ্ঠে তা আমি খুব ভাল
করেই জানি।
তবুও আমায় জায়গা দিও একটুখানি
গড়িব আবাস চিলেকোঠায় একান্তই নিড়িবিলি
তোমার পেরিকার্ডিয়ামের কোনো স্তরের যেকোন কোণে
জড়োসড়ো হয়ে গুটিসুটি মেরে থাকিব পড়ে
চলিবে যতদিন তোমার মায়োকার্ডিয়ামের সংকোচন প্রসারণ
আর বাজিতে থাকিবে ঢিব ঢিব অবিরাম হৃদস্পন্দন
শুষে নিব তোমার করোনারি সঞ্চালন থেকে বেঁচে থাকার সামান্যতম জোগান
পালমোনারী শিরার বিশুদ্ধ
রক্তবিন্দুতে রচিত করিব প্রতিনিয়ত অমর সব কাব্য উপাখ্যান
তোমাকে না পাবার বেদণাটুকু অলিন্দ ঘুরে নিলয় হয়ে পৌছে যাবে তোমার এসএ নোডাল
পেসমেকার থেকে বান্ডল অব হিজ এ
অলীক প্রেমের এলোমেলো ভাবণার কাল্পনিক নির্যাস
নিবে না জানি আমলে
ফেলে দিবে ছুড়ে প্রত্যাখ্যানের
ডাস্টবিনে
তবুও এক্টুখানি হয়ত আমি থাকিব আচ্ছন্ন ক্ষনিকের সুখে
দুটি হৃদয়ের এক্টি বুঝ আর আরেক্টি অবুঝ প্রাণ হয়ে
যদি দাও বালিকা তুমি অতটুকু আশ্রয় মোরে